ভুল তথ্য দিয়ে গাড়ি বিক্রি? ২০ বছর পর মারুতি সুজুকির বিরুদ্ধে অভিযোগ গ্রাহকের

ভুল তথ্য দিয়ে গাড়ি বিক্রি? ২০ বছর পর মারুতি সুজুকির বিরুদ্ধে অভিযোগ গ্রাহকের

মারুতি সুজুকি ইন্ডিয়া লিমিটেড, ভারতের একটি শীর্ষস্থানীয় গাড়ি প্রস্তুতকারক, বড়সড় বিপাকে পড়েছে এবার। অভিযোগ উঠেছে, গাড়ি বিক্রির আগে ক্রেতাকে আকর্ষণ করতে গাড়ির জ্বালানি দক্ষতা অর্থাৎ মাইলেজ সংক্রান্ত ভুল তথ্য দিয়েছে মারুতি। যার দরুণ এবার ওই গ্রাহককে ১ লক্ষ টাকা ফেরত দিতে বাধ্য কোম্পানিটি। সবটা বিচার বিবেচনা করে ন্যাশনাল কনজিউমার ডিসপিউটস রিড্রেসাল কমিশন (NCDRC) এমনই নির্দেশ দিয়েছে।

ডঃ ইন্দর জিত সিংয়ের নেতৃত্বে এনসিডিআরসি বেঞ্চ, গত সপ্তাহে একটি রায়ে জানিয়েছে, সাধারণত, একটি গাড়ির সম্ভাব্য ক্রেতা গাড়িটি কেনার আগে এর গুরুত্বপূর্ণ দিক হিসাবে গাড়ির জ্বালানি দক্ষতা বৈশিষ্ট্য অর্থাৎ মাইলেজের ব্যাপারেই জানতে চায়। সেই জন্যই তাঁরা নিজেদের বাজেটের মধ্যে একাধিক ব্র্যান্ড কিংবা গাড়ির দেখে শুনে পছন্দের গাড়িটিকে কিনে ফেলে। আর সেই ক্ষেত্রেই বিভিন্ন গাড়ির ডিলাররা নিজেদের গাড়ির ক্রয় বাড়াতে ভুল তথ্য দিয়ে দেন। আর গত ২০০৪ সালে এমনই একটি বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন দিয়েছিল কোম্পানি। যা সত্যিই অন্যায়।

মারুতি সুজুকির বিরুদ্ধে ভুল মাইলেজ তথ্য দেওয়ার অভিযোগটি দায়ের করেছেন রাজীব শর্মা, যিনি ২০০৪ সালে গাড়িটি কিনেছিলেন। প্রতি লিটারে ১৬-১৮ কিলোমিটার জ্বালানীর প্রতিশ্রুতি দেওয়া একটি বিজ্ঞাপন দেখেই তিনি এটি কেনেন। যাইহোক, কেনার পর, মিঃ শর্মা গাড়িটির প্রকৃত মাইলেজ যথেষ্ট কম বলে দাবি করেন। শর্মা জানান, গড় প্রতি লিটারে মাত্র ১০.২ কিলোমিটার চলে গাড়িটি। উল্লেখ্য, জেলা উপভোক্তা বিরোধ নিষ্পত্তি ফোরামের কাছে এই অভিযোগ করেন তিনি। মোট ৪,০০,০০০ টাকার সুদ, রেজিস্ট্রেশন খরচ এবং বীমা সহ গাড়ির ক্রয় মূল্যের সম্পূর্ণ অর্থ ফেরত দেওয়ার অনুরোধ করেন। জেলা ফোরাম আংশিকভাবে তাঁর অনুরোধ মঞ্জুর করে, তাঁকে আপাতত ১ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণ প্রদান করেছে।

এই সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট হয়ে মারুতি সুজুকি রাজ্য কমিশনের কাছে আবেদন জানায়। যদিও জেলা ফোরামের নির্দেশই বহাল রেখেছে রাজ্য কমিশন। এরপর মামলাটি বিচারপতি ইন্দর জিত সিংয়ের নেতৃত্বে এনসিডিআরসি-তে যায়। মিঃ শর্মার প্রতিনিধিত্ব করেন আইনি পরামর্শদাতা তরুণ কুমার তিওয়ারি, আর মারুতি সুজুকির প্রতিনিধিত্ব করেন ভিপিন সিঙ্গানিয়া এবং দিবাকর।

ডিডি মোটরস, ডিলারশিপ থেকে মিঃ শর্মা গাড়িটি কিনেছিলেন। সমন পেলেও তা আদালতে পৌঁছায়নি। ফলস্বরূপ, মামলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল মামলাকারীর অনুপস্থিতিতেই। উভয় পক্ষই এনসিডিআরসি-তে লিখিত যুক্তি দাখিল করেছে, মিঃ শর্মা ৭ আগস্ট, ২০২৩-এ তার মামলা উপস্থাপন করেছেন এবং মারুতি সুজুকি ২ নভেম্বর, ২০২৩-এ জবাব দিয়েছেন। এরপর মিস্টার শর্মাকে ১ লাখ ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ পৌঁছোয় ওই অটোমোবাইল জায়ান্ট-র কাছে।

(Feed Source: hindustantimes.com)