গুজরাটের লেকে বোট উলটে মৃত্যু হল কমপক্ষে ছয় স্কুলপড়ুয়ার। ভদোদরা লাগোয়া হরনি লেকের কাছে সেই দুর্ঘটনা ঘটেছে। সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে ওই বোটে মোট ২৭ জন পড়ুয়া ছিল। স্কুলের পিকনিকে গিয়েছিল ওই পড়ুয়ারা। সঙ্গে ছিলেন শিক্ষকরাও। লেকে বোটিংয়ের সময় বোট উলটে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটে। তার জেরে কমপক্ষে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। ইতিমধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে কয়েকজনকে। বাকিদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছে দমকল, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর (এনডিআরএফ) মতো উদ্ধারকারী দল।

‘হিন্দুস্তান টাইমস’ গ্রুপের ‘লাইভ হিন্দুস্তান’-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই পড়ুয়ারা ভদোদরার নিউ সানরাইজ স্কুলের। ওই স্কুল থেকে পড়ুয়াদের পিকনিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেইসময় দুর্ঘটনা ঘটেছে। প্রাথমিকভাবেই উদ্ধারকাজে হাত লাগান স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা কয়েকজন পড়ুয়াদের উদ্ধার করেন।প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, পড়ুয়া বা শিক্ষকদের কেউ লাইফ জ্যাকেট পরেননি। তাই বোট উলটে যাওয়ার পরে সকলে জলে ডুবে যান বলে দাবি করেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। যদিও বিষয়টি নিয়ে সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি।

আপাতত নিখোঁজের উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছেন দমকল, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা। লেকের জলে ডুবুরিদের নামানো হয়েছে। ভদোদরার জেলাশাসক এবি গোর বলেচেন, ‘অন্যান্য এজেন্সির সঙ্গে উদ্ধারকাজে নেমেছেন জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এবং দমকলের সদস্যরা। আমরা বাকিদের উদ্ধার করার চেষ্টা করছি।’

অন্যদিকে ভদোদরা দমকল বাহিনীর প্রধান বলেন, ‘(বৃহস্পতিবার) বিকেলের হরনি লেকে একটি বোট উলটে যায়। যে বোটে পড়ুয়ারা ছিল। আর তারা পিকনিকে এসেছিল। এখনও পর্যন্ত সাতজন পড়ুয়াকে উদ্ধার করেছে দমকল বাহিনী। নিখোঁজদের উদ্ধার করার চেষ্টা চালাচ্ছেন (জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এবং দমকলের সদস্যরা)।’

সেই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন গুজরাটের ভূপেন্দ্র প্যাটেল। তিনি বলেন, ‘ভদোদরার হরনি লেকে নৌকাডুবি হয়ে শিশুদের মৃত্যুর ঘটনা অত্যন্ত হৃদয়বিদারক। যে নিরীহ শিশুদের মৃৃত্যু হয়েছে, তাদের আত্মার শান্তি কামনা করছি। এই শোকের মুহূর্তে তাদের পরিবারকে গভীরভাবে সমবেদনা জানাচ্ছি। এই শোকের মুহূর্তে ঈশ্বর যেন তাঁদের শক্তি দেন। ওই নৌকায় যে পড়ুয়া ও শিক্ষকরা ছিলেন, তাঁদের উদ্ধারের চেষ্টা করা হচ্ছে। দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের অবিলম্বে সাহায্য প্রদান করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’