SA vs IND: 'চুপ একদম চুপ…'! অগ্নিশর্মা রোহিতের আইসিসিকে চুনকাম, পিচ বিতর্কে উড়িয়ে খেললেন

SA vs IND: 'চুপ একদম চুপ…'! অগ্নিশর্মা রোহিতের আইসিসিকে চুনকাম, পিচ বিতর্কে উড়িয়ে খেললেন

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বিদেশের মাটিতে দেড় দিনেই টেস্ট জিতে নিল ভারত। পাঁচ সেশনেই খেল খতম হয়ে গেল। পরিসংখ্য়ান বলছে বাইশ গজের  সংক্ষিপ্ততম টেস্টের ইতিহাস লেখা হল কেপটাউনে। রোহিত শর্মা (Rohit Sharma) প্রথম ভারতীয় অধিনায়ক হিসেবে ইতিহাস লিখলেন। তাঁর নেতৃত্বেই প্রথমবার ভারত কেপটাউনে টেস্ট জেতার নজির গড়ল। এমএস ধোনির (MS Dhoni) পর দ্বিতীয় অধিনায়ক হিসেবে লেখা থাকবে রোহিতের নাম। যাঁর নেতৃত্বে দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট সিরিজ হার বাঁচাল ভারত। কেপটাউনের পিচ নিয়ে খোদ দক্ষিণ আফ্রিকার ব্য়াটিং কোচ বলেছেন, ‘জীবনে এরকম পিচ দেখিনি।’ কারণ দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথমে ব্য়াট করে ৫৫ রানে অলআউট হয়েছিল। একদিনে ২৩ উইকেট পড়েছিল। এবার পিচ নিয়ে মুখ খুললেন রোহিত। বুঝিয়ে দিলেন ভারতের পিচ নিয়ে যারা কথা বলে, তাদের চোখ-কান খোলা রাখাই উচিত। ভারতের কোনও ক্রিকেটার বিদেশের বাউন্সি ও পেস সহায়ক পিচ নিয়ে কোনও অভিযোগ করেন না। বিদেশের ক্রিকেটাররাই ভারতের স্পিন সহায়ক ও পাটা পিচ নিয়ে মন্তব্য় করেন। বছরের পর বছর এই জিনিস চলে আসছে। এবার পিচ নিয়ে সপাটে জবাব রোহিতের।

রোহিত এদিন সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ‘আমরা সবাই দেখেছি যে, এই টেস্ট ম্য়াচে পিচে কী হয়ছে। সত্যি বলতে আমি এই ধরনের পিচে খেলতে আমার কোনও আপত্তি নেই। যতক্ষণ বাকিরা নিজেদের মুখটা একটু বন্ধ রাখবে এবং ভারতীয় পিচ নিয়ে খুব একটা বেশি কথা বলবে না। কারণ নিজেদের চ্যালেঞ্জ জানাতেই আমরা খেলতে এসেছি। বাকিরা যখন ভারতে যায়, তখন তাদের জন্য়ও সেটা চ্যালেঞ্জিং। দেখুন, আমরা এখানে টেস্ট ক্রিকেট খেলতে এসেছি। আমরা টেস্ট নিয়েই কথা বলি। ক্রিকেটের চূড়ায় বিরাজমান টেস্ট। আমাদের এটার পাশেই দাঁড়ানো উচিত।’

রোহিত তুলেছেন নিরপেক্ষতার দাবিই। তাঁর এই বিষয়ে সংযোজন, ‘আমার মনে হয়, যেখানেই যাই না কেন নিরপেক্ষ থাকা উচিত। বিশেষ করে ম্যাচ রেফারিদের। বেশ কিছু ম্যাচ রেফারির নিজেদের চোখ খুলে পিচের রেটিং করা উচিত। আমি এখনও বিশ্বাস করতে পারি না যে, বিশ্বকাপ ফাইনালের পিচ গড়পড়তারও নীচে ছিল। যেখানে ফাইনালে একজন সেঞ্চুরি করছে, তাহলে পিচ কীভাবে খারাপ হতে পারে। তাই আইসিসি ও ম্যাচ রেফারিদের এই জিনিসগুলি দেখেই পিচ রেটিং করুক। দেশের ভিত্তিতে নয়। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সুতরাং আমি আশা করি তারা তাদের কান এবং চোখ খোলা রেখে  খেলার এই দিকগুলোও মাথায় রাখুক। সত্যি বলতে, আমি এই ধরনের পিচে খেলতে তৈরি আছি। আমরা চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত। এরকম পিচে খেলতে পেরে গর্বিত। শুধু বলতে চাই নিরপেক্ষ হোক।’

আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে হয়েছিল বিশ্বকাপের ফাইনাল! সেই পিচ নিয়ে বিস্তর বিতর্ক হয়েছিল। বলা হয়েছিল যে ভারত-পাকিস্তানের খেলা পিচেই ফাইনাল হয়েছে। কোনও টাটকা পিচ দেওয়া হয়নি।  আইসিসি-র ম্য়াচ রেফারি তথা জিম্বাবোয়ের প্রাক্তন ব্য়াটার অ্যান্ডি পাইক্রফট মন্থর এবং নিস্ত্রিয় পিচকে বলেছিলেন, ‘খুব ভালো’। আইসিসি-র পিচ রেটিং এল ‘গড়পড়তা’র। লিগ পর্যায়ে দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্য়ান্ড, পাকিস্তান এবং অস্ট্রেলিয়া খেলেছে কলকাতা, লখনউ, আহমেদাবাদ ও চেন্নাইতে। আইসিসি জানাচ্ছে যে, এই সব পিচই ‘গড়পড়তা’ ক্য়াটেগরির। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ভারত-নিউ জিল্য়ান্ড প্রথম সেমিফাইনাল খেলেছিল। ওয়াংখেড়ে পেয়েছে ‘ভালো’ রেটিং। যদিও একাধিক মিডিয়ার রিপোর্ট ছিল যে, এই পিচও ব্য়বহৃত। বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনাল হয়েছিল ইডেনে। অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকা মুখোমুখি হয়েছিল।  আইসিসি-র ম্য়াচ রেফারি জাভাগল শ্রীনাথ বলছেন যে, ইডেনের পিচ ‘গড়পড়তা’ হলেও আউটফিল্ড অর্থাৎ মাঠ ‘খুবই ভালো’। রোহিত রাগ পুষে রেখেছিলেন এতদিন। এবার তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটালেন।

(Feed Source: zeenews.com)