পার্বতী বড়ুয়া। হাতিদের পরম বন্ধু। সেই কোন ছোট্টবেলা থেকে হাতিদের বন্ধু হিসাবে বেছে নিয়েছিলেন তিনি। আর সেই বন্ধুত্ব আজও অটুট। দেশের প্রথম মহিলা মাহুত হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছিলেন তিনি। আর গত প্রায় পাঁচ দশক নিজের সুখ দুঃখ সবটা সেই হাতিদের সঙ্গেই ভাগ করে নিয়েছেন পার্বতী বড়ুয়া। এবার পদ্মশ্রী পাচ্ছেন তিনি।
ওয়াইল্ড লাইফ ফোরাম তাঁকে কুইন অফ এলিফ্যান্ট বলেই চেনে। তিনি অসমের গৌরীপুরের কন্যা। হাতির সঙ্গে এমন সখ্য়তা বড় একটা দেখা যায় না। সেই ছোট্টবেলা থেকে বাচ্চা হাতিদের সঙ্গে খেলতেন তিনি। বাবা প্রকৃতীশ বড়ুয়াও ছিলেন হস্তিবিশারদ। আর মেয়ে পার্বতী দেশের প্রথম মহিলা মাহুত হিসাবে পরিচিত। এমনকী ফাঁদ পেতে হাতি ধরার ক্ষেত্রে তাঁর জুড়ি মিলত না একটা সময়।
জন্মেছিলেন ১৯৫৩ সালে। শুনতে আশ্চর্য মনে হলেও ১মাস ১৭ দিন বয়স থেকে হাতির সঙ্গে সাক্ষাৎ পার্বতী। আর তখন থেকেই মনে হয় ঠিক হয়ে গিয়েছিল এই জীবনে পার্বতী দেবীর বন্ধু বলতে ওই হাতিরাই। বার বার জঙ্গলে ছুটে গিয়েছেন তিনি। পথে পথে বিপদের হাতছানি। তবুও তিনি হাতির কাছে গিয়েছেন, হাতির পাশে থেকেছেন। ও মোর মাহুত বন্ধুরে… হাতি মেরে সাথী যেন তাঁর জীবনের সঙ্গেই মেলে।
ছোটবেলা থেকেই মেয়ে দেখত বাবার সারা দিন কাটে জীবজন্তুদের সঙ্গে। গদাধর নদীর ধারে বিরাট বাড়িতে থাকতেন প্রকৃতীশ বড়ুয়া তথা লালজী। সেই বাবার মেয়ে পার্বতী ছোটবেলা থেকেই খেলনা নয় খেলেছেন জীবজন্তুদের সঙ্গে।
ফাঁদ দিয়ে কীভাবে হাতি ধরতে হয়, কীভাবে হাতির পিঠে চড়তে হয়, কীভাবে হাতিদের বশ মানাতে হয় সবটাই ধাপে ধাপে শিখেছেন বাবার কাছে। জঙ্গলে কীভাবে কাটাতে হয়, রাত কাটাতে হয় সবটা ধাপে ধাপে শিখেছেন তিনি। হাতি বন্ধু। আর সেই বন্ধুরা যে খুব বুদ্ধিমান এটা বার বার বলেছেন পার্বতী। গোটা দেশে বার বার ডাক পড়েছে তাঁর বন্যপ্রাণ সংরক্ষণে। তিনি বন্যপ্রাণ সংরক্ষণে একেবারে পুরোধা। সেই হাতির পরম বন্ধু পার্বতী বড়ুয়া এবার পাচ্ছেন পদ্মশ্রী।
(Feed Source: hindustantimes.com)