ন্যাকের অনুমোদন ছাড়াই চলছে ২৭৫টি কলেজ, বিপাকে রাজ্যের উচ্চ শিক্ষ দফতর

ন্যাকের অনুমোদন ছাড়াই চলছে ২৭৫টি কলেজ, বিপাকে রাজ্যের উচ্চ শিক্ষ দফতর

পশ্চিমবঙ্গ:  ইউজিসি’র অনুমোদন না থাকায় বিপদে রাজ্যের বেশ কিছু কলেজ। ইউজিসি সাম্প্রতিক সময়ে ‘ফিটনেস অফ কলেজেস ফর রিসিভিং গ্রান্টস’ বিষয়ে প্রকাশিত খসড়ায় জানিয়েছে, ইউজিসি-এর অনুমোদন না থাকলে মিলবে না আর্থিক অনুদানও। এই নিয়ে বেশ বিপাকে রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতর। মূলত কেন্দ্রীয় সংস্থা ইউজিসি’র আর্থিক অনুমোদনের ওপরই অনেকাংশে নির্ভর করে রাজ্যের বিভিন্ন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়। আর আর্থিক অনুদানের জন্য ইউজিসি’র অনুমোদন আবশ্যিক। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে রাজ্যের প্রায় ২৭৫টি কলেজ ন্যাকের অনুমোদনহীন ভাবেই চলছে।

এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় নেমেছে উচ্চশিক্ষা দফতর। অনুমোদনহীন ২৭৫টি কলেজের আইআইকিউএ অনলাইন সাইটে আপলোড করার জন্য কোমর বেঁধে নেমেছেন আধিকারিকরা। আইআইকিউএ-এর অর্থ ‘ইনস্টিটিউশনাল ইনফরমেশন ফর কোয়ালিটি অ্যাসেসমেন্ট’। ইউজিসি প্রস্তাবিত মূল্যায়ন পদ্ধতি সম্পর্কে অজানা তথ্য জানাচ্ছেন আধিকারিকরা। নিয়মিত ছাত্রছাত্রীদের কাউন্সিলিংয়ের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছেন তারা। ন্যাকের (NAAC) সেভেন পয়েন্ট ক্রাইটেরিয়ার ক্ষেত্রে কিংবা পর্যাপ্ত নম্বর তুলতে কোথায় সমস্যা হচ্ছে, সমস্ত বিষয় নিয়েই বোঝানোর চেষ্টা করছেন এই পাঁচজন মেন্টর৷ অনলাইনে প্রশিক্ষণ ব্যবস্থার ক্ষেত্রেও মেন্টররা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।

সমস্ত কলেজই যাতে ন্যাকের জন্য আবেদন করে সেজন্য ২০২২ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত তিনবার নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল। তারপরও ২৭৫টি কলেজ কিভাবে বাদ থেকে গেল সেই তালিকা থেকে, তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।এই আবেদন প্রত্যেকটি কলেজের পক্ষ থেকে নিজ নিজ দায়িত্বে করে নেওয়ার কথা। ফলত বিশ্ববিদ্যালয় বা উচ্চ শিক্ষা দফতর সরাসরি এই সমস্যার ক্ষেত্রে দায়ী নয় বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে দ্রুত এই কলেজগুলির অনুমোদন না পেলে ইউনিভার্সিটি গ্রান্ট মিলবে না। যার ফলে বেকায়দায় পড়বে কলেজ কর্তৃপক্ষ। সেই সমস্যা সমাধানেই জেলা স্তরে কাজ করছেন পাঁচজন মেন্টর। এর মুশকিল আসান হয় কিনা, তার জন্য অপেক্ষা করে থাকতেই হবে।

(Feed Source: hindustantimes.com)