‘‌আব কি বার সত্তা সে বাহার’‌, আমেঠির জনসভা থেকে সুর বেঁধে দিলেন মল্লিকার্জুন

‘‌আব কি বার সত্তা সে বাহার’‌, আমেঠির জনসভা থেকে সুর বেঁধে দিলেন মল্লিকার্জুন

সামনেই লোকসভা নির্বাচন। যদিও এখনও নির্ঘণ্ট প্রকাশ করেনি জাতীয় নির্বাচন কমিশন। ইন্ডিয়া জোট ফলপ্রশ্রু হবে না ধরে নিয়েই বিজেপি বলতে শুরু করেছে ৪০০ আসন পার করবে তাদের দল। কিন্তু এবার প্রকাশ্য দিবালোকে বিস্ফোরক তথ্য সামনে আনলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। আমেঠির সভা থেকে খাড়গের দাবি, এবার গোহারা হারবে বিজেপি। আর ক্ষমতা থেকে চলে যাবে। নরেন্দ্র মোদীর ৪০০ আসনের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে না। এমনকী নতুন স্লোগান উঠেছে আমেঠির এই সমাবেশ থেকে।

এদিকে আজ, মঙ্গলবার কাশ্মীর সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার আগেই এমন বিস্ফোরক তথ্য শুনতে হল তাঁকে। এই তথ্য আমেঠির সভা থেকে দাবি করেছেন কংগ্রেস সভাপতি। এদিন মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, ‘‌বিজেপি ১০০ আসন পাবে না। আর ক্ষমতা থেকে জনগণ ছুঁড়ে ফেলে দেবেন। আব কি বার সত্তা সে বাহার।’‌ এই স্লোগান দিয়েছেন মল্লিকার্জুন খাড়গে। আর তাতেই উজ্জীবিত হয়ে এই স্লোগান তুঙ্গে তোলেন কংগ্রেস নেতা–কর্মীরা। এবার থেকে এই স্লোগান প্রত্যেকটি সভা–সমাবেশে তোলা হবে বলে জানা গিয়েছে। সোমবার আমেঠির সভায় লোকসভা নির্বাচনের জন্য এই সুর বেঁধে দেন খাড়গে।

অন্যদিকে বিজেপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছেন মল্লিকার্জুন খাড়গে। আমেঠি এবং রায়বরেলি লোকসভা কেন্দ্রে বারবার জিতে এসেছে কংগ্রেস। সেখানে বিজেপি ষড়যন্ত্র করে আটকানোর চেষ্টা করছে বলে দাবি তাঁর। মল্লিকার্জুনের কথায়, ‘‌কংগ্রেসের জমানায় কোটি কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছিল আমেঠি এবং রায়বরেলির জন্য। কিন্তু বহু প্রকল্পের কাজ এখনও বাকি পড়ে রয়েছে। আমি জানতে চাই কেন বাকি রয়েছে?‌ আসলে বিজেপি আমেঠি এবং রায়বরেলির মানুষের জন্য কাজ করতে চায় না। বিজেপি আমেঠি এবং রায়বরেলির মানুষের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করছে।’‌ যদিও আমেঠিতে রাহুল গান্ধীকে লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি।

এছাড়া ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে রাহুল গান্ধীকে পরাজিত করেন স্মৃতি ইরানি। তারপর থেকে কাজ হয়নি বলেই দাবি কংগ্রেসের। মল্লিকার্জুন খাড়গের বক্তব্য, ‘‌আমেঠি এবং রায়বরেলি প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর ভূমি। সোনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধী আমেঠির জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। এখানের মানুষজনের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক রয়েছে গান্ধী পরিবারের।’‌ যদিও পাল্টা স্মৃতি ইরানি বলেছেন, ‘‌আমেঠির রামভক্তরা রেগে আছেন। কারণ এখানের প্রাক্তন সাংসদ গান্ধী পরিবারের সদস্য রাম লালার প্রাণ প্রতিষ্ঠান অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছেন। এখানের মানুষজনকে উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত করে রাস্তায় বসানো হয়েছিল।’‌

(Feed Source: hindustantimes.com)