ফ্রিটজের বিরুদ্ধে জয়ের ফলে টানা ১১ বার অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের সেমিফাইনালে জকোভিচ

ফ্রিটজের বিরুদ্ধে জয়ের ফলে টানা ১১ বার অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের সেমিফাইনালে জকোভিচ

শুভব্রত মুখার্জি: কোনও কিছুই যেন নোভাক জকোভিচের পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারছে না। চলতি অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের প্রথম রাউন্ডে জকোভিচের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত লড়াই করছিলেন দিনো প্রিজমিক। চার ঘণ্টার উপর লড়াই করেও তিনি সে দিন আটকাতে পারেননি নোভাককে। আর এদিন যেন সেই ম্যাচের পুনরাবৃত্তি হল জকোভিচের কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে। যেখানে তাঁর বিরুদ্ধে পৌনে চার ঘণ্টা লড়াই চালিয়েও তাঁকে আটকাতে ব্যর্থ হলেন টেলর ফ্রিটজ। এদিনের ম্যাচ জিতে অপরাজিত ভাবে টানা ১১ বার অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের সেমিফাইনালে পৌঁছে গেলেন ভক্তদের আদরের জোকার। এদিন অস্ট্রেলিয়ার প্রচন্ড গরমে নাজেহাল অবস্থা হয়ে গিয়েছিল‌ নোভাক জকোভিচের। ম্যাচ চলাকালীন বারবার বরফ ভেজা তোয়ালে দিয়ে শরীর মুছতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। মাথায় ঠান্ডা করতে দিয়েছেন বরফ। তবে এত গরম কাবু করতে পারেনি তাঁকে।

গরম থেকে রক্ষা পেতে বরফ দিচ্ছেন নোভাক (ছবি-REUTERS)

কোয়ার্টার ফাইনালে টেলর ফ্রিটজকে হারিয়ে দিয়েছেন ৩৬ বছর বয়সি জকোভিচ। পৌঁছে গিয়েছেন কেরিয়ারে আরও একটি গ্রান্ড স্ল্যাম জয়ের আরও কাছে। মঙ্গলবার মেলবোর্নের রড লেভার এরিনায় কোয়ার্টার-ফাইনালে প্রথম সেটের টানটান লড়াই। সেট জেতেন নোভাক জকোভিচ। প্রথম সেট হারের পর দ্বিতীয় সেটে ঘুরে দাঁড়ান আমেরিকার ফ্রিটজ। এই সেটটি জিতে ম্যাচে কামব্যাক করেন তিনি । তবে পরে আর সেভাবে লড়াই করতে পারেননি তিনি। ফলে পৌনে চার ঘণ্টার লড়াই শেষে ৭-৬ (৭-৩), ৪-৬, ৬-২, ৬-৩ ফলে ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে চলে গেছেন জকোভিচ। মেলবোর্ন পার্কে এই নিয়ে পুরুষদের সিঙ্গেলস বিভাগে টানা ৩৩টি ম্যাচ জিতলেন নোভাক। যা অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ইতিহাসে রেকর্ড। এই নজির গড়লেন ১০ বারের চ্যাম্পিয়ন।

উল্লেখ্য পুরুষ সিঙ্গেলসে সর্বোচ্চ ২৪টি গ্রান্ড স্ল্যাম জিতেছেন জকোভিচ-

প্রসঙ্গত এবার অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে জিতলে কিংবদন্তি মার্গারেট কোর্টকে পিছনে ফেলবেন তিনি। মেলবোর্ন পার্কে এর আগে ১০টি সেমিফাইনাল খেলে ১০ টিতেই জিতেছেন তিনি। ইয়ানিক সিনার এবং আন্দ্রেই রুভলেভের ম্যাচের জয়ীর বিরুদ্ধে খেলবেন তিনি। ম্যাচে নোভাকের বিরুদ্ধে ১৫টি ব্রেক পয়েন্ট বাঁচিয়েও এদিন সুবিধা করতে পারেননি ফ্রিটজ। ম্যাচ জিতে নোভাক জকোভিচ জানিয়েছেন, ‘আমরা সবাই জানি এই মুহূর্তে টেনিস বিশ্বে টেলর হল এমন এক ক্রীড়াবিদ যার হাতে রয়েছে অন‌্যতম সেরা সার্ভ। তাই আমি জানি কতটা বিপদজনক হয়ে উঠতে পারে ও। এদিন ম্যাচে আমার কনভার্সন খুব খারাপ ছিল। তবে দিনের শেষে আমি ওঁকে ব্রেক করতে পেরেছি। ম্যাচ চলাকালীন তৃতীয় আমি নিজের খেলাটা অন্য পর্যায়ে নিয়ে যেতে সমর্থ হয়েছি। শেষ পর্যন্ত সেটা ধরে রেখেই আমি বাজিমাত করেছি।’

(Feed Source: hindustantimes.com)