প্লেসমেন্ট পায়নি এখনও ৭২ জন, প্রাক্তনীদের কাছে সাহায্য চাইল IIM লখনউ

প্লেসমেন্ট পায়নি এখনও ৭২ জন, প্রাক্তনীদের কাছে সাহায্য চাইল IIM লখনউ

চাকরির বাজারে ধস অনেক আগেই নেমেছিল। তবুও ছাত্রছাত্রীরা আশার আলো দেখেছিল আইআইটি এবং আইআইএম – এর মধ্য দিয়ে। কারণ, এই এলিট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি শিক্ষার্থীদের প্লেসমেন্টের ক্ষেত্রে ছিল সর্বোপরি, এক্কেবারে শেষ কথা। কিন্তু সেই সম্ভ্রান্ত প্রতিষ্ঠানগুলির অস্ত্রেও ধার কমে আসছে। আর এমনটাই জানা গিয়েছে ইদানিংকালে। সম্প্রতি, ভারতের শীর্ষ ব্যবসায়িক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আইআইএম লখনউয়ের (IIM-L) এবারের ব্যাচের ডজনখানেক শিক্ষার্থী এখনও চাকরি পাননি বলে জানা গিয়েছে। ইনস্টিটিউটের প্রাক্তনীদের সহযোগিতা চেয়ে পাঠানো এক আবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এ থেকে ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে, শিল্প ক্ষতির কারণে চাকরিপ্রার্থীদের সম্ভাবনা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

যদিও প্রতিষ্ঠানটির সাফাই ‘চিন্তার কিছু নেই’ এবং নিয়োগ চলছে। তবে অন্য আইআইএমের কমপক্ষে দু’জন অধ্যাপক বলেছেন যে তারাও লক্ষ্য করেছেন যে কোম্পানিগুলি কীভাবে এই শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলি থেকে নিয়োগ নিচ্ছে, যেখানে ছাত্রদের একাধিক অফার নিয়ে অনেকেই ধরা পড়ে। অন্য কথায়, অধ্যাপকরা উল্লেখ করেছেন যে নিয়োগ কার্যক্রম চলমান থাকলেও, পূর্বের তুলনায় তা উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে।

সূত্রের খবর, প্রতিষ্ঠাটির তরফে একটি আবেদন করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘২০১১ সালের ব্যাচের প্রিয় সদস্যরা, আমরা আমাদের ব্যাচের বেকার ছাত্রদের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে আপনাদের সাথে যোগাযোগ করছি। বর্তমানে ৭২ জন প্রতিভাবান ব্যক্তি কর্মসংস্থানের সুযোগ খুঁজছেন। আইআইএম লখনউ’র ১০০ শতাংশ প্লেসমেন্ট রেকর্ড বজায় রাখতে আপনাদের সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

সেই আবেদনে আরও লেখা ছিল, ‘আপনি যদি কোনও চাকরির সুযোগ সম্পর্কে অবগত থাকেন বা আপনার পেশাগত নেটওয়ার্কের মধ্যে এমন কোনও সংযোগ থাকে যা আমাদের ২০২৪ সালের ব্যাচের শিক্ষার্থীদের দক্ষতার সঙ্গে মিল পেলে, তাহলে দয়া করে তাদের রেফারেল করে দিন এবং সম্ভাব্য কার্যনির্বাহের বিষয়ে আমাদের বিষয়টি বিবেচনা করুন।’

পরিস্থিতির ওপর বিবেচনা করে, আইআইএম লখনউ প্লেসমেন্টের চেয়ারপার্সন প্রফেসর প্রিয়াঙ্কা শর্মা বলেছেন, ‘স্থান নির্ধারণের প্রক্রিয়া চলছে। চিন্তার কিছু নেই। আজও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ক্যাম্পাসে এসেছিল। প্লেসমেন্ট শেষ হয়ে গেলে, IIM-L একটি অফিসিয়াল প্রেস রিলিজ জারি করবে।’নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক কর্মকর্তা জানান, প্রাক্তন ছাত্রদের কাছে পৌঁছানো একটি নিয়মিত অভ্যাস ছিল। এ নতুন কিছু নয়। তবে বাস্তব হলে, আইআইএম-গুলিতে প্রথম দুই-তিন দিনের মধ্যেই সবাই চাকরি পেয়ে যান। সেখান এক-দুই নয়, ৭২জন চাকরি না পাওয়া বোঝাচ্ছে যে বাজারে মোটা টাকা দিয়ে ফ্রেশারদের নিতে সেভাবে আগ্রহী নয় সংস্থাগুলি।

(Feed Source: hindustantimes.com)