পোষ্যকে প্লাস্টিক সার্জারি! বদলানো হচ্ছে কান, লেজ, নাক, রেগে আগুন পশুপ্রেমীরা

পোষ্যকে প্লাস্টিক সার্জারি! বদলানো হচ্ছে কান, লেজ, নাক, রেগে আগুন পশুপ্রেমীরা

অনেকের বাড়িতেই পোষ্য রয়েছে। দীর্ঘদিন একসঙ্গে থাকতে থাকতে যেন একেবারে বাড়ির সদস্যের মতোই হয়ে যায় এরা। তবে এদেরকে আরও আকর্ষণীয় বানানোর চাহিদা হয়েছে অনেকের মনে। পোষ্যকে নিজের মনের মতো বানাতে করানো হচ্ছে প্লাস্টিক সার্জারি! শুনতে অবাক লাগলেও চিনে ঘটেছে এমনই অবিশ্বাস্য ঘটনা। বাড়ির পোষ্যর কানকে বদলাচ্ছেন মিকি মাউসের মতো। তার জন্যেই করানো হচ্ছে প্লাস্টিক সার্জারি। পশুদের উপরে এই ধরনের আচরণে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ পশুকল্যাণ আইনজীবীরাও।

কিন্তু এমন প্রক্রিয়াতে মোটেও খুশি নন চিকিৎসকেরা। পোষ্যদের রূপ বদলাতে এই ব্যবস্থা নিতে একেবারেই মানা করছেন তাঁরা। নিজের আনন্দের জন্য বাড়িতে পোশা কুকুর, বিড়ালকে সার্জারি করার পরিকল্পনা অত্যন্ত খারাপ প্রভাব ফেলে পশুদের স্বাস্থ্যের উপরে। এই ধরনের

শুধু মিকি মাউসের মতো কানই নয় পোষ্যকে আকর্ষনীয় বানাতে টেল ডকিং, ইয়ার ক্রপিং, এমনকী তাদের লোমও ট্রিম করে ফেলা হয়। যা সমপূর্ণ ভাবে অনুচিত বলেই মনে করছেন পশুপ্রেমীরা।

সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি দক্ষিণ-পশ্চিম চীনের চংকিং-এ একটি পোষা প্রাণী ক্লিনিক এভাবেই পোষ্যদের কান মিকি মাউসের মতো পরিবর্তন করে দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। মাত্র  ৩০০ ইউয়ান (মার্কিন ডলার ৪০) এ পোষ্যদের প্লাস্টিক সার্জারি করানো হবে বলে দাবি করে এই ক্লিনিকটি।

কিন্তু কীভাবে কুকুর-বিড়ালদের কান পরিবর্তন করা হয় জানেন?

বেইজিংয়ের লাভিং কেয়ার ইন্টারন্যাশনাল পেট মেডিকেল সেন্টারের ডিন লিউ ইউনডং বলেন, প্রক্রিয়াটি শুরু হয় অ্যানেস্থেসিয়া করে। এরপর একটি নিরীহ প্রাণীকে  আধঘণ্টা ধরে অস্ত্রোপচার করা হয়।  এতে পোষ্যদের কান মিকি মাউসের মতো সোজা থাকে এবং এই পুরও প্রকল্পটি সম্পূর্ণ হতে  ২০ থেকে ৬০ দিন পর্যন্ত সময় লাগে।

যদিও চীনে পোষা প্রাণীর উপর এধরনের সার্জারি অবৈধ নয়, তবে প্রধান শহরগুলির নামী হাসপাতালে এই ধরনের সার্জারি করা হয় না।

ড্যাজু কনসাল্টিংয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২০ সালে প্লাস্টিক সার্জারির জন্য বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাজার হিসেবে পরিচিত হয়েছে চীন।

দক্ষিণ কোরিয়ার মতো, দেশটিতেও গত এক দশকে কসমেটিক সার্জারির চাহিদা বিপুল ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। নাক পুনর্গঠন থেকে শুরু করে সূক্ষ্ম ফেসলিফট পর্যন্ত চেহারার উপর একাধিক কারুকার্য করা হয় এই পদ্ধতির মাধ্যমে।

তবে পশুদের ক্ষেত্রে এই ধরনের ব্যবস্থা একেবারেই অনুচিত বলেই মনে করছেন পশুপ্রেমী ও পশু চিকিৎসকেরা। কারণ তাদের অজান্তেই তাদের চেহারার এধরনের পরিবর্তন কোনও মতে ন্যায় সঙ্গত নয় বলেই মত তাদের।

(Feed Source: hindustantimes.com)