প্রচারের ব্যস্ততা, রোম্যান্স হচ্ছে না, নুসরতের ভালো স্বামী হতে কী করতে চান যশ

প্রচারের ব্যস্ততা, রোম্যান্স হচ্ছে না, নুসরতের ভালো স্বামী হতে কী করতে চান যশ

‘কাজের চাপে সব রোম্যান্স হারিয়ে গিয়েছে’, নতুন ছবি ‘সেন্টিমেন্টাল’-এর প্রচারের ফাঁকে এমন মন্তব্য করে বসেন অভিনেতা যশ দাশগুপ্ত। ১৯ জানুয়ারি সিলভার স্ক্রিনে মুক্তি পেয়েছে যশ দাশগুপ্ত-নুসরত জাহান অভিনীত এবং প্রযোজিত ছবি ‘সেন্টিমেন্টাল’। যশরতের প্রযোজনা সংস্থার তরফে মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম ছবির প্রিমিয়ারে ছিল তারকার চাঁদের হাট।

বহুদিন পর পর্দায় ফিরছে যশ দাশগুপ্ত আর নুসরত জাহানের জুটি। গত বছরই নিজেদের প্রযোজনা সংস্থা ‘ওয়াইডি ফিল্মস’ লঞ্চ করেছিলেন তাঁরা। বিভিন্ন কলেজে গিয়েও ‘সেন্টিমেন্টাল’-এর প্রচার সেরেছেন যশরত। মুক্তির দিন সকালে লেক কালীবাড়িতে পুজোও দিয়েছেন দুজনে। যদিও ছবির প্রচারের মধ্যে আনন্দ প্লাসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে যশ স্বীকার করেছেন সেন্টিমেন্টালের ব্যস্ততার জেরে রোম্যান্স হারিয়ে গিয়েছে তাঁর জীবন থেকে।

ওই সাক্ষাৎকারে মজা করে অভিনেতা বলেছেন, কাজের চাপে সব রোম্যান্স হারিয়ে গিয়েছে। এবার ভালো স্বামী হয়ে উঠতে হবে। নুসরতের সব অভিযোগ মেটাতে হবে যশকে। এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে, কাজের ব্যস্ততা থেকে কয়েকটা দিন ছুটি পেতেই সময়টা নুসরতের সঙ্গে কাটাতে চান তিনি।

ছবির প্রচারে যশ-নুসরত দুজনেই জানিয়েছেন যেহেতু কমার্শিয়াল ছবির হাত ধরেই দুজনের উঠে আসা, তাই প্রযোজনা সংস্থার প্রথম ছবিও পুরোপুরি রেখেছেন বানিজ্যিক ঘরনার। যাতে মারপিট রয়েছে, রয়েছে হাসির খোরাক, ভরপুর প্রেম, আর কী চাই!

ইন্সপেক্টর সূর্য রায়ের চরিত্রে অভিনয় করছেন যশ এই ছবিতে। আর নুসরতের চরিত্রটির নাম পুজা। গল্পে দেখানো হয়েছে রঘুনাথপুরের বিধায়ক রুদ্রাণী চৌধুরী চালায় নারী পাচার, স্মাগলিং-এর ব্যবসা। আর সেসব আটকাতে ও রুদ্রাণীর আসল চেহারা সামনে আনতেই লড়াই যশের। তবে তারই মাঝে রোম্যান্সে মজে হ্যান্ডসাম পুলিশ অফিসার।

এদিকে ছবির নাম পরিববর্তনের পাশাপাশি বড় ঝামেলায় অভিনেত্রী। আলিপুর আদালতে বিচারাধীন নুসরতের ফ্ল্যাট প্রতারণা মামলা। ফ্ল্যাট প্রতারণা কাণ্ডে শনিবার আদালতে সশরীরে হাজিরা দেন তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান। আলিপুর জাজেস কোর্টের নির্দেশে হাজিরা অভিনেত্রীর। নিম্ন আদালতের নির্দেশ বহাল রেখেছিল আলিপুর জাজেস কোর্ট। সেই মোতাবেকই এই হাজিরা।

যদিও এদিন তাঁর হাজিরার দিন ছিল না বলেই জানা যাচ্ছে। আগামী ২৪ জানুয়ারি অভিনেত্রীকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু, এদিনই তিনি চলে এসেছিলেন আদালতে। সেভেন সেন্সস ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড নামে যে সংস্থার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে সেই সংস্থারই এক সময়ের ডিরেক্টর ছিলেন নুরসত। অভিযোগ, প্রায় ৪২৯ জন প্রবীণ নাগরিকের থেকে ফ্ল্যাট দেওয়ার নাম করে টাকা নেওয়া হয়েছিল। অভিযোগকারীদের দাবি, সেই টাকাতে লাভবান হয়েছিলেন খোদ নুসরত। তিনি নিজেও কিনেছিলেন ফ্ল্যাট। পাম অ্যাভিনিউতে কেনা হয়েছিল কোটি টাকার ফ্ল্যাট। যদিও নুসরত আগেই দাবি করেছিলেন যে অভিযোগ উঠছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।

(Feed Source: hindustantimes.com)