সম্প্রতি বিসিসিআইয়ের শেয়ার করা এক ভিডিওতে সরফরাজ জানান, ‘আমি রঞ্জি ট্রফির ম্যাচ খেলার জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলাম। আমার ব্যাগ গোছানোই ছিল। এর মাঝেই হঠাৎ করে আমার কাছে একটা ফোন আসে যেখানে আমায় জানানো হয় আমি জাতীয় দলে নির্বাচিত হয়েছি। আমার তো প্রথমে বিশ্বাসই হচ্ছিল না। বাবা বাড়িতেই ছিলেন। এই খবর পেয়ে আমি বাবাকে ফোন করি এবং স্বাভাবিকভাবেই বাবা আবেগঘন হয়ে পড়েন। আমার মা, বাবা, স্ত্রী সকলেই আবেগে বিহ্বল হয়ে পড়ে। সবাই জানে আজ অবধি আবার বাবাই আমার একমাত্র কোচ। আমাকে জাতীয় দলের হয়ে খেলতে দেখার বাবার ইচ্ছাপূরণই আমার স্বপ্ন ছিল। জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার এবার মনে হচ্ছে যে এত খাটাখাটনির অবশেষে সুফল পেলাম।’
সরফরাজ কিন্তু ধারাবাহিকভাবে বিগত কয়েক বছর ধরে রঞ্জির মঞ্চ মাতাচ্ছেন। ৪৫টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে সরফরাজ খান এখনও পর্যন্ত ৬৯.৮৫ গড়ে মোট ৩৯১২ রান করেছেন। ব্যাটিং স্ট্রাইক রেটও ৭০-র ওপরে। প্রথম ভারতীয় হিসাবে পরপর দুই রঞ্জি মরশুমে ৯০০ রানের গণ্ডি পার করার কৃতিত্ব রয়েছে সরফরাজের দখলে। তা সত্ত্বেও জাতীয় দলে এই ডাক পাওয়ার জন্য তাঁকে আরও দুই বছর অপেক্ষা করতে হয়।
২৬ বছর বয়সি তারকার দাবি পারফরম্যান্স সত্ত্বেও সুযোগ না পেয়ে তিনি খুবই হতাশ হয়ে পড়লেও, তাঁর বাবা আশা হারাননি। তাঁকে সবসময় পরিশ্রম করে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। ‘এতদিন অপেক্ষা করে করে আমি প্রায়শই হতাশ হয়ে পড়তাম। তবে বাবা সবসময় পরিশ্রম চালিয়ে যেতে বলতেন। তাঁর বিশ্বাস ছিল পরিশ্রম করেই আমি অপ্রতিরোধ্য় হয়ে উঠব। আত্মবিশ্বাস এবং ধৈর্য্য রাখাটা খুব জরুরি। এত জনসংখ্যার এক দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পাওয়াটাই সৌভাগ্যের। আমি আমার বাবার কথা ভেবে খুবই খুশি।’ বলেন তরুণ ডান হাতি ব্যাটার। অবশেষে বিশাখাপত্তনমে তিনি আন্তর্জাতিক আঙিনায় অভিষেক ঘটাতে পারেন কি না, এবার সেইদিকেই সকলের নজর থাকবে।
(Feed Source: abplive.com)