‘বম্বে চলে কলকাতার জন্যই’, অরিজিতের কাছের মানুষের গান শুনে উপলব্ধি সৌরভের

‘বম্বে চলে কলকাতার জন্যই’, অরিজিতের কাছের মানুষের গান শুনে উপলব্ধি সৌরভের

দাদাগিরি আনলিমিটেডের সিজন ১০ শুরু থেকেই তারকা সমাবেশে জমজমাট। প্রেমে দিবসের রেশ এখনও কাটেনি। এর মাঝেই দাদাগিরির মঞ্চে সুরের মূর্ছনা নিয়ে হাজির হচ্ছেন বলিউড ও টলিউডের নামীদামী সঙ্গীতশিল্পীরা। তালিকায় রয়েছেন বাবুল সুপ্রিয়, জয় সরকার, লোপামুদ্রা মিত্র, নিকিতা গান্ধী এবং অন্তরা মিত্র।

সেই এপিসোডের নতুন প্রোমোয় চলল ‘গেরুয়া’ খ্যাত গায়িকা অন্তরা মিত্রের সুরের জাদু। ইন্ডিয়ান আইডল ২ খ্যাত অন্তরা মসলন্দপুরের মেয়ে। এখন মুম্বই তাঁর ঠিকানা। তবে শিকরের টানে প্রায়ই ছুটে আসেন বাংলায়। বলিউডে মূলত প্রীতমের সুরেই গান গেয়েছেন অন্তরা। তাঁকে সবচেয়ে বেশি পরিচিতি দিয়েছে দিলওয়ালে ছবির ‘গেরুয়া’। হালে ব্রহ্মাস্ত্র ছবিতেও অরিজিতের সঙ্গে ডুয়েট গেয়েছেন তিনি। সেই গানই এদিন দাদার সামনে পেশ করলেন শিল্পী।

‘কেশরিয়া তেরা ইশক হ্যায় পিয়া…’র সুরে ভাসলেন অন্তরা, ডুব দিলেন সৌরভও। প্রীতমের সুরেই রণবীর-আলিয়ার জন্য সুপারডুপার হিট গানে গলা মিলিয়েছিলেন অরিজিৎ-অন্তরা। সেই গান শুনে সৌরভ বললেন, ‘দারুণ… বম্বে চলে কলকাতার জন্যই’। সেই প্রোমোতে দেখা গেল তৃণমূল বিধায়ক তথা গায়ক বাবুল সুপ্রিয় তাঁর এভারগ্রিন গান ‘খোয়া খোয়া চান্দ’ গেয়ে মুগ্ধ করলেন। তাঁর সঙ্গ দিলেন জয় সরকার।

অনেকেই হয়ত জানেন না, শুধু সহকর্মী নন, ইন্ডাস্ট্রিতে যে ক’জন হাতে গোনা বন্ধু অরিজিতের রয়েছেন তাঁদের অন্যতম অন্তরা। অরিজিতের স্ত্রী কোয়েলের সঙ্গে দারুণ বন্ডিং অন্তরার। মুম্বইয়ে দীর্ঘ সময় একসঙ্গে স্ট্রাগল করেছেন অরিজিৎ-অন্তরা। সাফল্যের মুখ দেখার পরেও পুরোনো বান্ধবীকে ভোলেননি অরিজিৎ। কিছুদিন আগে এক সাক্ষাৎকারে অরিজিৎ সম্পর্কে বলতে গিয়ে অন্তরা বলেন, ‘আমাদের দেশে খুব কম সংখ্যক মানুষই এত ভালোবাসা কুড়ান। আজকাল আর পাশাপাশি দাঁড়িয়ে গান রেকর্ড করার সুযোগ হয় না। একটা গানে কীভাবে গাইব সেই নিয়ে আলোচনা চলে না। অরিজিৎ জিয়াগঞ্জে থাকে এখন, আর আমি মুম্বইয়ে। তবে প্রীতমদার ব্রিফটা আমরা দুজনেই একইরকমভাবে বুঝি।’

প্রসঙ্গত, একই এপিসোডে জয়-লোপার খুনসুটি মন কাড়বে দর্শক। আগের ঝলকে দেখা গিয়েছে সহ-প্রতিযোগী বাবুল সুপ্রিয় বলে ওঠেন, ‘জয় ভাজা মাছ উলটে খেতে জানে?’ এরপরই মেজাজ হারান লোপামুদ্রা। তাঁকে একটু রেগেমেগেই বলতে শোনা গেল, ‘জয় ভীষণ শান্ত, জয় ভীষণ ভালো মানুষ। আমার ইমেজটা খুব খারাপ’। বউয়ের মান ভঞ্জন করতে এগিয়ে আসেন জয়। বলেন, ‘আজ রাত্রে যে কী অপেক্ষা করছে বাড়ি ফেরার পরে তা আমি জানি না’। সঙ্গে সঙ্গে সৌরভ ড্য়ামেজ কন্ট্রোলে বলে ওঠেন, ‘আর না না!’ তখন আর হাসি চাপতে পারেননি লোপামুদ্র। তিনিও হাসিতে ফেটে পড়েন। বোঝাই গেল, মজার ছলেই তিনি রাগ করার ভান করছিলেন।

(Feed Source: hindustantimes.com)