জয়েন্টে বসার ক্ষেত্রে বড় পরিবর্তন, উচ্চমাধ্যমিকে আর বাধ্যতামূলক নয় এই বিষয়টি…

জয়েন্টে বসার ক্ষেত্রে বড় পরিবর্তন, উচ্চমাধ্যমিকে আর বাধ্যতামূলক নয় এই বিষয়টি…

উচ্চমাধ্যমিকের পর বাংলার লাখ লাখ পড়ুয়া জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় বসেন। আগামী বছরের জয়েন্টের জন্যে গতকাল থেকেই শুরু হয়েছে অনলাইন মাধ্যমে আবেদনপত্র জমা। ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীরা অনলাইন মাধ্যমে আবেদন জমা দিতে পারবেন। এরই মধ্যে জানা গেল এবারের জয়েন্টে একটি বড় পরিবর্তনের কথা। এবার থেতে জয়েন্টে বসতে হলে শুধুমাত্র ফিজিক্স ও অঙ্কই বাধ্যতামূলক থাকবে। এর আগে কেমিস্ট্রিও বাধ্যতামূলক ছিল জয়েন্টের ক্ষেত্রে। এখন থেকে অবশ্য আর কেমিস্ট্রি বাধ্যতামূলক হবে না। অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল ফর টেকনিক্যাল এডুকেশনের নির্দেশিকা অনুযায়ী কেমিস্ট্রিকে আর বাধ্যতামূলক না রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড।

এর আগে উচ্চমাধ্যমিক স্তরে কেমিস্ট্রি না থাকলে ইঞ্জিনিয়ারিং প্রবেশিকায় বসা যেত না। তবে এবার আর তা হবে না। যদিও পরীক্ষায় কেমিস্ট্রির প্রশ্ন থাকবে। এবারের পরীক্ষায়, অঙ্ক, ফিজিক্সের পাশাপাশি কেমিস্ট্রি বিভাগে ৪০টি এমসিকিউ প্রশ্ন থাকবে। যার জন্য বরাদ্দ নম্বর হবে ৫০। তবে নয়া নিয়ম অনুযায়ী, ইঞ্জিনিয়ারিং প্রবেশিকায় বসতে গেলে পদার্থবিদ্যা, অঙ্ক ছাড়াও কেমিস্ট্রি, কম্পিউটার সায়েন্স, ইলেকট্রনিক্স, ইনফরমেশন টেকনোলজি, বায়োলজি, ইনফরম্যাটিকস প্র্যাকটিসেস, বায়ো-টেকনোলজি, টেকনিক্যাল ভোকেশনাল সাবজেক্ট, অ্যাগ্রিকালচার, ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রাফিক্স, বিজনেস স্টাডিজ এবং অন্ত্রপ্রনিয়রশিপের মধ্যে যে কোনও তিনটি বিষয়ে পাশ করতে হবে। তা হলেই স্নাতকে বিই এবং বিটেক পড়ার সুযোগ পাবেন পড়ুয়ারা।

এদিকে এখন বোর্ডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট, wbjeeb.nic.in গিয়ে অনলাইনে ফর্ম ফিলআপ করা যাচ্ছে। ২০২৪ সালের ২৮ এপ্রিল সকাল ১১ টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত চলবে প্রথম অর্ধের পরীক্ষা এবং এর পরবর্তীতে দ্বিতীয় অর্ধের পরীক্ষা শুরু হবে দুপুর ২টোর সময় এবং তা শেষ হবে নির্ধারিত সময় বিকেল ৪টে-তে। বহু ক্ষেত্রেই দেখা যায় ছাত্রছাত্রীরা অনলাইনে ফর্ম ফিলআপ করার সময় বেশ কিছু তথ্যগত ভুল ত্রুটি করে ফেলেন। এক্ষেত্রে এই বছর বিশেষ সুযোগ এনেছে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। বোর্ড জানিয়েছে ৩১ জানুয়ারি ফর্ম জমা দেওয়ার নির্ধারিত সময়সীমা শেষের পরে ৩ থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আবেদনপত্র সংশোধন করা যাবে অনলাইনেই। এবার আসা যাক ফর্ম ফিলআপ বাবদ খরচের বিষয়ে। তফশিলি জাতি, তফশিলি উপজাতি ও ওবিসি ক্যাটেগরির প্রার্থীদের ফি বাবদ লাগবে ৪০০ টাকা। এসসি, এসটি, ওবিসি ক্যাটেগরির মহিলা ও তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থীরা ফি হিসেবে ৩০০ টাকা জমা দেবেন। এর পাশাপাশি অসংরক্ষিত আসনগুলির ক্ষেত্রে ফি থাকবে ৫০০ টাকা। ফর্ম ফিলাপের পর অনলাইন মাধ্যমেই এই টাকা জমা দিতে হবে ছাত্রছাত্রীদের। ভারতবর্ষের যেকোনও স্বীকৃত বোর্ডের ছাত্রছাত্রীরাই দ্বাদশ শ্রেণির উত্তীর্ণ হলে এই পরীক্ষায় বসতে পারবেন।

(Feed Source: hindustantimes.com)