১৯৬৪-তে রানার্স-আপের পরে ‘সেরা’ ফল ২০১৯-তে, একনজরে AFC এশিয়ান কাপে ভারতের ইতিহাস

১৯৬৪-তে রানার্স-আপের পরে ‘সেরা’ ফল ২০১৯-তে, একনজরে AFC এশিয়ান কাপে ভারতের ইতিহাস

আর কয়েক ঘন্টা পরই শুরু হবে এএফসি এশিয়ান কাপ। অংশগ্রহণকারী সব দল ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছে প্রস্তুতি। ভারতীয় শিবিরের ঠিক একই অবস্থা। সকলেই কড়া অনুশীলন করছেন দিন-রাত এক করে। দলের হেড কোচ ইগর স্টিম্যাচ ‘সেট পিস’এর ক্ষেত্রে ভালো করে প্রস্তুত করাচ্ছে দলকে। তবে এরই মাঝে আমরা দেখে নেব বিগত মরশুমগুলিতে ঠিক কেমন পারফরম্যান্স এসেছে ‘ব্লু টাইগার’দের থেকে। বর্তমানে ভারতীয় ফুটবল দল রয়েছে ১০২তম স্থানে। অর্থাৎ একেবারেই সুবিধাজনক অবস্থায় নেই তারা। তবে ব্যাপারটা চিরকাল এক ছিল না। ১৯৬৪ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত বেশকিছু নজরকাড়া পারফরম্যান্স এসেছে দলের থেকে।

১৯৬৪ সালে এই টুর্নামেন্টে খেলা হয়েছে মাত্র চারটি দলকে নিয়ে, যার মধ্যে ভারত ছিল একটি। সেই বছর ফাইনালে ইজরায়েলের হাতে পরাজিত হয় তারা। এরপর ফের ২০ বছর পর সুনীলরা যোগ্যতা অর্জন করেন এশিয়ান কাপ খেলার। যদিও সেই বছর বিশেষ কিছু করতে পারেনি তারা। ইরানের বিরুদ্ধে ড্র করে পেয়েছিলেন মাত্র একটি পয়েন্ট। বাকি ম্যাচগুলিতে কোনও ভাবেই সফল হয়নি। তারপর ফের ২০১১ সালে খেলার সুযোগ। শেষবারের মতো এবারও দাগ কাটতে সফল হয়নি দলের ফুটবলাররা। বিনা পয়েন্টেই টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যায় তারা। তবে ২০১৯ সালে শুরুটা দুর্দান্তভাবে করে ভারত। গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে পরাজিত করে থাইল্যান্ডকে। শুধু জয় নয়, একেবারে বড় ব্যবধানে ম্যাচ পকেটে তোলে তারা। ৪-১ গোলে জিতে শুরু করে টুর্নামেন্ট। তবে এবারও সঙ্গ দেয়নি ভাগ্য। বাকি দুই ম্যাচে জয় না পাওয়ার জেরে বিদায় জানায় টুর্নামেন্ট থেকে।

তবে এই বছর একটা বড় সুযোগ রয়েছে ঘুরে দাঁড়ানোর। এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন দলের তারকা স্ট্রাইকার সুনীল ছেত্রী। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের দল এই মুহূর্তে খুব ভালো জায়গায় এবং অবস্থায় রয়েছে। যদি আমাদের দ্বারা কোন বড়সড়ো ভুল না হয় তাহলে এই বছর আমরা পাকাপাকিভাবে টপ থ্রিতে শেষ করবো। প্রসঙ্গত, এবারের টুর্নামেন্টে ‘গ্রুপ বি’তে রয়েছে ইগর স্টিম্যাচের ছেলেরা। এছাড়াও এই গ্রুপে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, উজবেকিস্তান ও সিরিয়া। ভারতের প্রথম ম্যাচ ১৩ জানুয়ারিতে। এদিন আহমেদ বিন আলি স্টেডিয়ামে তারা মুখোমুখি হবে অস্ট্রেলিয়ার। এবার দেখার বিষয়, দীর্ঘ সময় ধরে পরাজয়ের খড়া কাটাতে পারে কিনা ভারত।’

(Feed Source: hindustantimes.com)