
কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা: শাসকের বিরুদ্ধে মুখ খুলতেই তাপস পালের (Late Tapas Paul) পরিবারকে একঘরে করে রাখার অভিযোগ। বাড়িতে পুলিশ ডেকে অভিযোগ তাপস পালের স্ত্রী ও মেয়ের। সাহায্যের জন্য রাজ্যের এক মন্ত্রীকে ফোন করলেও তিনি ধরেননি বলে অভিযোগ প্রয়াত তৃণমূল সাংসদের পরিবারের।
একঘরে করে রাখার অভিযোগ: ২০২০ সালে মৃত্যু হয় কৃষ্ণনগরের প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ তাপস পালের। গত বছর ডিসেম্বর মাসে রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে একের পর এক ইস্যুতে অভিযোগ করেন প্রয়াত সাংসদের স্ত্রী ও মেয়ে। আর ঠিক তার এক মাসের মাথায় এবার একঘরে করে রাখার মতো চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করলেন প্রয়াত সাংসদের পরিবারের সদস্যরা। শুক্রবার এবিপি আনন্দের মুখোমুখি হয়ে তাপস পালের স্ত্রী নন্দিনী পালের অভিযোগ করেন, ‘অসহযোগিতা চলছে, দুর্ব্যবহার চলছে, কাজের লোক আসছে না। যাদের জন্য তাপস করেছে, তারাই দুর্ব্যবহার করছে। শাসকের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছি, তাদের ইন্ধন ছাড়া এই কাজ কে করবে। অভিযোগ জানাতে রাজ্যের এক মন্ত্রীকে ফোন করলেও ধরেননি।’ তাপস-কন্যা সোহিনী বলেন, ‘নিরাপত্তাহীনতা বোধ করছি, আমি ভেঙে পড়েছি। এখন মনে হচ্ছে ব্রিটিশ আমল, বাম আমল ভাল ছিল। শিরদাঁড়া বেচে এই দল করতে হয়, বাবা পারেনি।’ গোটা বিষয়টা কুণাল ঘোষকে জানিয়েছি বলে দাবি তাপস পালের স্ত্রী-র।
এর আগে নন্দিনী পাল এবং কন্যা সোহিনী পাল তাপস পালের প্রতি দলের আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। এর আগে এবিপি আনন্দের মুখোমুখি হয়ে সোহিনী বলেছিলেন, “মুম্বই থেকে বাবার দেহ নিয়ে কলকাতায় আসি। যত ক্ষণ ক্যামেরা চলছিল, অরূপ বিশ্বাস আমাদের সঙ্গে ছিলেন। পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছিলেন। শেষকৃত্যের পর পারলৌকিক ক্রিয়ার কার্ড নিয়ে গেলে, অরূপ বিশ্বাস সামনে এসে তা নেননি। অরূপ বিশ্বাস আমার এবং মায়ের ফোন নম্বর ব্লক করে দেন। এই ভণ্ডামি কেন?” এর পাশাপাশি সোহিনীর প্রশ্ন তুলেছিলেন, “বাবার সঙ্গে কেন এমন বাজে ব্যবহার করা হল, অন্যদের সঙ্গে কেন হল না?” মমতাকে লাগাতার চিঠি লিখলেও, তাপস একটিরও জবাব পাননি বলেও জানিয়েছিলেন সোহিনী।
(Feed Source: abplive.com)
