আশেপাশে আছে বন্য প্রাণী? আপনার ফোনটিই আগেভাগে সতর্ক করবে আপনাকে

আশেপাশে আছে বন্য প্রাণী? আপনার ফোনটিই আগেভাগে সতর্ক করবে আপনাকে

বন্য পশু হামলা করেছিল মাঠে, মারা গিয়েছে গবাদি পশু। ধান কাটতে গিয়ে ফিরে আসেনি যুবক। পরের দিন বনের মধ্যে ওই ব্যক্তির লাশ শনাক্ত করা হয়েছে। মানুষ-পশুর সংঘর্ষের ফলে এমনই হাজারও ঘটনাগুলি সৌরাষ্ট্রে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদিও গ্রামবাসীরা নিজেদের এলাকায় বুনো বিড়াল কিংবা অন্যান্য বন্য প্রাণীর উপস্থিতি সম্পর্কে জানতে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজের উপর নির্ভর করে থাকেন, কিন্তু বর্তমান ব্যবস্থায় তাঁদের তাৎক্ষণিক সতর্কতা প্রয়োজন। নাহলে, শুধুমাত্র সিসিটিভির মাধ্যমে বন্যদের সঙ্গে সংঘর্ষ এড়ানো সত্যিই দুষ্কর।

তাই এবার মানুষ পশুর সংঘর্ষ এড়াতে ও আমজনতার জীবন বাঁচাতে চারুসাট ইউনিভার্সিটির গবেষকরা একটি IoT-ভিত্তিক সমাধান নিয়ে এসেছেন, যা সময়ের এই ব্যবধান পূরণ করবে এবং গ্রামবাসীদের কাছে তাঁদের মোবাইল ফোনে একটি রিয়েল-টাইম সতর্কতা এসে যাবে। এর মাধ্যমে কোনো বন্য প্রাণী আশেপাশে থাকলে অবিলম্বেই বুঝতে পারবেন গ্রামবাসীরা।

  • কীভাবে কাজ করবে IoT-ভিত্তিক ডিভাইস

এই প্রসঙ্গে, ব্রহ্ম ডেভ, মিট মরি, অনুরাগ বাথানি এবং পার্থ গোয়েলের গবেষণা পত্র ‘ওয়াইল্ড অ্যানিমাল ডিটেকশন ইউজিং YOLOV8’ জানিয়েছে যে YOLOV8 আর্কিটেকচার ব্যবহার করে এই বিশেষ সতর্কতা এলার্ট তৈরি করা হয়েছে। এই ডিপ লার্নিং আর্কিটেকচারে ডকুমেন্টারি, ইউটিউব ভিডিও এবং বিদ্যমান ডেটাসেট থেকে সংগ্রহ করে ১,৬১৯টি বন্য প্রাণীর ডেটা ইমেজও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যাতে ডিভাইস এর মধ্যে কোনো বন্যপ্রাণী দেখতে তৎক্ষণাৎ জানিয়ে দিতে পারে। ইউ অনলি লুক ওয়ানস (YOLO) সিরিজের অবজেক্ট ডিটেকশন মডেলের অংশ হিসাবে YOLOV8 সিংহ, বাঘ, চিতাবাঘ এবং ভাল্লুকের মতো বন্য প্রাণীদের গতিবিধির বিষয়ে অতি সহজেই জানান দিতে পারবে। এই নতুন মডেলের নির্ভুলতার হার ৯৪.৩ শতাংশ।

গবেষকরা আরও বলছেন যে এবার থেকে নিয়মিত একজন ব্যক্তি সিসিটিভি ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করতে এবং বুনো বিড়ালের গতিবিধি রেকর্ড করতে নিয়ন্ত্রণ কক্ষে থাকবেন। সিসিটিভি ক্যামেরা সঠিকভাবে শনাক্ত করবেন এবং সরাসরি মোবাইল ফোনে তাৎক্ষণিক সতর্কবার্তা পাঠাবেন। ব্যবহারকারীরা IoT-ভিত্তিক ডিভাইসের মাধ্যমে তাঁদের গ্রাম বা খামারের কাছে কোনো বাঘ বা ভাল্লুক আছে কিনা তা অতি সহজেই জানতে পারবেন।

গবেষক মিট মরি জানিয়েছেন, ‘বনের সীমানায় বসবাসকারী প্রত্যেক ব্যক্তিই প্রায়শই মানুষ-প্রাণী সংঘর্ষের কারণে অনেক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়ে থাকেন। আমি জুনাগড় থেকে এসেছি এবং জানি সমস্যাটি কতটা গুরুতর। রাজ্যের বন বিভাগও বলেছে যে এই সংঘর্ষের ফলে একাধিক নিরীহ মানুষের মধ্যে প্রাণহানির মতো ঘটনা ঘটেছে এবং বিপুল পরিমাণে গবাদি পশুরাও ক্ষতির মুখে পড়েছে। বন্য প্রাণীদের ট্র্যাক এবং নিরীক্ষণের জন্য বিভিন্ন সরকারী উদ্যোগও বাস্তবায়িত হয়েছে।’

বন বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ‘আজকাল, আমরা সিংহের অনেক সিসিটিভি ফুটেজ দেখতে পাচ্ছি। কারণ বেশ কয়েকটি গ্রামে নজরদারি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। এই মডেলটি গ্রামবাসীদের নিজেদের ফোনে রিয়েল-টাইম আপডেট এবং সতর্কতা পেতে সাহায্য করতে পারে।’

(Feed Source: hindustantimes.com)