কেমোর সাইড এফেক্ট দূর করবে কম ডোজের এই ওষুধ! কী বলছেন গবেষকরা? জেনে নিন

কেমোর সাইড এফেক্ট দূর করবে কম ডোজের এই ওষুধ! কী বলছেন গবেষকরা? জেনে নিন

কেমোর সাইড এফেক্ট নিয়ন্ত্রণ করতে একটি নতুন ওষুধ উদ্ভাবন করলেন পারেলের প্রিমিয়ার ক্যান্সার কেয়ার হাব টাটা মেমোরিয়াল সেন্টারের চিকিৎসকেরা। কম খরচেই কেমো থেরাপির সাইড এফেক্ট নিয়ন্ত্রণ করবে এই ওষুধ।

সাধারণত কেমোর সাইড এফেক্ট নিয়ন্ত্রণের জন্য যে মাত্রার ওষুধ ব্যবহার করা হয়। তার থেকে কম মাত্রার এই ওষুধ। পিয়ার-রিভিউড মেডিকেল জার্নাল, দ্য ল্যানসেট অনকোলজিতে প্রকাশিত হয়েছে যে এই ওষুধের ডোজ সাধারণ ডোজের প্রায় এক চতুর্থাংশতে নামিয়ে আনা হয়েছে।

চিকিৎসকেরা ওলানজাপাইন ড্রাগটি নিয়ে গবেষণা করেছিলেন, যা সিজোফ্রেনিয়া এবং বাইপোলার ডিসঅর্ডারে আক্রান্ত রোগীদের জন্য নির্ধারিত একটি বহুল ব্যবহৃত অ্যান্টি-সাইকোটিক ড্রাগ। ওলানজাপাইন কেমোথেরাপির মধ্য দিয়ে যাওয়া ক্যান্সার রোগীদের জন্যও নির্ধারিত হয় কারণ এটি বমি এবং বমি বমি ভাবের মতো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হ্রাস করতে পারে।

ল্যানসেট অঙ্কোলজি গবেষণাপত্রের প্রধান লেখক অধ্যাপক ডঃ জ্যোতি বাজপেয়ী জানান, ‘ কেমোথেরাপির পরে বমি বমি ভাব কমাতে রোগীদের ১০ মিলিগ্রাম ওলানজাপাইন দেওয়া হয়েছিল, এর ফলে রোগীদের মধ্যে অলসতা এবং অতিরিক্ত ঘুমের মতো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। তাই পরে ওলানজাপাইনের কম ডোজ নিয়ে ট্রায়াল চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

চিকিৎসকেরা গবেষণার জন্য ১৩ থেকে ৭৫ বয়সী মোট ২৬৭ জন রোগীর একটা দল বেছে নেন। রোগীদের দুটি দলে ভাগ করে নেওয়া হয়। প্রথম দলকে ১০ মিলিগ্রাম ডোজের ও অন্যদলকে ২.৫ মিলিগ্রামের ওলানজাপাইন দেওয়া হয়। এবার এই দুই দলের মধ্যে তুলনা করে দেখা হয় যে ওষুধটি কম মাত্রায় ব্যবহার করলে তা ঠিকমতো কার্যকরি কি না। ২০২১ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের ৩০ মে পর্যন্ত এই ট্রায়াল চালানো হয়, যেখানে বেশিরভাগ রোগীই স্তন ক্যান্সারে ভুগছিলেন।

পরে এই গবেষণার ফলাফলগুলি নিশ্চিত করে যে কেমোথেরাপির কারণে হওয়া বমি বমি ভাব নিয়ন্ত্রণে লো-ডোজ ওলানজাপাইনের সমান ভাবেই কাজ করে। এই ওষুধ ডায়াবেটিস বা ইমিউনোকম্প্রোমাইজড অবস্থার মতো কোমর্বিডিটি সহ ক্যান্সার রোগীদের সহায়তা করবে।

(Feed Source: hindustantimes.com)