মার্কিন মুলুকে ছিনতাইয়ের কবলে ভারতীয় ছাত্র ! আহত অবস্থায় সাহায্যের আর্জি

মার্কিন মুলুকে ছিনতাইয়ের কবলে ভারতীয় ছাত্র ! আহত অবস্থায় সাহায্যের আর্জি

কলকাতা: রাতের খাবার কিনে ফিরছিলেন। এমন সময় হঠাৎ করেই ঘিরে ধরে চার দুষ্কৃতী। হাত
থেকে ব্যাগ, মোবাইল ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চলে। পালাতে গেলে প্রচণ্ড মারধর করা হয়। এর পর মোবাইল কেড়ে নিয়ে পালিয়ে যায় ওই দুষ্কৃতীরা। সম্প্রতি এক ভারতীয় ছাত্রের সঙ্গে এমন ঘটনাই ঘটেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরে। রাতের বেলা ফাঁকা রাস্তায় হঠাৎ করেই দুষ্কৃতিদের হামলার মুখে পড়তে হয় তাঁকে। 

ভাইরাল ভিডিয়ো

হায়দ্রাবাদের বাসিন্দা সৈয়দ মাজাহির আলি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে স্নাতকোত্তর স্তরের পড়াশোনা করতে গিয়েছেন তিনি। সেখানেই এমন ঘটনার শিকার হন। সম্প্রতি এই ঘটনার একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে নেটদুনিয়ায়। সেখানে সাহায্য চাইতে দেখা যায় সৈয়দকে। সৈয়দের স্ত্রী সৈয়দ রুকিয়া ফতিমাও সাহায্য চেয়ে ইতিমধ্যেই চিঠি লিখেছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে।

গুরুতর আহত সৈয়দ

ভিডিয়োতে দেখা যায়, নাক মুখ ফেটে গলগল করে রক্ত পড়ছে ওই ব্যক্তির মুখ দিয়ে। তাঁকে ঘটনাটা বিবৃত করতে শোনা যায়। এই ঘটনার একটি সিসিটিভি ফুটেজও ভাইরাল হয়েছে নেটদুনিয়ায়। সৈয়দ রাস্তার দিকে দেখিয়ে বলেন, তিনি রাস্তা দিয়ে খাবার নিয়ে ফিরছিলেন। সেই সময়ই চার ছিনতাইবাজের কবলে পড়েন তিনি। তাদের সঙ্গে অস্ত্র ছিল বলে জানা গিয়েছে। প্রথমে দৌড়ে নিজের প্রাণ বাঁচানোর চেষ্টা করেন সৈয়দ। কিন্তু চারজনের সঙ্গে পেরে ওঠেননি। তাঁর মোবাইল ফোনটি নিয়ে পালিয়ে যায় সশস্ত্র দুষ্কৃতি। [tw]https://twitter.com/amjedmbt/status/1754827850870624590[/tw]

বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করকে চিঠি

সৈয়দের স্ত্রী তাঁর স্বামীর এক বন্ধুর মারফত এই খবর পান। খবর পেয়েই ফতিমা একটি চিঠি লিখেছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রীকে। চিঠিতে স্বামীকে নিরাপত্তা দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন তিনি। তিন ছেলে মেয়েকে নিয়ে স্বামীর কাছে যাতে যেতে পারেন, তাঁর আর্জিও জানিয়েছেন ফতিমা। এর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।

ভারতীয় দূতাবাসের সাহায্যের আর্জি

ইতিমধ্যে আমেরিকার ভারতীয় দূতাবাস থেকে সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। তারা এই সংক্রান্ত একটি টুইট করে তাদের এক্স হ্যান্ডেলে। সেখানে লেখা হয়, সৈয়দের সঙ্গে ইতিমধ্যেই যোগাযোগ করা হয়েছে। তাকে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি সৈয়দের স্ত্রীর সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে। তাঁকেও এই ব্যাপারে বিশদে জানানো হয়েছে। ঘটনাটির তদন্ত কতদূর এগোল, সেই বিষয়ে খোঁজ রাখছে ভারতীয় দূতাবাস।

(Feed Source: abplive.com)