স্কুলগুলিতে কর্মরত ৪১ শতাংশ অঙ্ক শিক্ষক গণিত শেখেননি কলেজে, জানাল সমীক্ষা

স্কুলগুলিতে কর্মরত ৪১ শতাংশ অঙ্ক শিক্ষক গণিত শেখেননি কলেজে, জানাল সমীক্ষা

টাটা ইনস্টিটিউট অফ সোশ্যাল সায়েন্সস (TISS) এর একটি বিভাগ সেন্টার অফ এক্সসেলেন্স ইন টিচার এডুকেশন (CETE) এর একটি সমীক্ষা অনুসারে বিভিন্ন স্কুলের গণিত শিক্ষকদের মধ্যে প্রায় একের তৃতীয়াংশ শিক্ষক স্নাতক স্তরে অংক নিয়ে পড়াশোনা করেননি। এই সমীক্ষায় ভারতের ৮ টা রাজ্যের তথ্য সংগ্রহ করে একটি প্রতিবেদন (Report) প্রস্তুত করা হয়েছে। রাজ্যগুলি হল – মহারাষ্ট্র, বিহার, অসম, ছত্তিসগড়, কর্ণাটক, পাঞ্জাব, মিজোরাম, তেলেঙ্গানা।

‘The Right Teacher for Every Child’ নামক প্রতিবেদনটি উক্ত ৮ টি রাজ্যের ৪২২ টি বিদ্যালয়, ৩৬১৫ জন শিক্ষক, ৪২২ জন প্রধান শিক্ষক, ৬৮ টি শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, ১৪৮১ জন বি. এড (Bachelor of Education) এর ছাত্রছাত্রী এবং ২৬৮ জন শিক্ষক প্রশিক্ষকের উপর সমীক্ষা করে প্রস্তুত করা হয়েছে। এই প্রতিবেদনটিতে কত সংখ্যক শিক্ষক শিক্ষিকা আছে এবং তাদের কোথায় নিয়োগ করা প্রয়োজন সেই বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে।

সমীক্ষা থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে উক্ত আটটি রাজ্যের সরকারি এবং বেসরকারি উভয় স্কুলের ৩৫ থেকে ৪১ শতাংশ গণিত শিক্ষকেরা নির্দিষ্ট বিষয়টি তাদের স্নাতক স্তরে না পড়লেও ছাত্রছাত্রীদের অঙ্ক শেখানোর দায়িত্বে নিযুক্ত আছেন। এই সমীক্ষায় উঠে এসেছে যে বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষকের যে ঘাটতি বিভিন্ন স্কুলে তাতে গণিত বিষয়ের শিক্ষকের সংখ্যা সবচেয়ে কম, প্রায় ৩৫ শতাংশ শূন্য পদ আছে। অংকের পরেই এই তালিকায় আছে ইংলিশ যার ক্ষেত্রে শূন্য পদ ৩১ শতাংশ। এছাড়াও প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত যে শিক্ষকেরা পড়ান, তাদের অর্ধেকের বেশি সংখ্যক শিক্ষকদের প্রয়োজনীয় পেশাগত যোগ্যতা নেই এবং প্রায় ৩০ শতাংশ শিক্ষক এমন আছেন, যারা যে বিষয়ে স্কুলগুলিতে পড়ান সেই বিষয়ে তাদের প্রয়োজনীয় দক্ষতার অভাব আছে।

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াতে গেলে যে বিভিন্ন অসুবিধাজনক শর্তাবলির সম্মুখীন হতে হয় এবং সরকারি শিক্ষার প্রতিষ্ঠানে অনিয়মিত নিয়োগের ফলে শিক্ষকতা পেশার আকর্ষণ দিন দিন কমে যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে শিক্ষকতার ক্ষেত্রে এই সমীক্ষা থেকে প্রাপ্ত বিভিন্ন তথ্য এবং প্রবণতাগুলি আগামীতে শিক্ষক নিয়োগ, শিক্ষক প্রশিক্ষণ এবং বিভিন্ন স্কুলগুলিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে সমস্ত বিষয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা সরবরাহের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় হয়ে উঠবে।

(Feed Source: hindustantimes.com)