সারমেয়দের চিৎকারে ঘুম ভাঙছে রাজ্যপালের, পুরসভায় ফোন গেল পথকুকুর সরাতে

সারমেয়দের চিৎকারে ঘুম ভাঙছে রাজ্যপালের, পুরসভায় ফোন গেল পথকুকুর সরাতে

নবান্ন–রাজভবন সংঘাত বরাবরই চর্চিত বিষয়। বিভিন্ন বিষয়ে দু’‌পক্ষের মধ্যে সংঘাত লেগেই থাকে। একে অপরকে এক ইঞ্চে জায়গা ছাড়েন না। এবার রাজভবনের নতুন মাথাব্যথা হয়ে দাঁড়াল সেখানের পথ কুকুর। রাত হলেই তাঁদের হাঁকডাক বেড়ে যায়। ফলে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের ঘুম ভেঙে যায়। এমনকী রাজভবনে থাকা কর্তাব্যক্তিদেরও ঘুম ভেঙে যায়। আর তাতে অতিষ্ঠ রাজভবনের অন্দরমহল।

ঠিক কী ঘটেছে রাজভবনে?‌ সূত্রের খবর, বেশ কয়েকদিন ধরে পথ কুকুররা রাজভবনে ঢুকে পড়ছে। কোনও নিরাপত্তার ঘেরাটোপ তাদের আটকাতে পারছে না। আর রাত বাড়লেই হাঁকডাক শুরু করছে তারা। আর তার জেরে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়–সহ কর্তাব্যক্তিদের ঘুম চটকে যাচ্ছে। এখন অবশ্য রাজ্যপাল রাজস্থানে গিয়েছেন। ফিরবেন শীঘ্রই। এই পরিস্থিতি থেকে রেহাই পেতে রাজভবন থেকে ফোন গেল কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্যবিভাগে। সেখানে এই পথ কুকুরদের তুলে নিয়ে যাওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে।

তারপর ঠিক কী ঘটল?‌ জানা গিয়েছে, রাজভবনের বিশাল এলাকায় প্রচুর গাছ–গাছালি। সেখানেই কোনও ফাঁক গলে পথ কুকুররা রাজভবনে রাজকীয়ভাবে ডেরা বেঁধেছে। ফলে রাতে তাদের চিৎকার–চেঁচামিচি ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে। পুরসভা থেকে কিছু কুকুর সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হলেও সমস্যা পুরোপুরি নির্মূল হয়নি। আর মাঝরাতে ঘুম ভেঙে যাওয়ায় রাজ্যপালের মেজাজ ঠিক থাকে না বলে মনে করছেন অনেকে।

কলকাতা পুরসভা–রাজভবন কী কথা হল?‌ সূত্রের খবর, সোমবার কলকাতা পুরসভার এক শীর্ষ অফিসারকে ফোন করেন রাজভবনের এক অফিসার। ফোনে বলা হয়, সারমেয়রা ফের জ্বালাচ্ছে। দয়া করে কিছু করুন। তাদের তুলে নিয়ে যান। এই পথ কুকুররা রাতে বড্ড চিৎকার করে। ফলে ঘুম ভেঙে যায় সবার। এরপর কলকাতা পুরসভা সেখানে কর্মী পাঠায়। পথ কুকুরদের সরানো হয়েছে। আবার সমস্যা দেখা দিলে রাজ্যপাল মেয়র বা মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিবেন কিনা তা জানা যায়নি।

(Source: hindustantimes.com)