ডেঙ্গি কমাবে রাজ্যের স্পেশ্যাল অ্যাপ, মশা মুক্তিতে কাজে লাগবে ট্র্যাকিং সিস্টেমও

ডেঙ্গি কমাবে রাজ্যের স্পেশ্যাল অ্যাপ, মশা মুক্তিতে কাজে লাগবে ট্র্যাকিং সিস্টেমও

শহর ছাপিয়ে গ্রামেও এবার ডেঙ্গির প্রকোপ। বর্ষা আসার অনেক আগে থেকেই মশা দমনে ব্যবস্থা নেবে রাজ্য। হাইটেক প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে মশা খুঁজবে রাজ্য। নজরদারি চালাতে ব্যবহার করতে পারবেন বিশেষ সিস্টেম, সম্পূর্ণ বিনামূল্যেই। কলকাতায় বসে গ্রামের সমস্যা সমাধানে বিশেষ ব্যবস্থা নিতে চলেছে রাজ্য। মূলত শহরাঞ্চলেই ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়ার প্রকোপ পড়ত। এখন সেই প্রকোপ গ্রামেও পৌঁছে গিয়েছে। হতাশা প্রকাশ করে এমনটাই জানিয়েছেন রাজ্য পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের এক কর্তা।

স্বাভাবিকভাবেই, শহরে ডেঙ্গি বাড়লে পুরসভাগুলির সুনির্দিষ্ট বিভাগ এবং সেখানকার নির্দিষ্ট কর্মী-আধিকারিকরাও সঠিক ব্যবস্থা নিয়ে ডেঙ্গি নিধন করতেন। কিন্তু গ্রামে এই রোগ রীতিমত চিন্তা বাড়াচ্ছে। পঞ্চায়েতে সঠিক পরিকাঠামোর অভাবে প্রাণ সংশয় হতে পারে সাধারণ মানুষের। তাই সমস্যার সমাধান খুঁজছে রাজ্য। নতুন করে পরিকাঠামো গড়ে তুলতে নেওয়া হচ্ছে উন্নত প্রযুক্তির সাহায্য।

  • ডেঙ্গি নিধনে কীভাবে কাজ চলছে গ্রামে

আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে মশার প্রকোপ বাড়ছে। গ্রামে গ্রামে লাফিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গিও। প্রাণ বাঁচাতে তাই রাজ্যের প্রতিটি গ্রামের পঞ্চায়েত এলাকায় মশা তাড়ানোর জন্য কাজ চলছে। এ প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়নমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, ‘জঞ্জাল সাফাই, পুকুর ও নর্দমা পরিষ্কার রাখা এবং মশার লার্ভা নিধনে স্প্রে ছড়ানো হচ্ছে। মানুষকে সচেতন করা চলছে। সেই সঙ্গে নজরদারি বাড়াতে আধুনিক প্রযুক্তিরও সাহায্য নিচ্ছি আমরা।’

  • মশা তাড়াতে কীভাবে সাহায্য করবে আধুনিক প্রযুক্তি

মশা তাড়াতে বিশেষ অ্যাপ আনছে রাজ্য। আসছে বিশেষ ট্র্যাকিং ডিভাইস। চালু করা হবে ওয়েব পোর্টালও। এই অ্যাপের সাহায্যে মশা কমানোর লক্ষ্যে কোন গ্রামের কোথায় কীভাবে কাজ চলছে সবটাই দেখতে পাওয়া যাবে।

১) মশা তাড়ানোর সমস্ত আপডেট তড়িঘড়ি পৌঁছে যাবে কর্তৃপক্ষের কাছে। ডেঙ্গি এড়াতে কর্মীদের সচেতন করা হবে অ্যাপের মাধ্যমে।পঞ্চায়েত দফতরও এটির সাহায্যে জরুরি খবর পাঠাতে পারবে শহরে। মশা বিষয়ক সমীক্ষা চালাতে ব্যবহৃত হবে এই অ্যাপ।

২) এছাড়াও কোন বাড়ির মানুষ ডেঙ্গিতে ভুগছেন, সেটাও জানিয়ে দিতে পারবে ওই মোবাইল অ্যাপ। ডেঙ্গি আক্রান্ত প্রত্যেক ব্যক্তির নাম এবার অ্যাপে তালিকাভুক্ত করা থাকবে। এর দরুণ রাজ্যের কোন গ্রামের কোন নির্দিষ্ট এলাকা আদতে ডেঙ্গি প্রবণ। আগে থেকেই তা জেনে নেওয়া যাবে।

৩) এছাড়াও নিয়ে আসা হবে মশা খোঁজার জন্য বিশেষ হাইটেক ডিভাইস। জিআই ট্যাগিং করা এই ট্র্যাকিং ডিভাইস মশার আঁতুরঘর খুঁজে দেবে। এরপর জিআইএস ম্যাপ তৈরি করে মশার লার্ভারও সন্ধান এনে দিতে পারবে প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের।

৪) বাংলা, ইংরেজি ও হিন্দি, তিন ভাষাতেই কাজ করতে এটি। সবদিক বিচার বিবেচনা করে দেখলে বলা যায়, আর কমিউনিকেশনের অভাবে কিংবা সচেতনতার অভাবে ডেঙ্গির প্রকোপে বেঘরে প্রাণ যাবে না গ্রামের মানুষের।

(Feed Source: hindustantimes.com)