মাধ্যমিকে ভৌতবিজ্ঞানে কীভাবে বেশি নম্বর মিলবে? পরীক্ষার আগে কয়েকটি টিপস শিক্ষকের

মাধ্যমিকে ভৌতবিজ্ঞানে কীভাবে বেশি নম্বর মিলবে? পরীক্ষার আগে কয়েকটি টিপস শিক্ষকের

মাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ে কী পরামর্শ দেবেন?

মাধ্যমিক পরীক্ষা আসন্ন। হাতে মাত্র আর কয়েকটা দিন। প্রস্তুতি একেবারে শেষ পর্যায়ে। জীবনের প্রথম পরীক্ষা, তোমাদের কাছে কিছুটা বাড়তি চাপ নিয়েই আসে। তবুও সঠিক পরিকল্পনা করে এগোতে হবে, যাতে নিজেদের সেরাটা দিতে পার। নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখতে হবে। মনে রাখবে যে সেলফ কনফিডেন্স সাফল্যের চাবিকাঠি। পরীক্ষার আগে এই কয়েকটা দিন শরীরের যত্ন নিতে হবে। বেশ রাত জেগে লেখাপড়া করা যাবে না।

আপনার বিষয় ভৌতবিজ্ঞানের প্রস্তুতি নিয়ে কী বলবেন?

ভৌতবিজ্ঞানের বিষয়-শিক্ষক হিসাবে কিছু কথা তো বলতেই হয়। প্রথমে খাতায় মার্জিন দিয়ে রোল, নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর সঠিকভাবে লিখতে হবে। সকাল ৯টা ৪৫মিনিটে প্রশ্ন হাতে পাবে, প্রশ্নটা ভালো করে পড়বে। ‘অথবা’ থাকলে পেনসিল দিয়ে দাগ দিয়ে দেবে। যে প্রশ্নগুলোর পার্ট-মার্কিং বেশি, সেই প্রশ্নগুলোকে লেখার চেষ্টা করবে, এতে নম্বর ভালো পাওয়া যায়। প্রতিটা প্রশ্নের দাগ নম্বর স্পষ্ট করে লিখবে, প্রতিটি উত্তরের শেষে একটু জায়গা ছেড়ে দেবে।

খাতা সাজানো বা প্রেজেন্টেশনের দিকে বিশেষ নজর দিতে বলছেন?

অবশ্যই। ভৌতবিজ্ঞানের ক্ষেত্রে একক/ইউনিট খুব গুরুত্বপূর্ণ। ভুল একক বা একক না লিখলে ১/২ নম্বর কাটা যায়। তাই সঠিক একক ব্যবহারে সতর্ক থাকবে। পার্থক্য লেখার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত পয়েন্ট লিখলে সুবিধা পেতে পার। দুটি পার্থক্য লিখতে বললে তিনটি পার্থক্য লিখে দিয়ে আসতে পার।

ভৌতবিজ্ঞানের গাণিতিক সমস্যাগুলো ছাত্রছাত্রীদের অন্যতম ভীতির বিষয়, এই নিয়ে যদি কিছু বলেন।

গাণিতিক সমস্যা সমাধানে ওয়ার্কিং ফর্মুলার লিখে, প্রতিটি চিহ্নের অর্থ লিখে দেবে এবং একই পদ্ধতি (CGS অথবা SI) অনুসরণ করবে। সূত্র লেখার সময় ধ্রুবক রাশিগুলিকে উল্লেখ করতে হবে। গাণিতিক আকার দিয়ে দিলে ভালো হয়।

কীভাবে ছেলেমেয়েরা ভালো নম্বর পেতে পারে ভৌত বিজ্ঞানে?

ভৌতবিজ্ঞানে ফুল মার্কস পাওয়া খুব কঠিন কিছু নয়। সাধারণ ভুলগুলোকে কমাতে পারলেই ভালো নম্বর উঠবে। লেখা শেষ করে অবশ্যই উত্তরগুলোকে আরেকবার পড়ে দেখে নেবে। ভৌতবিজ্ঞানে সাধারণ ভুলগুলো উল্লেখ করছি। আলোরশ্মির ক্ষেত্রে অবশ্যই তীর চিহ্ন দিতে দেবে, পেন্সিল দিয়ে চিত্র অঙ্কন করবে। রোধাঙ্কের সংজ্ঞায় উষ্ণতার উল্লেখ করবে। এছাড়া, ইলেকট্রন ডট গঠনের লেখার সময় ইলেকট্রন বিন্যাস লিখবে। তড়িৎলেপনের সংজ্ঞাতে তড়িৎ বিশ্লেষণের উল্লেখ করতে হবে। রাসায়নিক বিক্রিয়ার ক্ষেত্রে সমীকরণ-এর সঙ্গে বর্ণ,গন্ধের পরিবর্তন উল্লেখ করবে। আর অবশ্যই ‘IUPAC’ নাম লেখার সময় বানান খেয়াল করবে। ব্যস, এই দিকগুলো মাথা রাখলেই পরীক্ষা ভালো হবে।

(Feed Source: hindustantimes.com)