যুক্তরাষ্ট্র ইরাক ও সিরিয়ায় ইরানের লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাবে, নিজের ওপর হামলার জবাব দেবে

যুক্তরাষ্ট্র ইরাক ও সিরিয়ায় ইরানের লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাবে, নিজের ওপর হামলার জবাব দেবে
নতুন দিল্লি: আমেরিকা ইরাক ও সিরিয়ায় ইরানি লক্ষ্যবস্তুতে হামলার প্রস্তুতি চলছে। বলা হচ্ছে এসব লক্ষ্যবস্তুতে আমেরিকার এই হামলা আরও কয়েকদিন চলতে পারে। তবে আমেরিকা কখন ইরাক ও সিরিয়ায় ইরানের লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাবে সে বিষয়ে এখনও কিছু স্পষ্ট নয়। আমেরিকা গত রবিবার সিরিয়া সীমান্তের কাছে জর্ডানে আমেরিকান পোস্ট 22-এ হামলার প্রতিক্রিয়া হিসেবে এই হামলা করা হবে। ওই ড্রোন হামলায় ৩ মার্কিন সৈন্য নিহত হয়, এবং 41 জন গুরুতর আহত হয়। এর জন্য আমেরিকা ইরান সমর্থিত মিলিশিয়া গ্রুপগুলোকে দায়ী করেছে। পরবর্তীতে এই হামলার পেছনে ইসলামিক রেজিস্ট্যান্সের নাম আসে যারা ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডদের কাছ থেকে অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ পায়।

মার্কিন পোস্টে হামলার পর ইরান বিবৃতি দিয়েছে

উল্লেখ্য, জর্ডানে আমেরিকান পোস্টে এসব হামলার পর ইরান বিবৃতি দিয়েছে। ওই বিবৃতিতে বলা হয়, এসব হামলার পেছনে তিনি ছিলেন না। তবে পরবর্তীতে মার্কিন কর্মকর্তাদের কাছ থেকে তথ্য আসে যে ইরান রাশিয়াকে যে ধরনের ড্রোন সরবরাহ করছে সেই একই ধরনের ড্রোন হামলায় ব্যবহার করা হয়েছে। আর যা রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে। এমতাবস্থায় এখন একটা বড় প্রশ্ন উঠেছে যে আমেরিকা কেন এই বিষয়ে পাল্টা পদক্ষেপ নিতে দেরি করছে। এ প্রশ্ন করা হলে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, কীভাবে, কখন এবং কোথায় হামলা করতে হবে তা ঠিক করার অধিকার আমাদের রয়েছে।

বড় কথা বললেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী

মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রীর এই বক্তব্যের পর এখন দুটি বিষয় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমত, হামলার পরিকল্পনা হচ্ছে ইরাক ও সিরিয়ায় এমন সব গোষ্ঠীর ঘাঁটি লক্ষ্য করা যা আমেরিকার মতে ইরানের সহায়তায় পরিচালিত হচ্ছে। এবং এটিও আবহাওয়ার ভিত্তিতে বিলম্বিত হচ্ছে। আমেরিকান হামলায় যাতে সাধারণ মানুষ মারা না যায় সেজন্য এই যুক্তি দেওয়া হচ্ছে।

দ্বিতীয়ত, আমেরিকা এখনো ইরানে বা ইরানের অভ্যন্তরে সরাসরি আক্রমণ করার কোনো ইচ্ছা প্রকাশ করেনি। যেখানে রিপাবলিকানরা এর জন্য প্রেসিডেন্ট বিডেনকে ঘেরাও করেছে এবং বলেছে যে হামলা সরাসরি ইরানের অভ্যন্তরে এবং ইরানের নেতৃত্বের ওপর হতে হবে। এ বছর আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন রয়েছে এবং এমন পরিস্থিতিতে জো বাইডেনকে কঠোর পাল্টা আক্রমণের জন্য দেশীয় চাপ রয়েছে। তারপরও তারা ইরানের ওপর সরাসরি হামলার কথা বলছে না।

আমেরিকা এটা করলে মধ্যপ্রাচ্যে ব্যাপক হারে যুদ্ধের আগুন জ্বলবে। আমেরিকা এটা এড়াতে চাইছে। এর পেছনে একটি কারণ রয়েছে যে ইউক্রেন যুদ্ধের পাশাপাশি ইসরাইল-হামাস যুদ্ধে অনেক ফ্রন্টে লড়াই করছে। ইরানের সাথে সরাসরি ফ্রন্ট নেওয়া হলে সব শান্তি প্রচেষ্টা অবিলম্বে শেষ হয়ে যাবে। তাই বর্তমানে ইরাক ও সিরিয়ায় হামলার পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে আমেরিকা।

(Feed Source: ndtv.com)