ভূমিকম্প-সুনামির জোড়া ধাক্কা, বিপর্যস্ত জাপানে বাড়ছে মৃত্যুমিছিল

ভূমিকম্প-সুনামির জোড়া ধাক্কা, বিপর্যস্ত জাপানে বাড়ছে মৃত্যুমিছিল
নয়া দিল্লি: ভয়ঙ্কর প্রাকৃতিক দুর্যোগ দিয়েই বছর শুরু জাপানে (Japan)। ২৪ ঘণ্টায় ১৫৫ বার কেঁপে উঠল সূর্যোদয়ের দেশ। শুধু তাই নয়, এই ভূমিকম্পের জেরে  সমুদ্র উত্তাল হয়ে সুনামি (Tsunmai) গ্রাসে চলে যায় জাপানের একাংশ। জাপান যেমন সূর্যোদয়ের দেশ তেমন ‘ভূমিকম্পপ্রবণ দেশ’ও। রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশটিতে প্রতি বছর গড়ে দুই হাজারের মতো ভূমিকম্প (Earthquake) হয়ে থাকে। তবে এবারে ভয়াবহতা বেশি।

রিখটার স্কেলে কম্পনের সর্বোচ্চ মাত্রা ছিল ৭.৬। কম্পনের উৎসস্থল ছিল হনসু দ্বীপের ইশিকাওয়া। ভয়াবহ ভূমিকম্পের পরেই জাপানের বেশ কয়েকটি উপকূল এলাকায় সুনামি সতর্কতা জারি হয়। ফুঁসে ওঠে সমুদ্র। কোথাও কোথাও ঢেউয়ের উচ্চতা ছিল ৫ মিটারের বেশি। ভেঙে পড়ে শতাধিক বাড়ি, দোকান, বহুতল। কার্যত লন্ডভন্ড মধ্য জাপান। প্রায় ৩৩ হাজার বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। কোথাও কোথাও আগুন লেগে যায়। একাধিক রাস্তায় বড়সড় ফাটল ধরেছে। ফলে উদ্ধারকাজে সমস্যা হচ্ছে। নামানো হয়েছে সেনা।

এদিকে, ক্রমশ বাড়ছে মৃত্যুমিছিল। এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৫০ জনের, এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই মত। কিন্তু জাপানেই এত বেশি ভূমিকম্প হয় কেন? বিশেষজ্ঞদের মতে, জাপান প্রশান্ত মহাসাগরীয় ‘রিং অব ফায়ার’ অঞ্চলে অবস্থিত। রিং অব ফায়ারের অর্থ হল আগুনের গোলা। রিং অব ফায়ার এমন একটি কাল্পনিক বেল্ট যা ঘোরার খুরের মত প্রধানত প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলকে ঘিরে রেখেছে। এই রিং অব ফায়ারে যেইসব অঞ্চল অন্তর্ভুক্ত রয়েছে তা সবচেয়ে বেশি ভূমিকম্পপ্রবণ। এই রিং অব ফায়ারই ৯০ শতাংশ ভূমিকম্পের কারণ।

এছাড়াও ৪০ হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ এই রিং অব ফায়ার অঞ্চলে ৪৫২ টি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি রয়েছে যা পৃথিবী পৃষ্টের মোট আগ্নেয়গিরির ৭৫ শতাংশ। এশিয়ার জাপান, পলিনেশিয়ার টোঙ্গো, দক্ষিণ আমেরিকার ইকুয়েডর এই অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত। তাই এইসব অঞ্চলেই বেশি ভূমিকম্প হয়ে থাকে।

(Feed Source: abplive.com)