শারীরিকের থেকেও ম্যাচটা অনেক বেশি ইমোশনাল ছিল, ইতিহাস গড়ে বললেন সুমিত নাগাল

শারীরিকের থেকেও ম্যাচটা অনেক বেশি ইমোশনাল ছিল, ইতিহাস গড়ে বললেন সুমিত নাগাল

দীর্ঘদিনের লড়াইয়ের পর অবশেষে সাফল্য। অস্ট্রেলিয়া ওপেন খেলার যোগ্যতা অর্জন করে প্রথম ম্যাচেই তিনি তাক লাগালেন। টানটান উত্তেজনার পর অবশেষে ম্যাচ জিতলেন তিনি। কাজাকিস্তানের অ্যালেকজান্ডার বুলবিকের বিরুদ্ধে ম্যাচ জিতে নিলেন সুমিত নাগাল। প্রায় তিন ঘন্টার কাছাকাছি হয় এই ম্যাচ। এই ম্যাচের ফলাফল দাঁড়ায় ৬-৪, ৬-২, ৭-৬ (৭-৫)। সোনি লিভের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করলেন যে টুর্নামেন্ট শুরুতে শারীরিক ভাবের চেয়ে মানসিক ভাবে অনেক বেশি চাপের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন। এখানেই শেষ নয়, তিনি আরও দাবি করেন যে প্রতিটি ম্যাচের সঙ্গে তাঁর খেলার উন্নতি হচ্ছে।

সুমিত নাগাল বলেন, ‘এই ম্যাচটা জিতে সত্যিই আমার খুব ভালো লাগছে। শেষ এক থেকে দেড় বছর আমার একেবারেই ভালো যাচ্ছিল না। ম্যাচ জিততে পারছিলাম না বলে। তবে সেই সময় আমি অনেককিছু শিখেছি। চোট লাগার পর টেনিস কি জিনিস আমি ভালো করে বুঝতে পেরেছিলাম। যোগ্যতা অর্জন রাউন্ড থেকে শুরু করে শেষ কয়েকদিন আমি মারাত্মক চাপের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলাম। শারীরিকের থেকেও ম্যাচটা অনেক বেশি ইমোশনাল ছিল।’

পাশাপাশি, নাগাল আরও দাবি করেন যে যত বেশি তিনি খেলছেন ততই তাঁর খেলার উন্নতি হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘তবে দিনের শেষে আমি এটাই বলবো যে যতো ম্যাচ আমি খেলছি, ততই আমার জন্য ভালো হচ্ছে। শুক্রবার আমার দুটো সেট খেলতে গিয়ে অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। কিন্তু আজ আমি তিনটে সেট খেলেছি। এমন পরিস্থিতির মুখে আমি আগে বেশি পড়িনি। আপাতত বুধবারের জন্য আমি ঠিক করে রেখেছি যে ঠান্ডা জলের ম্যাসাজ নেব।’

এছাড়াও, এই সাক্ষাৎকারে তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয় ম্যাচ প্রসঙ্গে। সেই প্রশ্নের উত্তরে সুমিত জানান, ‘দেখুন সত্যি বলতে গেলে আমি প্রথম থেকেই জানতাম এখানকার পরিস্থিতি ঠিক কেমন হবে। এখানে প্রচন্ড গরম এবং খেলতে চাপও হচ্ছিল। যে বড় সার্ভ করে সে কোনও দিনই হাওয়ায় সার্ভ করা পছন্দ করবেনা। সুতরাং আমি আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছিলাম ও যখনই সার্ভ করবে তখন ওকে পালটা ফিরিয়ে দেব। ঠিক সেটাই আমি করেছি এবং এটা ওর বিন্দুমাত্র পছন্দ হচ্ছিল না। প্রথম দুটি সেটে যে ফল হয়েছে সেটা ও একেবারেই চাইছিল না। আজ নিজের মাথাটা ঠান্ডা রেখেছি এবং জীবনের সেরা ম্যাচটি খেলেছি।’

(Feed Source: hindustantimes.com)