গ্রেফতারির বিরুদ্ধে হেমন্তের আর্জির শুনানি আগামিকাল সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ বেঞ্চ

গ্রেফতারির বিরুদ্ধে হেমন্তের আর্জির শুনানি আগামিকাল সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ বেঞ্চ

ঝাড়খণ্ডের রাজনীতি তোলপাড় করে গ্রেফতার হয়েছেন সেরাজ্যের সদ্য পদ থেকে সরে যাওয়া মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। ইডির হাতে গ্রেফতার হন হেমন্ত। সেই গ্রেফতারির বিরুদ্ধে মামলা করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। জানা গিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ তিন বিচারপতির বেঞ্চে হবে হেমন্তের গ্রেফতারির বিরুদ্ধে শুনানি। বিচারপতি সঞ্জীব খান্না, বিচারপতি এম এম সুন্দরেশ এবং বিচারপতি বেলা ত্রিবেদীর বিশেষ বেঞ্চ আগামিকাল হেমন্ত সোরেনের অবিলম্বে মুক্তির আবেদনের আবেদনের শুনানি হবে।

এক জমি দুর্নীতি মামলায় হেমন্ত সোরেনের বিরুদ্ধে রয়েছে বড় অভিযোগ। তা নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে হেমন্তের দিল্লির বাড়িতে তল্লাশিও চালিয়েছে ইডি। তার আগে তিন বার ইডির ডাকে হেমন্তকে যাওয়ার জন্য সমন পাঠানো হলেও, তিনি সেখানে যাননি। এরপরই হেমন্তের দিল্লির বাড়ি তল্লাশিতে নামে ইডি। উদ্ধার হয় ৩৬ লাখ টানা নগদ। বাজেয়াপ্ত হয় হেমন্তের দুটি গাড়ি। এদিকে, হেমন্ত সোরেন ইতিমধ্যেই অভিযোগ করেছেন যে, তাঁকে ইডির গ্রেফতারি একটি বড়সড় ষড়যন্ত্রের অংশ। তাঁর অভিয়োগ এই ষড়যন্ত্রের নেপথ্যে রয়েছে কেন্দ্র। লোকসভা ভোটের আগে বিজেপির ষড়যন্ত্রের জেরে এই ঘটনা ঘটানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন হেমন্ত সোরেন। উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় আর্থিক তদন্তকারী সংস্থা ইডির পদক্ষেপের পরই পদ থেকে সরে দাঁড়িয়ে ইস্তফা দেন হেমন্ত সোরেন। ঝাড়খণ্ডের জেএমএম এর ওপর এই গ্রেফতারি একটি তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। হেমন্ত সোরেন তার আবেদনে শীর্ষ আদালতকে তার গ্রেপ্তারকে অযৌক্তিক, স্বেচ্ছাচারী এবং তার মৌলিক অধিকারের লঙ্ঘন ঘোষণা করার জন্য অনুরোধ করেছেন, সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে। ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার এই নেতাকে গতকাল একটি আর্থিক তছরুপের মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল। যা ‘অবৈধ’ জমির বিশাল এলাকা দখল এবং জনি মাফিয়া এর সাথে তার কথিত যোগসূত্রের সাথে যুক্ত।

আদালতে যে মর্মে হেমন্ত এই গ্রেফতারির বিরুদ্ধে যেতে চলেছেন, সেখানে বলা হচ্ছে, বিজেপি বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের অঙ্গ হওয়ার জন্য তাকে সরকারপক্ষ এভাবে হেনস্থা করছে। এতে তাঁর স্বাধীনতা খর্ব হচ্ছে। এছাড়াও তাঁর অভিযোগ, তাঁকে ইডি অফিসাররা হেনস্থা করছেন। তাঁর দাবি, কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে এই পদক্ষেপ করছে ইডি। ৩১ জানুয়ারি তাঁর গ্রেফতারি হতে পারে, এমন আঁচ করেই সুপ্রিম কোর্টের কাছে আগাম আবেদন করেছিলেন হেমন্ত সোরেন। ৪৮ বছরের হেমন্ত সোরেন তাঁর গ্রেফতারিতে ঝাড়খণ্ডের রাজনীতিতে বড় প্রভাব পড়ছে।

(Feed Source: hindustantimes.com)