রাম মন্দির উদ্বোধনের আগে গোধরার মত ঘটনা হতে পারে কর্ণাটকে, দাবি কংগ্রেস নেতার

রাম মন্দির উদ্বোধনের আগে গোধরার মত ঘটনা হতে পারে কর্ণাটকে, দাবি কংগ্রেস নেতার

আগামী ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন হতে চলেছে অযোধ্যায় রাম মন্দিরের। তা ঘিরে এখন প্রস্তুতি তুঙ্গে। সেই আবহে দেশজুড়ে প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে। কেউ কেউ আমন্ত্রণ পেয়ে সন্তুষ্ট নন এবং কেউ সেখানে যাবেন কি যাবেন না তা ঠিক করতে পারছেন না। তার মধ্যেই কংগ্রেস নেতার এক মন্তব্যকে ঘিরে চরম বিতর্ক তৈরি হয়েছে। রাম মন্দির উদ্বোধন নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন কংগ্রেস নেতা তথা কর্ণাটকের বিধায়ক বিকে হরিপ্রসাদ। তিনি মন্তব্য করেছেন রাম মন্দির উদ্বোধনের আগে কর্ণাটকে গোধরার মতো হিংসার ঘটনা ঘটতে পারে। এই মন্তব্যে জেরে ওই কংগ্রেস নেতার গ্রেফতারের দাবি উঠেছে। তাঁর বিরুদ্ধে দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টার অভিযোগ তুলেছে পদ্ম শিবির।

সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর সঙ্গে কথা বলার সময় কংগ্রেস বিধায়ক বলেছিলেন, ‘অযোধ্যার রাম মন্দির উদ্বোধন কোনও ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, একটি রাজনৈতিক কর্মসূচি। যারা অযোধ্যায় যাচ্ছেন। কর্ণাটক সরকারের উচিত তাদের কঠোর নিরাপত্তা দেওয়া। না হলে গোধরার মতো ঘটনা ঘটতে পারে। কারণ গোধরায় একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে।’ কর্ণাটক সরকারকে একটি সম্ভাব্য অপ্রীতিকর ঘটনা সম্পর্কে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন কংগ্রেস বিধায়ক। তিনি বলেন, গুজরাটে কর সেবকদের গোধরায় আগুন দেওয়া হয়েছিল। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী একজন কর সেবক।’  তবে এই মন্তব্য দলের নয় ব্যক্তিগত বলে দাবি করেছেন কংগ্রেস বিধায়ক।

তিনি আরও বলেছিলেন, ‘যদি বিজেপির ইতিহাসের দিকে তাকানো যায় তবে দেখা যাবে এই ধরনের অপরাধের পুনরাবৃত্তি অনেক হয়েছে। তারা যেকোনও কিছু করতে সক্ষম। আমি দাবি করেছি যে অযোধ্যায় আসা সমস্ত লোকের জন্য সতর্কতামূলক ব্যবস্থা চালু করা হোক। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের চেয়ে মানুষের জীবন গুরুত্বপূর্ণ।’

এদিকে, কংগ্রেস নেতার এই মন্তব্যের পরেই বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ডিভি সদানন্দ গৌড়া তাঁর গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, যে হরিপ্রসাদকে অবিলম্বে গ্রেফতার করা উচিত।  একইভাবে কর্ণাটকের বিজেপি নেতা কে এস ঈশ্বরাপ্পাও কংগ্রেস নেতার নিন্দা করেছেন। তিনি বলেছেন,  প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী সহ তাঁর দলের নেতারা রাম মন্দিরকে সমর্থন করেছিলেন। তারপরেও হরিপ্রসাদকে এমন ভাষায় কথা বলতে দেখে অবাক লাগে।

(Feed Source: hindustantimes.com)