প্রেক্ষাপট…
গত ২ জানুয়ারি কাঁথি পুরসভার ১৬ জন তৃণমূল পুর প্রতিনিধি বর্তমান পুরপ্রধান সুবল মান্নার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রকাশ করে তাঁর কাছে আবেদন পত্র জমা দেন। এই নিয়ে দ্রুত বৈঠক ডাকার জন্যও তাঁরা আবেদন জানিয়েছিলেন। রাজ্যের পুর আইন অনুযায়ী, আবেদনপত্র গৃহীত হওয়ার পর সর্বাধিক ১৫ দিনের মধ্যে সমস্ত পুর প্রতিনিধিকে নিয়ে বিশেষ বৈঠক ডাকতে হয় পুরপ্রধানকে। সেই নির্দেশ অমান্য করলে তার পরবর্তী এক সপ্তাহের মধ্যে বৈঠক ডেকে পুরপ্রধানকে সরিয়ে দিতে পারেন ভাইস চেয়ারম্যান। যদি কোনওটাই না হয়, সে ক্ষেত্রে যে কোনও তিন জন পুর প্রতিনিধি বিশেষ বৈঠক ডাকতে পারবেন। যদিও, আবেদনকারী পুর প্রতিনিধিদের আবেদন পত্রে কোথাও বর্তমান পুর প্রধানের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনও অভিযোগের উল্লেখ ছিল না বলে জানা গিয়েছে। তারপরই পুরপ্রধানের পাল্টা নোটিসে পুর প্রতিনিধিদের নিয়ে যে বিশেষ বৈঠক হওয়ার কথা তার সম্ভাবনা অথৈ জলে। এ ধরনের পাল্টা নোটিস প্রাপ্তির কথা স্বীকার করে নিয়ে তৃণমূলের একাধিক পুর প্রতিনিধি বলছেন, ‘পুরোপ্রধানের এই নোটিসের পরিপ্রেক্ষিতে কোনA ভাবে উত্তর দিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে দলের জেলা সভাপতির পক্ষ থেকে। তিনি লিখিতভাবে জানিয়েছেন পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত কোনও ভাবেই পুরপ্রধানের নোটিসের জবাব দেওয়া যাবে না।’ সুবল মান্নার প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়ে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। তাঁকে মেসেজ পাঠানো হয়। তার জবাবও মেলেনি।
ফিরে দেখা…
উল্লেখ্য, ২১ টি ওয়ার্ড বিশিষ্ট কাঁথি পুরসভার ১৭ টি তে এককভাবে জয়ী হয়েছিল তৃণমূল। বিজেপি পায় তিনটি এবং একটিতে জয়ী হয় নির্দল। পরবর্তী পুরপ্রধান কে হবেন, তা নিয়ে কোনও নাম ঘোষণা করেনি তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্ব। এখনও ধোঁয়াশায় রয়েছেন তৃণমূলের পুর প্রতিনিধিদের একাংশ। পরবর্তী পুর প্রধানের দৌড়ে থাকা সুপ্রকাশ গিরিকে মানবেন না বলে ইতিমধ্যে ন’জন পুর প্রতিনিধি রাজ্য নেতৃত্বের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন বলে তৃণমূল সুত্রের খবর। এমতাবস্থায় সুবলের পাল্টা নোটিসে শাসক দলের আরও অস্বস্তি বাড়ল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। গোটা ঘটনায় তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছে গেরুয়া শিবির। স্থানীয় বিধায়ক তথা বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অরূপ দাস বলছেন,”পুরোটাই সার্কাস চলছে। কাঁথি পুরসভাতে কে রাজা কে প্রজা? বোঝা মুশকিল।” যদিও, তৃণমূলের কাঁথি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি পীযূষ কান্তি পন্ডা বলছেন,”পুরপ্রধান কী নোটিস দিয়েছেন সে প্রসঙ্গে কোন মন্তব্য করব না। রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশ মেনে নির্দিষ্ট সময়ে সব কিছু হবে।”
তার বিরুদ্ধে অনাস্থা মিটিংয়ের আবেদন জানিয়েছিলেন তৃণমূলের ১৬ জন পুর প্রতিনিধি। ওই আবেদনে কোথাও পুর প্রধানের বিরুদ্ধে পুর প্রতিনিধিদের কি অভিযোগ রয়েছে , তার উল্লেখ ছিল না বলে পাল্টা চিঠিতে দাবি করেছেন সুবল।.
(Feed Source: abplive.com)