সুপার কাপের দ্বিতীয় ম্যাচেও জয় ছিনিয়ে নিল ইস্টবেঙ্গল। রবিবার ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে তারা ২-১ গোলে হারিয়ে দিল শ্রীনিধি ডেকান এফসি-কে। প্রথমার্ধে ইস্টবেঙ্গল এদিন যতটা আক্রমণাত্মক খেলেছে, দ্বিতীয়ার্ধে ততটাই হতাশ করেছে। যার ফলও তারা হাতেনাতে পেয়েছে। তাদের গা-ছাড়া ভাবের সুযোগে পেনাল্টি পেয়ে যায় শ্রীনিধি। এবং তারা ১-২ করেও ফেলে। ডার্বিতে এরকম গা-ছাড়া ভাব আসলে কপালে দুঃখ থাকবে কার্লেস কুয়াদ্রাতের দলের।
জিতলেও দ্বিতীয়ার্ধে হতাশ করল ইস্টবেঙ্গল
শেষ পর্যন্ত আর ক্লিনশিট রেখে জেতা হল না ইস্টবেঙ্গলের। দ্বিতীয়ার্ধে হতশ্রী ফুটবল খেলল তারা। বরং অনেক বেশি লড়াই করল শ্রীনিধি ডেকান। ইস্টবেঙ্গলের গা-ছাড়া ভাবের জন্যই কিন্তু শ্রীনিধি পেনাল্টিটা পেয়ে যায়। যাইহোক সুপার কাপে পরপর দুই ম্যাচেই জিতে ডার্বি জমিয়ে দিয়ে লাল-হলুদ আর সবুজ-মেরুন। ডার্বি ম্যাচটি কার্যত সুপার কাপের কোয়ার্টার ফাইনাল হয়ে গেল।
গোওওওললল… ১-২ করল শ্রীনিধি ডেকান
৯০+১ মিনিট- পেনাল্টি থেকে গোল করতে কোনও ভুল করেননি উইলিয়াম! প্রভুসুখন পুরো উল্টো দিকে ঝাঁপান। ডেকানের জন্য ৫ মিনিট ইনজুরি টাইম দেওয়া হয়েছে। সমতা ফেরাতে পারবে তারা?
পেনাল্টি পেল শ্রীনিধি
৯০ মিনিট- নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার একেবারে শেষ মুহূর্তে পেনাল্টি পেয়ে গেল শ্রীনিধি। বক্সের ভিতর বিয়াকতেয়াকে অকারণে ফাউল করে বসেন অজয় ছেত্রী। পেনাল্টি পেয়ে যায় শ্রীনিধি।
ইস্টবেঙ্গলের সুযোগ নষ্ট
৮৭ মিনিট- ক্লেটন বক্সের প্রান্ত থেকে একটি বাঁকানো শট নেন। গোলরক্ষক ভালো সেভ করেন। তবে ফিরতি বলটি নন্দকুমারের কাছে এসে পড়ে। নন্দ শট নেন। তবে সেটিও সেভ হয়ে যায়। এর পর ডেকান বলটি ক্লিয়ার করে দেয়।
বিরতির পর জঘন্য ফুটবল লাল-হলুদের
৮৪ মিনিট- ডেকান কিছুটা গোলের জন্য তাও চেষ্টা করছে। কিন্তু ইস্টবেঙ্গলের যেন কোনও গোলের ইচ্ছে নেই। দ্বিতীয়ার্ধে অতি জঘন্য খেলছে লাল-হলুদ।
প্লেয়ার পরিবর্তন
৭৭ মিনিট- জোড়া পরিবর্তন করল ডেকান। কেন লুইস এবং মুথুকে তুলে নেওয়া হল। পরিবর্তে নামলেন সোংপু সিংসিট এবং লালনুন্টলুয়াঙ্গা বাভিটলুং।
খেলা সাময়িক বন্ধ
৭৬ মিনিট- অজয় ছেত্রী হেড করতে গিয়ে তাঁর নিজের দলের সতীর্থের সঙ্গে সংঘর্ষের চোট পান। তাঁকে বুক ধরে ছটফট করতে দেখা যাচ্ছে। রেফারি সাময়িক খেলা বন্ধ রেখেছেন।
ক্ষুব্ধ ক্লেটন
৭৫ মিনিট- ক্লেটন সিলভার বিরুদ্ধে রেফারি ফাউল দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হন তিনি। ব্রাজিলিয়ানের দাবি, তাঁকে ফাউল করা হয়েছে।
প্লেয়ার পরিবর্তন
৬৮ মিনিট- দুই দলই প্লেয়ার পরিবর্তন করল। ইস্টবেঙ্গল সিভেরিওতে তুলে শৌভিক চক্রবর্তীকে নামাল। ডেকান আবার কাস্তানেদাকে তুলে নিয়ে তাঁর জায়গায় উইলিয়ামকে নামাল।
আক্রমণাত্মক মেজাজ কোথায় হারিয়ে গেল লাল-হলুদের?
৬৭ মিনিট- প্রথমার্ধের মতো আক্রমণাত্মকই লাগছে না লাল-হলুদকে। বরং যখন তখন তারা গোল খেয়ে যেতে পারে। বরং শ্রীনিধি অনেক ভালো খেলছে দ্বিতীয়ার্ধে। বিরতির পর এখনও পর্যন্ত লাল-হলুদের কোনও ভালো মুভ নেই।
প্লেয়ার পরিবর্তন
৫৮ মিনিট- ইস্টবেঙ্গলের প্রথম পরিবর্তন। বোরহাকে তুলে নেওয়া হল। তাঁর সম্ভবত চোট লেগেছে। তাঁর পরিবর্তে নামলেম বিষ্ণু।
হলুদকার্ড
৫৭ মিনিট- ম্যাচে প্রথম হলুদকার্ড। বাঁ-দিকের টাচলাইনের কাছে হাসানকে ফাউল করার জন্য অজয় ছেত্রিকে সতর্ক করে হলুদকার্ড দেখানো হয়।
গা-ছাড়া ভাব লাল-হলুদের
৫০ মিনিট- বিরতির পর ইস্টবেঙ্গলের একটু গা-ছাড়া ভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বরং শ্রীনিধি ডেকান ভালো পাস খেলছে। আর সেই সুযোগেই লুইস ডান দিক থেকে কেটে একটি ক্রস বাড়ান, তবে সেটা সোজা কিপারের হাতে চলে যায়। ইস্টবেঙ্গলের জন্য কোনও অঘটন ঘটেনি।
প্লেয়ার পরিবর্তন
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই প্লেয়ার পরিবর্তন করে ডেকান। আম্বেকরকে তুলে লালবিয়াক্লিয়ানাকে নামানো হয়।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু
দ্বিতীয়ার্ধে ইস্টবেঙ্গল গোলের ব্যবধান বাড়াবে? নাকি ম্যাচে প্রত্যাবর্তন করবে শ্রীনিধি ডেকান? ম্যাচের বাকি ৪৫ মিনিটেই পাওয়া যাবে এর জবাব।
বিরতি
শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে ছিল ইস্টবেঙ্গল। তারা প্রথমার্ধেই ২-০ এগিয়ে যায়। সব সুযোগ ঠিকঠাক কাজে লাগলে, ব্যবধান বাড়তেই পারত।
২ মিনিট ইনজুরি টাইম
নির্দিষ্ট ৪৫ মিনিটের খেলা শেষ। ২-০ এগিয়ে রয়েছে ইস্টবেঙ্গল। ২ মিনিট ইনজুরি টাইম দেওয়া হয়েছে।
গোল বাতিল ডেকানের
৪৩ মিনিট- অফসাইড! লুইসের ক্রস ধরে ডেভিড কাস্তানেদার হেড করেছিলেন। গোল হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু অফসাইডের কারণে বাতিল করে দেওয়া হয় সেই গোল। অসন্তুষ্ট শ্রীনিধি ডেকান।
গোল করতে মরিয়া ক্লেটন
৩৯ মিনিট- ক্লেটন বক্সের বাইরে থেকে একটি গোলমুখী শট নেন। ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে বলটি বেড়িয়ে যায়। কর্নার পায় লাল-হলুদ।
গোওওওললল… ২-০ করে ফেলল ইস্টবেঙ্গল
৩১ মিনিট- সিভেরিও দুরন্ত গোল করলেন। হিজাজি লম্বা বল বাড়ান ক্লেটনকে লক্ষ্য করে। কিন্তু ক্লেটন বল নিয়ে এগোনোর আগেই পড়ে য়ান। তবে সিভেরিও সেই বল ধরে গোলমুখী শট নেন। বাঁ-পায়ে নেওয়া তাঁর ভলিটি ডেকানের প্লেয়ারের গায়ে লেগে জালে গিয়ে জড়ায়। ২-০ করে ফেলল ইস্টবেঙ্গল।
ব্যবধান বাড়াতে হবে লাল-হলুদকে
২৫ মিনিট- খেলার ২৫ মিনিট হয়ে গেল। আপাতত চাপ বজায় রেখেছে ইস্টবঙ্গল। তবে সব সুযোগ লাল-হলুদ কাজে লাগাতে পারছে না। তা হলে গোলের ব্যবধান আগেই বাড়ত। কিন্তু আরও ব্যবধান না বাড়াতে পারলে, চাপ রয়েছে। কারণ লাল-হলুদের গোল হজম করার বাজে রোগ রয়েছে। নন্দা একটি পেয়েও সেটি কাজে লাগাতে পারল না।
ফের সুযোগ নষ্ট লাল-হলুদের
১৮ মিনিট- নন্দকুমারকে লক্ষ্য করে একটি ডায়গোনাল শট খেলেন পার্দো। নন্দ বলটি আবার বোরহার দিকে ঢেলে দেন। বোরহার জন্য গোলের ভালো সুযোগ ছিল। কিন্তু তাঁর শট উপর দিয়ে বেরিয়ে যায়।
গোওওওওললল… ১-০ করলেন হিজাজি
১২ মিনিট- লাল-হলুদের হয়ে গোলের খাতা খুললেন হিজাজি মাহের!! সেটপিস থেকে দুরন্ত গোল করেন হিজাজি। তবে এই গোলের কৃতিত্ব যাবে নিশুর কাছেও। কারণ নিশু ফ্রিকিক থেকে মাপা শটে বল বাড়িয়েছিলেন হিজাজিকে। হিজাজি হেডে বলটি গোলে ঢোকান। হেডেও এত জোর ছিল যে, ডেকানের গোলকিপারের হাতে লাগলেও, সেটি আটকাতে তিনি পারেননি। দুরন্ত গোল। ১-০ এগিয়ে গেল ইস্টবেঙ্গল।
বড় মিস সিভেরিও-র
৭ মিনিট- সিভেরিওর জন্য সুবর্ণ সুযোগ!! শ্রীনিধির ডিফেন্স ভেঙে পার্দো বলটি নিয়ে আক্রমণে ওঠেন এবং বক্সের ছয় গজের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকা সিভেরিওকে বল বাড়ান। তবে সিভেরিও বল লক্ষ্যে রাখতে ব্যর্থ হন। বড় সুযোগ হারাল লাল-হলুদ।
বলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা লাল-হলুদের
৩ মিনিট- ইস্টবেঙ্গল শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে। তারা বলের নিয়ন্ত্রণ নিতে চাইছে। লাল-হলুদের তৎপরতায় কিছুটা হলেও যেন তটস্থ ডেকানের ডিফেন্ডাররা।
খেলা শুরু
ইস্টবেঙ্গলের সামনে লড়াইটা মোটেও সহজ হবে না। তবে তারা ক্লিনশিট রেখে জিততে মরিয়া। কী হবে খেলার ফল? জানতে হলে ম্যাচের ৯০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে।
কষ্ট করে জয় সবুজ-মেরুনের
হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে কষ্ট করেই জিততে হয়েছে মোহনবাগান। ৮৭ মিনিট পর্যন্ত তারা পিছিয়ে ছিল। তাও একটি আত্মঘাতী গোল এবং একটি পেনাল্টি থেকে গোল পেয়ে, শেষ পর্যন্ত কোনও মতে ২-১ ফলে জেতে বাগান। তবে গোটা ম্যাচ জুড়ে মোহনবাগান যে রকম খেলেছে, তাতেই চিন্তা বেড়েছে সবুজ-মেরুন সমর্থকদের। আগামী শুক্রবার বছরের প্রথম ডার্বি। তার আগে বাগানের খেলা মোটেই মন ভরাতে পারেনি।
শ্রীনিধি ডেকানের একাদশ
আরিয়ান লাম্বা, ইব্রাহিম সিসোকো, পবন কুমার, কেন লুইস, ফয়সাল শায়েস্তে, ডেভিড কাস্তানেদা, সাজিদ ধোত, মায়াকান্নান, এলি সাবিয়া, অভিশেক আম্বেকর, রিলওয়ান হাসান।
ইস্টবেঙ্গলের একাদশ
প্রভসুখন (গোলকিপার), রাকিপ, পার্দো, হিজাজি, নিশু, সাউল ক্রেসপো, অজয়, বোরহা, নন্দকুমার, ক্লেটন (অধিনায়ক), সিভেরিয়ো।
কুয়াদ্রাত উবাচ
শ্রীনিধি ডেকান ম্যাচের আগে ইস্টবেঙ্গলের স্প্যানিশ কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত বলছেন, ‘আমাদের জন্য একটা কঠিন ম্যাচ অপেক্ষা করছে। ওদের দলটা খুবই ভালো। আই লিগের অন্যতম শক্তিশালী দল। মোহনবাগানের কাজ কঠিন করেছিল। চেষ্টা করব, নিজেদের যে পরিকল্পনা রয়েছে সেই অনুযায়ী পারফর্ম করার। টানা দ্বিতীয় ম্যাচ জিততে চাই।’
গোলপার্থক্যের জেরে ক্লিনশিট রাখতে মরিয়া ইস্টবেঙ্গল
১৯ জানুয়ারি ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানের মধ্যে ডার্বি ম্যাচ কার্যত কোয়ার্টার ফাইনাল। তার আগে ইস্টবেঙ্গলও চাইবে সুপার কাপে মোহনবাগানের মতো একশো শতাংশ জয়ের রেকর্ড ধরে রাখতে। এদিকে এই টুর্নামেন্টের শেষের দিকে কাজে আসতে পারে গোলপার্থক্য। আর সে কারণেই ইস্টবেঙ্গলের লক্ষ্য ক্লিনশিট।
কঠিন লড়াই লাল-হলুদের সামনে
গ্রুপ এ-তে রয়েছে ইস্টবেঙ্গল। একই গ্রুপে রয়েছে মোহনবাগান, শ্রীনিধি ডেকান, হায়দরাবাদ। ইতিমধ্যে মোহনবাগান দু’টি ম্যাচ জিতে গিয়েছে। তাই চাপ বেড়ে গিয়েছে ইস্টবেঙ্গলের। আজই দুপুরে হায়দরাবাদ এফসি-কে হারিয়েছে মোহনবাগান। শ্রীনিধিকে যদি হারাতে না পারে ইস্টবেঙ্গল, তবে সুপার কাপের সেমিতে ওঠার লড়াই কঠিন হয়ে যাবে। আসলে গ্রুপ থেকে একটাই দল সেমিফাইনালে যাবে। সেই কারণটাই লড়াইটা হাড্ডাহাড্ডি।