যা জানা গেল…
সূত্রের খবর,কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক রাজ্য সরকারের কাছ থেকে এই বিষয়ে বিশদ রিপোর্ট তলব করেছে। এতেই শেষ নয়। সূত্রের খবর, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক আরও জানতে চেয়েছে, ওই ঘটনাপ্রবাহের পর থেকে ঠিক কী কী পদক্ষেপ করেছে রাজ্য়। গত শুক্রবার তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে ইডি অভিযান ঘিরে সন্দেশখালিতে দুষ্কৃতী তাণ্ডবের অভিযোগ হয়। ইডি, সিআরপিএফ জওয়ান থেকে সংবাদমাধ্যম, রেহাই পায়নি কেউই। খবর করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছিল এবিপি আনন্দ, ভাঙা হয় ক্যামেরা, গাড়ি, মোবাইল ছিনতাইয়েরও অভিযোগ ওঠে। এবিপি আনন্দর চিত্র সাংবাদিককে তুলে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়, দুষ্কৃতীরা মারতে মারতে এলাকাছাড়া করে ইডি আধিকারিক, কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের। সন্দেশখালিতে দুষ্কৃতী তাণ্ডবে আক্রান্ত হন ৫ ইডি আধিকারিক। প্রাণে বাঁচতে এবিপি আনন্দর গাড়িতে আশ্রয় নেন ৪ ইডি আধিকারিক। এবিপি আনন্দর গাড়ি আটকে চালককে মারধর দুষ্কৃতীদের। জ্যোতিপ্রিয় ঘনিষ্ঠ শাহজাহানের সাম্রাজ্যে ইডির হানা ঘিরে দুষ্কৃতী তাণ্ডবের সাক্ষী ছিল সন্দেশখালি। সকাল ৭.১০ – শেখ শাহজাহানের বাড়িতে যায় ইডি। ১ ঘণ্টা অপেক্ষার পর কেন্দ্রীয় বাহিনী তালা ভাঙার চেষ্টা করতেই চড়াও দুষ্কৃতীরা।
ফিরে দেখা…
সন্দেশখালিতে তল্লাশি অভিযানে গিয়ে ইডি আধিকারিকদের উপর যে হামলা চলেছিল, তার প্রতিবাদে তীব্র আলোড়ন শুরু হয়েছে রাজ্য় রাজনীতিতে। শাসকদলের একাধিক নেতা-মন্ত্রীর অবশ্য যুক্তি ছিল, সে দিন যা ঘটেছে তা আসলে জনরোষের প্রকাশ। এদিন রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় যেমন বলেন, ‘ED গেলেই জন বিস্ফোরণ হবে। ওদের জনভিত্তি নেই, তাই কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে কাজে লাগিয়ে গণতন্ত্রকে হত্যা করছে। এর মোকাবিলা করবে আমাদের ছাত্র-যুব-শ্রমিক সংগঠন।’ তাঁর বক্তব্য , কেন্দ্রীয় এজেন্সি বিজেপির নির্দেশ মতো কাজ করছে। শোভনদেবের কথায়, ‘CAG রিপোর্টই বলছে, বিজেপির আমলে বিপুল অর্থের দুর্নীতি হয়েছে, সেখানে শেখ শাহজাহান তো কিছুই নয়’। এই নিয়ে নতুন বিতর্ক শুরু হয়েছে এদিন। তার মধ্যেই পিটিআই সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সন্দেশখালি থেকে বনগাঁয় ইডি-র আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় রিপোর্ট তলব করেছে।
(Feed Source: abplive.com)