বিশ্বরেকর্ড করে বিশ্বকে চমকে দিয়েছে দুই বছরের এক বাচ্চা। ছেলেটি এমন কিছু করেছে যা সাধারণ মানুষ স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারবেন না। ব্রিটেনে বসবাসকারী এই শিশুর নাম কার্টার ডালাস। কার্টার এভারেস্ট বেস ক্যাম্পে পৌঁছে বিশ্ব রেকর্ড গড়েছে। ২৫ অক্টোবর, কার্টার সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৭,৫৯৮ ফুট উচ্চতায় নেপালের দক্ষিণ শিখরে আরোহণ করেন, বাবা মায়ের হাত ধরেই। কার্টারের বাবার বয়স ৩১ বছর, নাম রস আর মায়ের বয়সও ৩১, নাম জেড। দীর্ঘ এক বছর হয়েছে, পরিবারটি গ্লাসগো থেকে এসে এশিয়ায় ভ্রমণ করছে।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, আগের বেস ক্যাম্প রেকর্ডটি চেক প্রজাতন্ত্রের চার বছরের একটি বাচ্চার দখলে ছিল। এবার তাঁকে সর্বকনিষ্ঠ হিসাবে বেশ ক্যাম্পের শিরোপা মাথায় তুলে নিয়েছেন বছর দুইয়ের কার্টার। ছেলের সাফল্যের কথা বলতে গিয়ে, এদিন রস বললেন, ‘কার্টার আমার এবং তাঁর মায়ের মুখ উজ্জ্বল করেছে। আমাদের দুজনেরই উচ্চতা নিয়ে একটু সমস্যা শুরু হয়েছিল কিন্তু সে একেবারেই ভয় পায়নি। বেস ক্যাম্পের আগে গ্রামের উপস্থিত দুই চিকিৎসক তাঁকে দেখেন। তাঁর শরীর ভালো আছে কি না তা জানার জন্য রক্ত পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার রিপোর্ট আমাদের থেকে অনেক ভালো ছিল। আমরা ট্রেকের জন্য একটি ফুড জ্যাকেট এবং দুটি স্লিপিং ব্যাগ কিনলাম। অবশ্যই আমরা কোনোরকম চিন্তাভাবনা না করে এই কাজ শুরু করেছি এবং সফলও হয়েছি।’
রস আরও জানিয়েছেন যে তিনি জানতেন যে তাঁর পরিবার এই ভ্রমণের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত ছিল। শিশু কার্টার সহ পুরো পরিবার বরফে স্নান করেছে। রস এবং তাঁর স্ত্রী জেড ভ্রমণের জন্য অগস্ট ২০২৩ সালে স্কটল্যান্ডে নিজেদের জন্য বাড়ি ভাড়া নিয়েছিলেন। এরপর প্রথমে তাঁরা ভারতে এবং পরে শ্রীলঙ্কা ও মলদ্বীপে যান। এবং সেখান থেকে ভারতে ফিরে আসেন। তারপরে ইউনিভার্সাল স্টুডিওতে কার্টারের জন্মদিন উদযাপন করতে সিঙ্গাপুর যাওয়ার আগে পরিবারটি নেপাল এবং তারপরে মালয়েশিয়ায় যায়। তারা থাইল্যান্ডও গিয়েছিলেন। কাঠমান্ডু পৌঁছানোর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তাঁরা আরোহণ শুরু করেন বলে জানান।
উল্লেখ্য, বর্তমান বেস ক্যাম্পে পৌঁছোনো সবচেয়ে কনিষ্ঠ রেকর্ডধারী হলেন জারা, যিনি মাত্র ৪ বছর বয়সে বেস ক্যাম্পে ১৭০ মাইল (২৭৪ কিমি) যাত্রা করেছিলেন। তার আগে, মাউন্ট এভারেস্ট বেস ক্যাম্পে পৌঁছানোর সবচেয়ে কম বয়সী ব্যক্তির বিশ্ব রেকর্ডটি প্রিশা লোকেশ নিকাজুর হাতে ছিল, যিনি ২০২৩ সালে আরোহণের সময় মাত্র পাঁচ বছর বয়সী ছিলেন। এরপর এবার কার্টার, মাত্র ২ বছরেই ভাঙলেন জারার রেকর্ড। সেই কারণেই এটি বিশ্ব রেকর্ড হয়েছে বলেই আশা করছেন কার্টারের বাবা মা।
(Feed Source: hindustantimes.com)