মাধ্যমিক পরীক্ষাকে নির্বিঘ্নে পরিচালনা করার জন্য একাধিক পদক্ষেপ করেছিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। প্রশ্নপত্রে থাকা কিউআর কোডের ব্যবহার করে প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে সোশ্যাল সাইটে ভাইরাল করার অভিযোগে ৩৬ জন পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতিল করেছিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। চলতি বছরে ২ ফেব্রুয়ারি থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত হয়েছিল মাধ্যমিক পরীক্ষা। কিছুদিন আগেই শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল সাধারণ ভাবে ৯০ দিনের মধ্যেই বেরোবে। আর এ বার উত্তরপত্র মূল্যায়ন করা নিয়ে শিক্ষক শিক্ষিকাদের সতর্ক করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। বিভিন্ন সময়ে অভিযোগ ওঠে উত্তরপত্র হারিয়ে যাওয়ার।
তাই এ বার শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে মোট পাঁচ দফা পদক্ষেপ মনে করিয়ে দিলে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। তবে পর্ষদের তরফে এ বার নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, উত্তরপত্রগুলির যেন ক্ষতি না হয়। বাড়ির পোষ্য এবং বাড়িতে কীটপতঙ্গ আছে এ রকম জায়গা থেকে দূরে রাখুন মাধ্যমিকের পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র। এই প্রথম এমন নির্দেশ জারি করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। সেখানে আরও বলা হয়, উত্তরপত্র বাড়িতে এমন জায়গায় রাখবেন না যেখানে জলে ভিজে যাওয়ার অথবা আগুনে পুড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।
পাশাপাশি মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে বলা হয়েছে যখন উত্তরপত্র ডিস্ট্রিবিউশন ক্যাম্প অফিস থেকে নিয়ে যাওয়া হবে সেই সময় যাতে শিক্ষক-শিক্ষিকারা সতর্ক থাকেন, যাতে কোনওভাবেই উত্তরপত্র হারিয়ে না যায়। পাশাপাশি শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে যখন উত্তরপত্র মূল্যায়ন করবেন, তখন অন্য কারওর সামনে সেই উত্তরপত্র মূল্যায়ন করা যাবে না। পাশাপাশি উত্তরপত্র মূল্যায়ন নিয়েও কারওর সঙ্গে কোন কথা বলা যাবে না।
পুরোটাই গোপনীয়ভাবে করতে হবে বলে পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি উত্তরপত্র মূল্যায়ন কোনওভাবেই নিজের কাজের জায়গা বা কোন পাবলিক প্লেসে করা যাবে না। সেক্ষেত্রে শিক্ষক শিক্ষিকাদের মনোসংযোগ বিচ্ছিন্ন হতে পারে। শুধু তাই নয় উত্তরপত্র প্যাকেট হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকতে পারে।
পাশাপাশি নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যেই যাতে উত্তরপত্র মূল্যায়ন করে জমা দেওয়া হয় তা নিয়েও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উদ্দেশ্যে আবেদন রেখেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। এ ক্ষেত্রে পর্ষদ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ করতে পারবে। এই সংক্রান্ত কোনও অভিযোগ এলে পর্ষদ বিভাগীয় তদন্ত-এর মতো পদক্ষেপ করবে বলেও নির্দেশিকায় স্পষ্ট করে দিয়েছে। যদিও এই নির্দেশিকা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে।
উল্লেখ্য মাধ্যমিক শেষ। প্রতি বছর উত্তরপত্র সংরক্ষণ নিয়ে কিছু নির্দেশ দেয় পর্ষদ। প্রধান পরীক্ষকের থেকে উত্তরপত্র নেওয়ার সময়ে সতর্কতা ও গোপনীয়তা বজায় রাখার নির্দেশ থাকে। মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির এক নেতা জানান খাতা সংরক্ষণে পরীক্ষকেরা যথেষ্ট সতর্ক ও দায়িত্বশীল। আলাদা করে উল্লেখের প্রয়োজন ছিল না।
(Feed Source: hindustantimes.com)