পার্টি শুরু হয়ে গিয়েছে গুগলে, ডুডল এঁকে ২০২৩-কে জানানো হল বিদায়

পার্টি শুরু হয়ে গিয়েছে গুগলে, ডুডল এঁকে ২০২৩-কে জানানো হল বিদায়

ক্রিকেট বিশ্বকাপ হোক, স্বাধীনতা দিবস কি কোনও মহান ব্যক্তিত্বের জন্মদিন, প্রতিটি ক্ষেত্রেই এক বিশেষ ডুডলের মাধ্যমে দিনটিকে সেই উপলক্ষে উৎসর্গ করে থাকে গুগল। গুগলের হোমপেজ খুললেই সেদিনের ডুডল ভেসে ওঠে। আর আজ ২০২৩ সালের শেষ দিনেও তার কোনও ব্যাতিক্রম হল না। ২০২৪ সালকে স্বাগত জানাতে চেয়ে আজ নতুন একটি ডুডল প্রকাশ করেছে গুগল। এই ডুডলে ডিসকো বল আছে। আছে নানা রঙ। আলো, পার্টি, উৎসবের আবহে এই বছরকে বিদায় জানাতেই এই ডুডল প্রকাশ গগুলের।

এদিকে আজকের ডুডল প্রসঙ্গে গুগল বলেছে, ‘৩… ২… ১… শুভ নববর্ষ! এই ডুডল নতুন বছরের শুরুর দিকে কিছু চাকচিক্ক নিয়ে আসবে। ঘড়ির কাটা ধীরে ধীরে যত মধ্যরাতের দিকে এগোচ্ছে, গোটা বিশ্ব জুড়ে ততই পরিকল্পনা এগোচ্ছে। নতুন বছরের রেজোলিউশন কী হবে, ভালোবাসার মানুষদের কী বার্তা পাঠানো যায়, কীভাবে এই আনন্দের মুহূর্ত উদযাপন করা যাবে।’

এদিকে এই নববর্ষের ধারণা কোথা থেকে এসেছে? কেন আমরা একে অপরকে ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার’ বলে শুভেচ্ছা জানাই? বলা হয় যে পৃথিবীতে যতোগুলো উৎসব পালন করা হয়, তার মধ্যে সবথেকে প্রাচীন উৎসব হল বর্ষবরণ উৎসব। এই উৎসবের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে হলে চলে যেতে হবে সুদূর মেসোপটিমিয় সভ্যতার যুগে। নিউ ইয়ার পালন শুরু হয় ৪ হাজার বছর আগে, খ্রিষ্টপূর্ব ২ হাজার অব্দ নাগাদ। নিউ ইয়ার উৎসব প্রথম শুরু হয় ব্যবিলনীয় সভ্যতায়। তবে তা ১লা জানুয়ারির দিনে নয়। তখন নিউ ইয়ার ডে ধরা হত বসন্তের প্রথম দিনকে। এরপর প্রাচীণ রোমানরা শুরু করেছিলেন বর্ষবরণের উৎসব।

রোমান সম্রাজ্যে ১ মার্চকে নববর্ষ হিসাবে ধরা হতো। এদের অবশ্য একটি ক্যালেন্ডারও ছিল। রোমানদের এই ক্যালেন্ডারে মাস ছিল মোটে ১০ টা। জানুয়ারি বা ফেব্রুয়ারির কোনও উল্লেখ ছিল রোমান ক্যালেন্ডারে। পরে অবশ্য নুমা পন্টিলাস নামের এক সম্রাট ক্যালেন্ডারে জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি যোগ করেন। খ্রিষ্টপূর্ব ৬০০ অব্দে বর্ষবরণের দিন হিসাবে ২৬ মার্চ তারিখটিকে ধরা হতো। পরে সম্রাট পন্টিলাস ক্যালেন্ডারে জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি যোগ করার পরে ১ জানুয়ারি দিনটিকেই বর্ষবরণের দিন হিসাবে ঠিক করে দেন। তখন থেকেই ঠিক করা হয় যে ১ জানুয়ারি দিনটি হল নিউ ইয়ার ডে বা বর্ষবরণ দিন। পরে ৩৬৫ দিনে ১ বছর হিসাবে ধরার ঘোষণা করেন জুলিয়াস সিজার। তখন ফের ১ জানুয়ারিকেই নিউ ইয়ার হিসাবে ধরার কথা ঘোষণা করা হয়। তবে সমস্যা ছিল সিজারের ক্যালেন্ডারেও। পরে অ্যালোসিয়াস লিলিয়াস নামের এক চিকিৎসক এই সমস্যা দূর করে দেন। আজও সেই ক্যালেন্ডারেরই প্রচলন রয়েছে বিশ্বজুড়ে। পোপ গ্রেগরির নাম অনুসারে এই নতুন ক্যালেন্ডারের নাম হয় গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার।

(Feed Source: hindustantimes.com)