তাঁর অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে পোস্ট করা একটি অডিও বার্তায়, প্রধানমন্ত্রী মোদি জানালেন তিনি একটি ঐতিহাসিক এবং শুভ ঘটনার সাক্ষী হতে চলেছেন। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বলে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছেন মোদি।
তিনি বলেন, ‘রাম মন্দিরে রাম লালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা আর দিন কয়েকের অপেক্ষা। আর মাত্র ১১ দিন বাকি । ঈশ্বর আমাকে ভারতের জনগণের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য প্রস্তুত করেছেন। এই বিষয়টি মাথায় রেখে আমি আজ থেকে ১১ দিনের জন্য একটি বিশেষ আচার শুরু করছি।’ তিনি আরও বলেন যে, ‘এই সময়ে একজনের পক্ষে অনুভূতি প্রকাশ করা কঠিন…আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ছি। আমার জীবনে প্রথমবারের মতো আমি এমন অনুভূতি হচ্ছে। ‘ আবেগতাড়িত গলায় প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “জীবনের কিছু ঘটনা ঘটে যায় শুধুমাত্র ঈশ্বরের আশীর্বাদের জন্য। এই মুহূর্ত আমাদের সকলের জন্য এবং সারা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা রাম ভক্তদের জন্য একটি অতি পবিত্র উপলক্ষ। সর্বত্র ভগবান রামের ভক্তির এক অপূর্ব পরিবেশ তৈরি হয়েছে’
অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। এই অনুষ্ঠানে দেশ-বিদেশ থেকে হাজার হাজার মানুষ রাম জন্মভূমিতে জড়ো হবেন। বলিউড সেলিব্রিটি থেকে ক্রিকেটার, রাজনীতিক থেকে শিল্পপতি, তাবড় তাবড় ব্যক্তিরা হাজির থাকবেন সেদিন। ওইদিন অযোধ্যায় আমন্ত্রিতর তালিকায় ৭ হাজার জনেরও বেশি জন রয়েছে।
এর আগে গত ৩০ ডিসেম্বর, নবরূপে সজ্জিত ও নব-নামাঙ্কিত অযোধ্যা ধাম জংশন স্টেশনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। স্টেশনের প্রথম পর্যায়ের কাজের জন্য খরচ হয়েছে ২৪০ কোটি টাকা। রাম মন্দিরের আদলে গড়ে তোলা হবে অযোধ্যা ধাম জংশন স্টেশন। বিমানবন্দরের ধাঁচে অত্যাধুনিক তিনতলা স্টেশন বিল্ডিংয়ে থাকছে ফুড প্লাজা, বড় বড় দোকান, চাইল্ড কেয়ার রুম। থাকছে লিফট ও এসক্যালেটরের ব্যবস্থা। একইসঙ্গে সেদিন ৬টি বন্দে ভারত ও ২টি অমৃত ভারত এক্সপ্রেস-সহ ৮টি ট্রেনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এর মধ্যে রয়েছে মালদা-ব্যাঙ্গালোর অমৃত ভারত এক্সপ্রেস। রেল কর্মীদের সঙ্গে আলাপ-পরিচয় করেন মোদি। প্রধানমন্ত্রীর সফর উপলক্ষ্যে অযোধ্যা ধাম স্টেশন চত্বর মুড়ে ফেলা হয়েছিল রেড কার্পেটে। প্রধানমন্ত্রীকে স্টেশন ঘুরিয়ে দেখান রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। সঙ্গে ছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
(Feed Source: abplive.com)