Cuba: পেট্রোলের দাম একধাক্কায় বাড়ল ৫০০ শতাংশ! চুরুটের দেশে জ্বালানির দাম আগুন…

Cuba: পেট্রোলের দাম একধাক্কায় বাড়ল ৫০০ শতাংশ! চুরুটের দেশে জ্বালানির দাম আগুন…

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: চুরুটের দেশে জ্বালানির দাম আগুন! কোনও দেশই মূল্যবৃদ্ধির কোপ থেকে রক্ষা পাচ্ছে না। মূল্যবৃদ্ধির ভয়াল কোপ এবার পড়ল জ্বালানির দামের উপরেও। কিউবায় একধাক্কায় ৫০০ শতাংশ বাড়ল পেট্রোলের দাম। চিন্তায় দেশবাসী। সংকটে অর্থনীতি।

পেট্রোলের দাম দু’ থেকে চার টাকা বাড়লেই যে কোনও দেশের মধ্যবিত্তদের নাজেহাল অবস্থা হয়। সেখানে একলাফে ৫০০ শতাংশ দাম বাড়াটা প্রায় অকল্পনীয় এক পরিস্থিতি। কিউবায় সেটাই ঘটেছে। সেখানে প্রায় নাগালের বাইরে চলে গিয়েছে জ্বালানি তেলের দাম।

কিউবা এই মূল্যবৃদ্ধির প্রকোপে একেবারে নুয়ে পড়েছে। এই মূল্যবৃদ্ধির জেরে জ্বালানি তেলের দাম সেখানে ৫ গুণ বেড়েছে। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে নতুন এই দাম কার্যকর হবে বলে জানা গিয়েছে।

কিন্তু কেন হঠাৎ কিউবায় জ্বালানি তেলের দামে এই লাফ?

জানা গিয়েছে, সেদেশের বাজেটে ঘাটতি মেটাতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কিউবার সরকারের তরফে। আগে যেখানে এক লিটার গ্যাসোলিনের দাম ছিল ২৫ পেসো, মার্কিন ২০ সেন্টের সমান। ভারতীয় মুদ্রায় ২৫ পেসো ১৪ টাকার সমান। সেই তেলের দামই এখন ১৩২ পেসো! আগামী ফেব্রুয়ারি থেকে ১ লিটার গ্যাসোলিন কিনতে সেখানে খরচ করতে হবে ৯০ টাকা। প্রিমিয়াম গ্যাসোলিনের দামও ৩০ পেসো থেকে বেড়ে ১৫৬ পেসোয় পৌঁছেছে।

সেখানকার এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলেছে সংবাদমাধ্যম। ডোমিনগো উয়ং নামের ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন, তাঁর বেতনের প্রায় সবটাই এবার জ্বালানি কিনতে খরচ হয়ে যাবে! কেন? তাঁর ব্যাখ্যা, যাঁদের বেতনই ২১ ডলার, অর্থাৎ, প্রায় ১৮০০ টাকা, তাঁরা প্রতি সপ্তাহে কীভাবে ১০ লিটার গ্যাসোলিন কিনবেন? ১০ লিটার গ্যাসোলিনের দাম পড়বে ৯০০ টাকা!

সাধারণ মানুষের আরও বক্তব্য, দেশে তো শুধু জ্বালানির দামই বাড়েনি, অনেক কিছুই বেড়েছে। বিদ্যুতের খরচও একধাক্কায় অনেকটা বেড়েছে। সরকারের তরফে বিদ্যুতের দাম ২৫ শতাংশ বৃদ্ধির কথা ইতিমধ্যেই ঘোষণা করা হয়ে গিয়েছে। তাহলে? সাধারণ মানুষ বাঁচবে কী করে?

মাত্র ১ কোটি ১০ লক্ষ জনসংখ্যার দেশ কিউবায় অনেকদিন ধরেই সংকট চলছে। তবে ১৯৯০-র দশকের পর সব থেকে ভয়ংকর আর্থিক সংকটের মুখোমুখি কিউবা, বলে উল্লেখ করছে সংশ্লিষ্ট মহল। করোনার সময় থেকেই এখানে দুর্দশার শুরু। একসঙ্গে অনেকগুলি ঘটনা ঘটে সেখানে– অর্থনীতির পতন, মার্কিন অনুদানে রাশ, পরিকাঠামোগত দুর্বলতা। এই সব নানা কারণে ক্রমশ ধসে পড়ছে ছোট্ট দেশ কিউবার অর্থনীতি।

গতবছর, ২০২৩ সালেই অবশ্য এর শুরু। কিউবার অর্থনীতি ২ শতাংশ পতন হয়েছিল ২০২৩ সালে। মূল্যবৃদ্ধি বেড়েছিল ৩০ শতাংশ। এর ফলে জ্বালানি-সহ অন্যান্য অত্যাবশ্যকীয় পণ্য কেনাও সেখানে যথেষ্ট কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিউবার সরকার প্রায় অধিকাংশ অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের উপরই ভরতুকি বরাদ্দ করেছিল। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতি সামাল দেওয়া গেল না।

(Feed Source: zeenews.com)