এখন চীন তার পোষা কুকুর ও বিড়ালের প্লাস্টিক সার্জারি করাচ্ছে, কারণ জানলে চমকে যাবেন

এখন চীন তার পোষা কুকুর ও বিড়ালের প্লাস্টিক সার্জারি করাচ্ছে, কারণ জানলে চমকে যাবেন

চীন সবসময় তার অদ্ভুত খাবার এবং অন্যান্য জিনিসের জন্য সারা বিশ্বে পরিচিত। সম্প্রতি এমনই এক অদ্ভুত প্রবণতার কারণে সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে চীন, যা জানলে আপনিও ভাবতে বাধ্য হবেন, এর দরকার কী। আসলে, আজকাল চীন তার পোষা প্রাণীর প্লাস্টিক সার্জারি করাতে ব্যস্ত। পশুপ্রেমীরা ও পশু চিকিৎসকরা বিষয়টি জানাজানি হতেই তারা এর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানান এবং এটি বন্ধের দাবি জানান। এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘এটি পশুদের প্রতি নিছক নিষ্ঠুরতা, যা অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত।’ ইন্টারনেটে ভাইরাল হওয়া এই বিষয়টি জানার পর, সবাই জানতে চায় চীন কেন প্রাণীদের উপর অস্ত্রোপচার করছে।

এই হলো পুরো বিষয়টি

সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট তথ্যমতে, চীনের লোকেরা তাদের পোষা প্রাণীদের কান বিখ্যাত কার্টুন চরিত্র মিকি মাউসের মতো করতে এই প্লাস্টিক সার্জারির সাহায্য নিচ্ছে। পশুচিকিৎসকরা মনে করেন, এর কারণে পশুদের শুধু শারীরিক নয়, মানসিক সমস্যায় পড়তে হয়। পোষা প্রাণীর প্লাস্টিক সার্জারির বিষয়ে, ভেটেরিনারি বিশেষজ্ঞরা এটিকে অত্যন্ত বিপজ্জনক বলে অভিহিত করেছেন এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এটি বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন। পোষা প্রাণীর প্লাস্টিক সার্জারি প্রকাশ্যে আসে যখন লোকেরা পশু ক্লিনিকের বাইরে বিজ্ঞাপনটি লক্ষ্য করে। বলা হচ্ছে এই পশু চিকিৎসালয়টি চংকিং-এর বেইবেই জেলায় অবস্থিত। এই বিজ্ঞাপনের খবর ছড়িয়ে পড়লে পশুপ্রেমীরা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানায়।

এই প্রক্রিয়াটি 2 মাস সময় নেয়

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে এ ধরনের অস্ত্রোপচার নিষিদ্ধ, তবুও কুকুরের ক্যানেল ও প্রজনন সুবিধায় গোপনে এ ধরনের অস্ত্রোপচার করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে যে অ্যানিমেল ক্লিনিক পোষা প্রাণীদের জন্য মাত্র 40 ডলারে অর্থাৎ 3,300 টাকারও বেশি কসমেটিক সার্জারির একটি অনন্য অফার দিয়ে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করছিল। আসলে, এই অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে, কিছু লোক তাদের পোষা বিড়াল এবং কুকুরের কান মিকি মাউসের মতো করার চেষ্টা করছে। শুধু তাই নয়, মানুষ তাদের পোষা প্রাণীদের কসমেটিক সার্জারির পাশাপাশি লেজ ডকিং করাচ্ছে। বলা হচ্ছে, এই প্রক্রিয়ায় কুকুরের লেজ আংশিক বা সম্পূর্ণ বাদ দেওয়া হয়। এ জন্য প্রথমে অ্যানেসথেসিয়া দিয়ে প্রাণীকে অচেতন করা হয়। বলা হচ্ছে এই প্রক্রিয়ায় 20 থেকে 60 দিন সময় লাগে।

(Feed Source: ndtv.com)