সন্দেশখালিকাণ্ডে শিবু হাজরা, উত্তম সর্দারের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের ধারা পুলিশের

সন্দেশখালিকাণ্ডে শিবু হাজরা, উত্তম সর্দারের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের ধারা পুলিশের

সমীরণ পাল ও পার্থপ্রতিম ঘোষ, উত্তর ২৪ পরগনা: সন্দেশখালিকাণ্ডে গণধর্ষণের ধারা যুক্ত করল পুলিশ। শিবু হাজরা, উত্তম সর্দারের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের ধারা, খবর পুলিশ সূত্রে। গোপন জবানবন্দিতে এক মহিলা জানিয়েছেন, শিবু ও উত্তমের বিরুদ্ধে লাগাতার অভিযোগ ছিল। সন্দেশখালিকাণ্ডের ২০ নম্বর মামলায় এবার শিবু-উত্তমের বিরুদ্ধে তাই গণধর্ষণের ধারা যুক্ত করল পুলিশ।

বিশদ
রাত ১২টার পর হাত ধরে টানা, শ্লীলতাহানি, পিঠে বানিয়ে দেওয়ার দাবির মতো একাধিক অভিযোগ উঠছিল এই শিবু-উত্তমদের বিরুদ্ধে। সূত্রের খবর, এদিন এক মহিলার গোপন জবানবন্দির ভিত্তিতে গণধর্ষণের ধারা যোগ করা হয়। শিবু হাজরা, উত্তম সর্দারে বিরুদ্ধে গণধর্ষণের সঙ্গে খুনের চেষ্টার ধারাতেও মামলা দেওয়া হয়েছে। ৮ দিনের পুলিশি হেফাজতে তৃণমূলের উত্তম সর্দার। অন্য দিকে, ১৪ দিনের জেল হেফাজত বিজেপি নেতা বিকাশ সিংহের। বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ বলেন, ‘ঠেলায় না পড়লে বিড়াল গাছে ওঠে না।… সরকার বুঝেছে, আর মুখ লুকনোর জায়গা নেই।’ পুলিশকে এদিন ‘শাহজাহানদের লেঠেল’ বলে কটাক্ষ করেন সজল। সঙ্গে দাবি করেন, মহিলা কমিশনের যে প্রতিনিধিরা সন্দেশখালি ঘুরে দেখে এসে দাবি করেছিলেন এমন কিছু ঘটেনি, তাঁরা অন্তত এবার পদত্যাগ করুন।
গণধর্ষণের ধারা যুক্তির পর ফের খবরে যে প্রশ্ন, তা হল গণধর্ষণ, খুনের চেষ্টায় অভিযুক্ত শিবু হাজরা কোথায়? ঘটনা হল, সন্দেশখালিতে জনরোষ আছড়ে পড়ার পর থেকেই ফেরার শিবু। কিন্তু এবিপি আনন্দ খোঁজ পেলেো এখনও কী ভাবে নাগালের বাইরে সে?

কী বললেন সরকারি আইনজীবী?
মামলার সরকারি আইনজীবী অরুণ পাল বলেন, ‘দুটো সেকশন যুক্ত হয়েছে। ৩৭৬ (ডি) এবং ৩০৭…গণধর্ষণ ও খুনের চেষ্টার ধারা।’ এ ছাড়া উত্তম সর্দারের বিরুদ্ধে আর একটি মামলায় ৩৭৬(ডি) এবং ৫১১ নম্বর রয়েছে। ওই মামলাতেই ১০ দিনের হেফাজত চাওয়া হয়েছে। এক দিকে, এদিন যখন গণধর্ষণের ধারা যুক্ত হওয়া নিয়ে হইচই, অন্য দিকে তখনই আবার সন্দেশখালিতে প্রকাশ্যে এল ভয়ঙ্কর অভিযোগ! পুলিশের সামনেই মায়ের কোল থেকে ছিনিয়ে শিশুকে ছুড়ে ফেলার অভিযোগ ওঠে এদিন! বিজেপি কর্মীকে না পেয়ে শিশুকে ছিনিয়ে ছুড়ে ফেলার অভিযোগে তোলপাড় সন্দেশখালি। মায়ের মুখ চেপে ছেলের খোঁজ, না পেয়ে বাড়িতে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ। মুখ ঢাকা, পায়ে চটি, পুলিশের মতো পোশাক পরে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ রয়েছে। ৯ ফেব্রুয়ারি বিজেপি কর্মীর বাড়িতে চড়াও হয়ে তাণ্ডবের অভিযোগ ছিল। ৯ ফেব্রুয়ারিই সন্দেশখালিতে জারি হয়েছিল ১৪৪ ধারা। বারবার প্রশাসনের আশ্বাস, পুলিশ কড়াকড়ি, তারপরেও কীভাবে তাণ্ডব? পুলিশের কাছে অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট চাইল জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন। তারপরেই সন্দেশখালিতে রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন। পরিবারের সঙ্গে কথা, পদক্ষেপের আশ্বাস রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের।

(Feed Source: abplive.com)