Kolkata Derby: হতে পারে ড্র, তবুও ঐতিহাসিক ডার্বি চোখের আরাম, অসাধারণ ইস্ট-মোহন

Kolkata Derby: হতে পারে ড্র, তবুও ঐতিহাসিক ডার্বি চোখের আরাম, অসাধারণ ইস্ট-মোহন

ইস্টবেঙ্গল ২ (অজয় ৩’, ক্লেটন ৫৫’)
মোহনবাগান ১ (সাদিকু ১৭’ , পেত্রাতোস ৮৭’)

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কলিঙ্গ সুপার কাপে (Kalinga Super Cup 2024) গত ১৯ জানুয়ারি মুখোমুখি হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান (East Bengal vs Mohun Bagnan)। ঠিক ১৫ দিন পর কলকাতা ময়দানের দুই ঐতিহ্য়বাহী দল ফের প্রেস্টিজ ফাইটে নেমেছিল। স্কোরলাইন বলছে খেলার ফল ২-২। অর্থাৎ ড্র। কিন্তু শনি সন্ধ্য়ায় যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে আসা ৫৭ হাজার ৯৮৩ জন দর্শকের সঙ্গেই সারা বিশ্বের কোটি কোটি ইস্ট-মোহন ফ্য়ান একবাক্য়েই বলবেন যে, তাঁরা বহুদিন পর অসাধারণ একটা ডার্বি দেখলেন। পুরো সময় জুড়েই লড়াই হল সেয়ানে-সেয়ানে। আর এই প্রথম আইএসএল ডার্বি ়ড্র হয়ে গেল। সেই কারণেই এই ডার্বি হয়ে গেল ঐতিহাসিক।

কেমন ছিল প্রথমার্ধের খেলা-

প্রথমার্ধে যে ডার্বিটা খেলল দু’টি দল, তা শেষ কবে ডার্বির প্রাক বিরতি দেখেছে, তা কষ্ট করে মনে করতে হবে। অসাধারণ গতির সঙ্গেই আক্রমণ ও পাল্টা আক্রমণের ঝড়। এক ইঞ্চিও জমি না ছাড়ার মানসিকতা। গ্য়ালারিতে প্রতি মুহূর্তে উৎকণ্ঠা। যদি সময়ের বিচারে লড়াইয়ের মাহাত্ম্য় মাপা হয়, তাহলে লিখতে হবে প্রথম মিনিট পনেরো মাঠে দাপাল ইস্টবেঙ্গল, লাল-হলুদের শুরু থেকেই চরম আক্রমণাত্মক ফুটবলের সামনে কোথাও যেন একটু থতমত খেয়ে গিয়েছিল মোহনবাগান।

খেলার বয়স তখন মাত্র পাঁচ মিনিট। বাঁ-দিক থেকে আক্রমণে ওঠে ইস্টবেঙ্গল। মহেশ বল পেয়েই নিশুকে পাস বাড়িয়ে ছিলেন। নিশু সেখান থেকে ক্রস বাড়ান গোলের সামনে দাঁড়ানো অজয় ছেত্রীকে। অজয় জালে বল জড়িয়ে যুবভারতীর লাল-হলুদ সমর্থকদের সেলিব্রেশনে ভাসিয়ে দেন। দুই ভারতীয়র যুগলবন্দিতেই আসে লাল-হলুদের প্রথম গোল। ঘুমন্ত মোহনবাগানের রক্ষণ এই গোল দেখল গ্য়ালারির দর্শকদের মতোই।

ধীরে ধীরে খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসে তারা। এরপর মোহনবাগান নেয় মাঠের দখল। গোল হজম করার ১৪ মিনিটের মধ্য়েই গোল শোধ করে ফেলে মোহনবাগান। ইস্টবেঙ্গলের আক্রমণ ছিল বাঁ-প্রান্ত থেকে মোহনবাগান বেছে নিয়েছিল ডান প্রান্ত। এখানেও যেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা। ব্রেন্ডন হ্যামিল আক্রমণে উঠে ক্রস বাড়ান সাদিকুকে। দুরন্ত ভলিতে গোল করেন সাদিকু। আলবেনিয়ান ফরোয়ার্ড এবার উচ্ছ্বাসে ভাসিয়ে সবুজ-মেরুন জনতাদের।

এরপর খেলা একেবারে জমে ক্ষীর হয়ে যায়। মোহনবাগান তারপর নিয়ে নেয় ম্য়াচের দখল। আবার শেষের পাঁচ মিনিট লেখা ছিল ইস্টবেঙ্গলের নামে। আসলে এমন ফুটবল দেখতেই তো মাঠে আসেন সমর্থকরা। যেখানে থাকবে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। একটা মিনিটও নিস্প্রভ মনে হবে না। আর ঠিক সেই খেলাটাই খেলল ইস্ট-মোহন।

দ্বিতীয়ার্ধের খেলা ছিল ঠিক কেমন!

দ্বিতীয়ার্ধেও একই ভাবে তেড়েফুড়েই খেলল দুই দল। প্রথমার্ধে যেখানে শেষ হয়েছিল খেলা, দ্বিতীয়ার্ধে ঠিক যেন সেখান থেকেই শুরু হল। ৫৫ মিনিটে ইস্টবেঙ্গল পেয়ে যায় পেনাল্টি। দীপক টেংরি ফাউল করে বসেন মহেশকে। সঙ্গে সঙ্গে রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজান। যা নিয়ে মোহনবাগান ফুটবলারদের তীব্র অসন্তোষ ছিল। কিন্তু রেফারির সিদ্ধান্তই যে চূড়ান্ত।

ক্লেটন সিলভার আজ জন্মদিন। লাল-হলুদ অধিনায়ক অনায়াসে বিশাল কাইথকে পরাস্ত করে খেলা আরও রঙিন করে দেন। ইস্টবেঙ্গল গ্য়ালারিতে শুরু হয়ে যায় আবেগের বিস্ফোরণ। ৮৭ মিনিটে মোহনবাগানের আইএসএল ডার্বি না হারার রেকর্ড অক্ষত রাখেন দিমিত্রি পেত্রাতোস।

লাল-হলুদ ডিফেন্সের ভুল থেকেই গোল পেয়ে যায় মোহনবাগান। মনবীরের ক্রস থেকে আগুনে শটে স্কোরলাইন ২-২ করেন ডুরান্ড ফাইনালের নায়ক। ১১ ম্যাচে ২০ পয়েন্ট নিয়ে মোহনবাগান থেকে গেল পাঁচেই। অন্য দিকে, ইস্টবেঙ্গল ১১ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে আট থেকে সাতে উঠল ইস্টবেঙ্গল।

(Feed Source: zeenews.com)