খুঁটিনাটি…
রাইপুরের মানুষের সঙ্গে মৃণাল সেনের সম্পর্ক আজও যেন টাটকা। সালটা ১৯৮১। রাইপুর গ্রাম এবং সেখানকার জমিদার, সিংহ পরিবারের অর্ধভগ্ন অট্টালিকায় ‘খণ্ডহর’-র শ্যুটিং শুরু হয়। চলে ১৯৮২-র বেশ কিছু দিন পর্যন্তও। সেই সময়, গ্রামের মানুষদের সঙ্গে রীতিমতো হৃদ্যতা গড়ে উঠেছিল শুটিং ইউনিটের। ১৯৮৩ সালে মুক্তি পায় ‘খণ্ডহর’। তার পর ৪২ বছর কেটে গিয়েছে। পরিচালকের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে এবার সেই রাইপুরের বিশেষ কিছু করবেন ভেবেছিলেন। যেমন ভাবা, তেমন কাজ। উত্তরপাড়ার জীবনস্মৃতি আর্কাইভ ও রাইপুর যুব সঙ্ঘের যৌথ উদ্যোগে মৃণাল সেন পরিচালিত ২৬টি সিনেমার দুষ্প্রাপ্য প্রচারপত্র, চলচ্চিত্র পুস্তিকা ও বিজ্ঞাপনের প্রতিলিপি প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয়। সম্পূর্ণ পরিকল্পনা ও রূপায়ণ করেছেন অরিন্দম সাহা সর্দার। এই সঙ্গে দেখানো হচ্ছে ‘খণ্ডহর’ সিনেমাটিও। পাশাপাশি, মৃণাল সেনের সিনেমার বিভিন্ন মুহূর্ত নিয়ে চিত্রশিল্পী হিরণ মিত্রের স্কেচও প্রদর্শিত হচ্ছে দু’দিন ধরে। রবিবার সুকেশ মণ্ডলের রাইপুর সুপুর এলাকার দশটি গ্রামের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস নিয়ে রচিত বই ‘ইতিহাস দর্পণে রাইপুর-সুপুর অঞ্চল’-ও প্রকাশিত হয় এই উপলক্ষে। সব মিলিয়ে জমজমাট এলাকা।
প্রয়াণ…
জন্ম ১৯২৩ সালের ১২ মে। অবিভক্ত ভারতের ফরিদপুরে। সেখান থেকে কী ভাবে ছবি তৈরির দুনিয়ায় আসা, তা নিয়ে আলোচনা করতে গেলে হয়তো সেটিও ছবির গল্প হয়ে দাঁড়াবে। বস্তুত, বাঙালির অন্যতম সেরা পরিচালকদের তালিকায় সত্যজিৎ রায় ও ঋত্বিক ঘটকের পাশে এক সঙ্গে উচ্চারিত হয় মৃণাল সেনের নাম। ১৯৮৪ সালে তৈরি খণ্ডহর ছবিটির জন্য শ্রেষ্ঠ পরিচালকের জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি। পরে তা কান চলচ্চিত্র উৎসবের সম্মানীয় ক্লাসিক বিভাগেও দেখানো হয়েছিল। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর হৃদযন্ত্র বিকল হওয়ায় থেমে গিয়েছিল কিংবদন্তীর জীবন। কিন্তু তত দিনে দুরন্ত কাজের মধ্যে দিয়ে আমজনতার স্মৃতিতে পাকাপোক্ত ঠিকানা করে গিয়েছেন তিনি।
(Feed Source: abplive.com)