কেন ভারত থেকে ইউরোপে লাখ লাখ মুসলমান রাজপথে এলো, তুরস্কের ষড়যন্ত্রে সবাই কিভাবে ফেঁসে গেল?

কেন ভারত থেকে ইউরোপে লাখ লাখ মুসলমান রাজপথে এলো, তুরস্কের ষড়যন্ত্রে সবাই কিভাবে ফেঁসে গেল?

ইউরোপেও হাজার হাজার মুসলিম বিক্ষোভ করছে। তুরস্ক এখন ইউরোপে বসতি স্থাপন করা মুসলমানদের একটি নতুন শিকার কার্ড দিয়েছে।

অযোধ্যায় ভগবান রামের বিশাল, ঐশ্বরিক ও নৌ-মন্দির নির্মাণের সাথে সাথে অনেক মৌলবাদী বিষ উচ্ছ্বাস শুরু করে। রাম মন্দিরের পবিত্রতার পর থেকেই বহু মৌলবাদী মৌলানা এবং যারা ধর্মের ভিত্তিতে রাজনীতি করে তারা দেশের মুসলমানদের উস্কে দিতে থাকে। কিন্তু বাকি শূন্যতা পূরণ হয়েছে উত্তরাখণ্ডের UCC-তে আনা বিলের মাধ্যমে। ভারতে সাধারণ মুসলমানদের উত্তেজিত করার জন্য অনেকে তাদের পূর্ণ শক্তি প্রয়োগ করেছে। মৌলবাদী মাওলানাদের কথায় প্রভাবিত হয়ে অনেক মুসলমান রাস্তায় নেমেছে। কিন্তু এখন এই হৈচৈ শুধু ভারতে নয়, ইউরোপেও ছড়িয়ে পড়েছে। ইউরোপেও হঠাৎ করেই নতুন করে তোলপাড় শুরু হয়েছে।

ইউরোপেও হাজার হাজার মুসলিম বিক্ষোভ করছে। তুরস্ক এখন ইউরোপে বসতি স্থাপন করা মুসলমানদের একটি নতুন শিকার কার্ড দিয়েছে। আসলে তুরস্ক একটা বড় ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান একাডেমি অফ রিলিজিয়াস অ্যাফেয়ার্সে (দিয়ানেট) একটি স্নাতক অনুষ্ঠানে শরিয়া আইনের সমালোচকদের বিষয়ে মন্তব্য করেছেন, বলেছেন যে শরিয়া আইনের বিরুদ্ধে শত্রুতা ইসলামের বিরুদ্ধে শত্রুতা। রাষ্ট্রপতি নতুন ধর্মীয় কর্তৃপক্ষকে সমাজের সক্রিয় সদস্য হওয়ার আহ্বান জানান। এরদোয়ান বলেন, আপনি যদি ইতিহাসের বইগুলো দেখেন তাহলে দেখতে পাবেন যে তুর্কি মুসলমানদের সমান। এরদোগান উভয়ের মধ্যে কৃত্রিম দেয়াল নির্মাণের চেষ্টা করার কোনো ধারণার ওপর জোর দিয়েছিলেন এবং সমালোচনা করেছিলেন। তিনি আরও বলেন, ইসলামের পবিত্র যুদ্ধ চেতনাকে অন্তর্ভুক্ত না করে তুর্কিত্বের সংজ্ঞা তুর্কি জাতিকে লোককাহিনীতে পরিণত করার অপচেষ্টা মাত্র।

এর মানে এখন যে কেউ শরীয়তের কঠোর আইনের বিরুদ্ধে কথা বলবে তাকে ইসলাম বিরোধী ঘোষণা করা হবে। ইউরোপে এরগোয়ান যা করছে, ভারত ও পাকিস্তানে বসে থাকা কিছু ধর্মান্ধ মৌলানারাও তাই করছে। এরদোগান সারা বিশ্বে ভয়ের অনুভূতি তৈরি করতে চান। এরদোগান মুসলমানদের শরিয়ার জন্য রাস্তায় আসতে প্ররোচিত করছেন। এর সবচেয়ে বড় কারণ হল ডেনমার্ক, ফ্রান্স, ইতালি, সুইডেন, নেদারল্যান্ডের মতো দেশগুলি প্রকাশ্যে শরিয়ার বিরুদ্ধে কথা বলছে। নেদারল্যান্ডস শারিয়া এবং এরদোগানের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।