ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে আমি কখনও হারিনি- কুয়াদ্রাতকে হুঁশিয়ারি মোহনবাগান কোচের

ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে আমি কখনও হারিনি- কুয়াদ্রাতকে হুঁশিয়ারি মোহনবাগান কোচের

আইএসএলের ডার্বিতে নামার আগে মোহনবাগানের হেডস্যর আন্তোনিয়ো লোপেজ হাবাস কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন স্বদেশীয় কার্লেস কুয়াদ্রাতকে। ডার্বির আগের দিন সাংবাদিক সম্মেলনে এসে হাবাস স্পষ্ট বলে দিলেন, ‘ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে আমি কখনও হারিনি।’

নিঃসন্দেহে সাহসী মন্তব্য স্প্যানিশ কোচের। ১৫ দিন আগেই সুপার কাপের ডার্বিতে হারতে হয়েছিল মোহনবাগানকে। তখন কোচ হিসেবে হাবাস সবুজ-মেরুনে যোগ দিলেও, নিয়মের বেড়াজালে রিজার্ভ বেঞ্চে বসতে পারেননি। কিন্তু সুপার কাপে ডার্বিতে মোহনবাগানের প্রথম দলের বেশির ভাগ খেলোয়াড়ই জাতীয় দলে থাকায় এবং কয়েক জন খেলোয়াড়ের চোট থাকায়, চেনা ছন্দে পাওয়া যায়নি সহুজ-মেরুনকে। এবার অবশ্য মোহনবাগান পুরো টিম পাচ্ছে। ছয় জন বিদেশি নিয়ে নামবে। যে কারণে তারা আত্মবিশ্বাসী।

আইএসএলের শেষ তিন ম্যাচে হারের কারণে কোচ বদল করা হয়েছে বাগানে। তার পর সুপার কাপেও ব্যর্থ হয়েছে তারা। সব মিলিয়ে আইএসএল ডার্বি জিতেই প্রত্যাবর্তন করতে মরিয়া সবুজ-মেরুন ব্রিগেড।

আপাত দৃষ্টিতে হয়তো মনে হবে, ফেভারিট ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু বিপক্ষের বেঞ্চের একটি লোকের জন্য নির্দিষ্ট কোনও দলকে বেছে নেওয়া যাবে না। তিনি আন্তনিয়ো লোপেজ হাবাস। দু’দফায় কলকাতায় কোচিং করিয়েছেন। পরিসংখ্যান বলছে, তিনি কোনও দিন ডার্বি হারেননি। আইএসএলের প্রথম বড় ম্যাচের আগেই সেটা মনে করিয়ে দিলেন স্প্যানিশ কোচ। হাবাস বলে দেন, ‘আমি কোনও দিন ডার্বি হারিনি। আমি ভারতীয় ফুটবলের ইতিহাস জানি। ডার্বির গুরুত্ব বুঝি। ৯০ মিনিট সমর্থকদের কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ আমি জানি। ডার্বি জেতার জন্যই নামব। এটা আমার এবং কুয়াদ্রাতের ডার্বি নয়, খেলাটা মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গলের মধ্যে।’

চলতি মরশুমের আগে টানা আট ডার্বি জেতে মোহনবাগান। তার মধ্যে রয়েছে হাবাসের তিনটে ডার্বি জয়। এবারও কি সেই ধারা অব্যাহত থাকবে? এবার অবশ্য মাঝ মরশুম থেকে দলের দায়িত্ব নিয়েছেন। তাই কাজটা অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং। হাবাস বলেন, ‘ডার্বিতে কোনও দলই ফেভারিট নয়। কাউকে এগিয়ে রাখা যায় না। ইস্টবেঙ্গল সুপার কাপ জিতে ছন্দে আছে। ওদের কোচ ভালো। তবে ভুললে চলবে না আমাদের সাত জন ফুটবলার জাতীয় শিবিরে ছিল। কয়েক জনের চোট ছিল। যদিও আমি কোনও অজুহাত দিতে চাই না। মরশুমের মাঝ পথ থেকে দায়িত্ব নিলে কিছু সমস্যা অবশ্যই হয়। তবে আমি নিজের ফুটবল স্টাইলের সঙ্গে দলকে রপ্ত করার চেষ্টা করছি। প্রতিযোগিতামূলক দল গড়ে তোলাই আমার লক্ষ্য। আমাদের দল ভালো। এর আগে একবার শেষের দিকে থেকেও সেমিফাইনাল, ফাইনাল খেলেছি। তাই শুরুর সঙ্গে শেষ মেলালে চলবে না।’

(Feed Source: hindustantimes.com)