কথা রাখলেন সলমন খান। দেখা করলেন নিজের ৯ বছরের ক্যানসার জয়ী ভক্তের সঙ্গে। ৯ বছর বয়সেই ৯ বার কেমোথেরাপি নিয়ে ক্যানসারকে পরাজিত করেছে জগনবীর। এর আগে ২০১৮ সালে মুম্বইয়ের টাটা মেমোরিয়াল সেন্টারে জগনবীরের সঙ্গে দেখা করেন সলমন। তখন তার বয়স ছিল মাত্র ৪। সেখানে তখন টিউমারের জন্য কেমোথেরাপি নিতে এসেছিল সে। সলমন তাঁর খুদে ভক্তকে কথা দিয়ে এসেছিলেন, ক্যানসারের সঙ্গে লড়াইয়ে জয়ী হলে, আবার তিনি দেখা করবেন। বলা বাহুল্য, ভাইজানের সেই প্রতিশ্রুতির কারণই ছিল জগনবীর যাতে জীবনযুদ্ধের লড়াইয়ে বিজেতা হতে পারে।

গত বছরই ক্যানসারকে হারিয়ে দিয়েছে এই খুদে। নিজের কথাও রেখেছেন সলমন খান। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসেই বান্দ্রার বাড়িতে দেখা করেছেন জগনবীরের সঙ্গে।

এক সাক্ষাৎকারে জগনবীরের মা, সুখবীর কৌর জানান, মাত্র ৩ বছর বয়সে তাঁর ছেলের চোখের দৃষ্টি হঠাৎই ঝাপসা হতে শুরু করেছিল। তারপর জানা যায়, ব্রেনে থাকা একটা ছোট্ট টিউমারের জন্য এমনটা হচ্ছে। এই অবস্থায় সেখানকার চিকিৎসকরা জগনবীরের মা-বাবাকে পরামর্শ দেন তাঁরা যেন দিল্লি বা মুম্বইতে নিয়ে গিয়ে ছেলের চিকিৎসা করান। এরপর বাবা পুষ্পিন্দর ঠিক করেন মুম্বই আসা। কিন্তু জগনবীর সবসময় ভাবত, সে বুঝি সলমন খানের সঙ্গে দেখা করতেই আসছে মায়ানগরীতে।

সুখবীর জানান, ছেলের এত উৎসাহ দেখে তিনি আর আসল সত্যি ফাঁস করেননি বছর তিনেকে জগনবীরের কাছে। এরপর সে হাসপাতালে ভর্তি হলে, একটি ভিডিয়ো রেকর্ড করা হয়েছিল, যেখানে সে সলমন খানের সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছে প্রকাশ করে। আর সেই ভিডিয়ো পৌঁছেও গিয়েছিল অভিনেতার কাছেষ তিনি টাটা মেমোরিয়ালে এসেই দেখা করেন জগনবীরের সঙ্গে। সলমনের মুখ আর আর তাঁর হাতের ব্রেসলেট ছুঁয়ে জগনবীর নিশ্চিত হয়েছিল তাকে দেখতে আসা মানুষটা সলমনই।

সুখবীর আনন্দের সঙ্গে জানান, তাঁর ছেলে এখন অনেক সুস্থ। ৯৯ শতাংশ দৃষ্টিশক্তিও ফিরে পেয়েছে। এখন সে স্কুলেও যাচ্ছে।

কাজের সূত্রে, সলমন খানকে শেষ দেখা গিয়েছিল টাইগার ৩ সিনেমায়। বক্স অফিসে তা ৪৬৬.৬৩ কোটির ব্যবসা করে। এরপর করণ জোহরের দ্য বুল-এ দেখা যাওয়ার কথা আছে করণ জোহরকে। ইন্ডিয়ান আর্মির অপারেশন ক্যাকটাস নিয়ে এই সিনেমা। মলদ্বীপকে সন্ত্রাসবাদী হামলা থেকে বাঁচানোর জন্য ঝাঁপিয়ে ছিল ভারত, নেতৃত্বে ছিলেন ব্রিগেডিয়ার ফারুক বুলসারা। ছবিতে সেই চরিত্রে দেখা যাবে ভাইজানকে।