এই সপ্তাহে প্রভাসাক্ষী নিউজ নেটওয়ার্কের বিশেষ অনুষ্ঠান শৌর্য পথ-এ আমরা ব্রিগেডিয়ার শ্রী ডিএস ত্রিপাঠীর (অব.) কাছে জানতে চেয়েছিলাম ইসরাইল-হামাস সংঘর্ষ এখন কোন দিকে যাচ্ছে? তিনি বলেন, মনে হচ্ছে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বদ্ধপরিকর যে তিনি গাজাকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করেই মারা যাবেন, তাই তিনি কারো কথা শুনছেন না এবং যুদ্ধবিরতির প্রচেষ্টাও এগোচ্ছে না। তিনি বলেন, সর্বশেষ খবর হচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী গাজার প্রধান দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসের দুটি হাসপাতালের আশেপাশের এলাকায় বারবার বোমা হামলা চালিয়েছে, এতে বিপুল সংখ্যক বাস্তুচ্যুত মানুষ নিহত হয়েছে। তিনি বলেন, দক্ষিণে হামাসের প্রধান শক্ত ঘাঁটি দখল করতেই এই অভিযান চালানো হয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় খান ইউনিসের একটি আবাসিক বাড়িতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় দুই শিশুসহ অন্তত ৫০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।

ব্রিগেডিয়ার শ্রী ডিএস ত্রিপাঠি জি (অব.) বলেছেন যে স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন যে শহরটি এখন ইসরায়েলি সাঁজোয়া বাহিনী দ্বারা বেষ্টিত এবং সেখানে প্রায় অবিরাম বিমান ও স্থল গোলাবর্ষণ চলছে। তিনি বলেন, ফিলিস্তিনি চিকিৎসকরা আরও বলেছেন যে ইসরায়েলি ট্যাঙ্ক আসছে এবং শহরের দুটি প্রধান হাসপাতাল – নাসের এবং আল-আমলের চারপাশে লক্ষ্যবস্তুতে গোলাবর্ষণ করছে, মেডিকেল দল, রোগী এবং বাস্তুচ্যুত লোকদের ভিতরে বা আশেপাশেই হত্যা করছে। কাছাকাছি আশ্রয় নিচ্ছে। তিনি বলেন যে গাজা স্ট্রিপের 2.3 মিলিয়ন জনসংখ্যার বেশিরভাগই এখন খান ইউনিস এবং এর উত্তর ও দক্ষিণের শহরগুলিতে সীমাবদ্ধ।

ব্রিগেডিয়ার শ্রী ডি এস ত্রিপাঠী (অব.) বলেছেন যে খান ইউনিসের প্রধান হাসপাতালগুলি ইসরায়েলি বাহিনী ঘেরাও করে রেখেছে কারণ ইসরায়েল বলে যে হামাস সন্ত্রাসীরা আক্রমণের জন্য ঘাঁটি হিসাবে ব্যবহার করে, যদিও ইসলামিক গ্রুপ এবং হাসপাতালের কর্মীরা এটি অস্বীকার করে। তিনি বলেন, ডাক্তার এবং বাসিন্দারা বলছেন যে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর অগ্রগতির সাথে বাস্তুচ্যুত লোকদের নিরাপদে আশ্রয় দেওয়ার জন্য ক্রমবর্ধমান কম জায়গা রয়েছে।

ব্রিগেডিয়ার শ্রী ডি এস ত্রিপাঠী (অব.) বলেছেন যে জাতিসংঘ আরও বলেছে যে ইসরায়েলি ট্যাঙ্কগুলি গাজায় বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য জাতিসংঘের একটি বড় কম্পাউন্ডে আক্রমণ করেছে, কমপক্ষে নয় জন নিহত এবং 75 জন আহত হয়েছে। তবে ইসরায়েল ঘটনার জন্য তার বাহিনীকে দায়ী করার বিষয়টি অস্বীকার করেছে এবং বলেছে যে হামাস গোলাবর্ষণের সূচনা করতে পারে, তিনি বলেছিলেন। তিনি বলেন, ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন যে গাজায় অন্তত ২৫,৭০০ মানুষ মারা গেছে, বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ এবং ব্যাপকভাবে দরিদ্র স্থানগুলির মধ্যে একটি, এবং ইসরায়েলি বোমাবর্ষণে ভূখণ্ডের বিশাল অংশ ধ্বংস হয়ে গেছে।

(Feed Source: prabhasakshi.com)