টানা ৩ ম্যাচে হারতেই ‘সরে দাঁড়ালেন’ ফেরান্দো, ‘পুরনো’ কোচকেই ফেরাল মোহনবাগান

টানা ৩ ম্যাচে হারতেই ‘সরে দাঁড়ালেন’ ফেরান্দো, ‘পুরনো’ কোচকেই ফেরাল মোহনবাগান

আইএসএলে হারের হ্যাটট্রিকের পরই ‘সরে দাঁড়ালেন’ মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের কোচ জুয়ান ফেরান্দো। তাঁর পরিবর্তে পুরনো ‘ঘোড়া’ আন্তোনিও লোপেজ হাবাসকে দায়িত্ব দিল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। যিনি খাতায়কলমে মোহনবাগানের টেকনিকাল ডিরেক্টর ছিলেন। শুধু তাই নয়, তাঁর তত্ত্বাবধানে আইএসএল জিতেছিল এটিকে (২০১৪ সাল এবং ২০১৯-২০ সাল)। আইএসএলের ফাইনালে খেলেছিল এটিকে মোহনবাগান (২০২০-২১ সাল, পরবর্তীতে মরশুমের মাঝপথেই বিদায় নিয়েছিলেন)। এবার সেই স্প্যানিশ কোচের তত্ত্বাবধানেই আইএসএলে ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। জিততে চাইছে কলিঙ্গ সুপার কাপ। আগামী ৯ জানুয়ারি থেকে যে টুর্নামেন্ট শুরু হচ্ছে। মোহনবাগানের হেড কোচ হিসেবে সেই টুর্নামেন্টেই প্রথম পরীক্ষার মুখে পড়তে চলেছেন হাবাস। তবে তাঁর সঙ্গে কতদিনের চুক্তি হয়েছে, টাকার অঙ্ক কত, সেইসব বিষয়ে মোহনবাগান ক্লাব কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও উচ্চবাচ্য করা হয়নি।

বুধবার দুপুরে মোহনবাগানের তরফে সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের চিফ কোচ বদল হল। সরে দাঁড়ালেন জুয়ান ফেরান্দো। তাঁর জায়গায় সবুজ-মেরুনের দায়িত্ব নিচ্ছেন আন্তোনিও লোপেজ হাবাস। আসন্ন সুপার কাপ থেকেই প্রধান কোচের দায়িত্ব সামলাবেন তিনি। আইএসএল (২০২২-২৩ মরশুম) ও এবারের ডুরান্ড কাপ জয়ের জন্য জুয়ান ফেরান্দোকে ধন্যবাদ।’

খাতায়কলমে ফেরান্দো ‘সরে দাঁড়িয়েছেন’ বলে জানানো হলেও সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, এত কোটি-কোটি টাকার দল নিয়েও প্রত্যাশামতো ফল নিতে না পারার জন্য তাঁকে ছাঁটাই করেছে মোহনবাগান কর্তৃপক্ষ। কারণ মরশুমের শুরুতেই ডুরান্ড কাপ জিতলেও মোহনবাগান কর্তাদের লক্ষ্য ছিল এএফসি কাপ। কিন্তু প্রথম তিন ম্যাচে সাত পয়েন্ট পাওয়ার পরও এএফসি কাপের ইন্টার-জোনাল সেমিফাইনালে উঠতে পারেনি। গ্রুপ লিগের শেষ তিনটি ম্যাচে হেরে যায়। অথচ কার্যত অর্ধেক বাজেটের টিম নিয়ে সেই গ্রুপ থেকে পরের রাউন্ডে চলে গিয়েছে ওড়িশা এফসি।

তারপরও তাঁর উপর আস্থা দেখাচ্ছিল মোহনবাগান ক্লাব কর্তৃপক্ষ। কারণ আইএসএলে অপরাজিত ছিল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। কিন্তু সেই তকমাও চলে গিয়েছে গত বছরের শেষ মাসে। টানা তিনটি ম্যাচে হারের পরই ফেরান্দোকে হটানোর জন্য বিভিন্ন মহল থেকে দাবি উঠছিল। ক্রমশ বাড়ছিল চাপ। এত টাকার টিম নিয়ে হারের হ্যাটট্রিক, খেলোয়াড়দের চোট নিয়ে ক্রমশ বাড়ছিল প্রশ্নের সংখ্যা। সেই পরিস্থিতিতে ফেরান্দোর বিদায়ঘণ্টা বাজা স্রেফ সময়ের অপেক্ষা ছিল। আর শেষপর্যন্ত নয়া বছরের তৃতীয় দিনেই ফেরান্দোর বিদায়ঘণ্টা শোনা গেল। যিনি গতবার এটিকে মোহনবাগানকে আইএসএলে চ্যাম্পিয়ন করলেও তাঁর কাছে যে কোনও প্ল্যান ‘বি’ নেই, তা অতীতে একাধিকবার দেখা গিয়েছে।

(Feed Source: hindustantimes.com)