স্ত্রীকে হত্যার পর মেট্রো স্টেশন থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করলেন এক যুবক, মায়ের মৃতদেহের সঙ্গে এক বছরের শিশুকে কাঁদতে দেখা গেল।

স্ত্রীকে হত্যার পর মেট্রো স্টেশন থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করলেন এক যুবক, মায়ের মৃতদেহের সঙ্গে এক বছরের শিশুকে কাঁদতে দেখা গেল।

নয়াদিল্লি/গাজিয়াবাদ:

আজ সকালে উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদে মেট্রো স্টেশন থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন গুরুগ্রামের এক যুবক। যুবকটি তার স্ত্রীকে খুন করেছে বলে সন্দেহ করা হয়েছিল এবং কথিত হত্যার পর আত্মগোপনে ছিল। পুলিশ জানিয়েছে, গৌরব শর্মা নামের এই ব্যক্তি গুরুগ্রামের ডিএলএফ এলাকায় একটি ভাড়া অ্যাপার্টমেন্টে থাকতেন।

উত্তরপ্রদেশের আগ্রার বাসিন্দা এই যুবক আজ সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ কৌশাম্বী মেট্রো স্টেশনে পৌঁছান। পুলিশ জানিয়েছে যে গতকাল গুরুগ্রামে তাদের বাড়িতে তার স্ত্রী লক্ষ্মী রাওয়াতকে খুনের অভিযোগে সে পলাতক ছিল। প্রায় ছয় মাস আগে দুজনেই বর্তমান বাড়িতে চলে আসেন।

পুরো আত্মহত্যার ঘটনাটি প্ল্যাটফর্ম নং 1-এ ইনস্টল করা একটি সিসিটিভি ক্যামেরায় ধারণ করা হয়েছে, যেখান থেকে ট্রেনটি গাজিয়াবাদের ব্লু লাইনের শেষ স্টেশন বৈশালীর দিকে পূর্ব দিকে চলে যায়৷ ভিডিওতে ওই ব্যক্তিকে প্ল্যাটফর্মের রেলিংয়ের কাছে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। এরপর সেখান থেকে লাফিয়ে পড়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

কৌশাম্বী মেট্রো স্টেশনের প্ল্যাটফর্মটি আবাসিক এলাকার খুব কাছে। মেট্রো স্টেশনের পাশের সার্ভিস লেনে পার্কিং এলাকায় রাস্তায় রক্তের দাগ নিয়ে যুবকের দেহ পাওয়া যায়।

একজন 23 বছর বয়সী ব্যক্তি তার স্ত্রীকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে, তবে কী কারণে হত্যা করা হয়েছে তা স্পষ্ট নয়। গুরুগ্রাম পুলিশ তাদের এক বছরের শিশুকে তার মায়ের মৃতদেহের কাছে কাঁদতে দেখেছে। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে অভিযান চালাচ্ছিল, কিন্তু তাকে গুরুগ্রাম থেকে 30 কিলোমিটার দূরে উত্তর প্রদেশের কৌশাম্বিতে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে।

(Feed Source: ndtv.com)