২২ বছর ধরে পালিয়ে বেড়ানো সিমি সদস্য পুলিশের জালে! রুদ্ধশ্বাস অভিযানে পাকড়াও

২২ বছর ধরে পালিয়ে বেড়ানো সিমি সদস্য পুলিশের জালে! রুদ্ধশ্বাস অভিযানে পাকড়াও

নিষিদ্ধ সংগঠন ‘স্টুডেন্টস ইসলামিক মুভমেন্ট অফ ইন্ডিয়া’ বা সিমির সদস্য হানিফ শেখকে রবিবার গ্রেফতার করল দিল্লি পুলিশের সাউদার্ন রেঞ্জ স্পেশ্যাল সেল। বহু দিন ধরে পুলিশের জাল থেকে হানিফ ছিল অধরা। প্রা ২২ বছর ধরে পালিয়ে বেড়ানো এই সিমি সদস্যকে রবিবার গ্রেফতার করে পুলিশ। হানিফের বিরুদ্ধে অবৈধ কার্যকলাপ, দেশদ্রোহিতার বড়সড় অভিযোগ রয়েছে।

সিমি সদস্য হানিফের বিরুদ্ধে ইউএপিএর আওতায় রয়েছে মামলা। তার বিরুদ্ধে ২০০১ সালে নিউ ফ্রেন্ডস কলোনির পুলিশ স্টেশনে মামলা দায়ের হয়। সেই মামলা ছিল দেশ দ্রোহিতা ও ইউএপিএর আওতায়। জানা যাচ্ছে ২২ বছর ধরে এই হানিফ ছিল গা ঢাকা দিয়ে। কার্যত ছিল পলাতক। এছাড়াও ২০০২ সালে একটি মামলায় হানিফকে দাগি অপরাধী বলেও তকমা দিয়েছিল কোর্ট।

হানিফকে কীভাবে করা হল গ্রেফতার?

জানা যাচ্ছে, সিমির ম্যাগাজিন ‘ইসলামিক মুভমেন্ট’ এর সম্পাদক এই হানিফ শেখ। রিপোর্ট বলছে, বহু মুসলিম যুবককে গত ২৫ বর ধরে এই ম্যাগাজিন বিপথে নিয়ে গিয়েছে। পুলিশের কাছে এই ম্যাগাজিনে লেখা ‘হানিফ হুদাই’ নামটিই ছিল এই তদন্তের মধ্যে একমাত্র ‘লিড’ বা সূত্র। সেই সূত্র ধরে গোটা দেশের প্রান্তে প্রান্তে হানিফের খোঁজ করেছে পুলিশ। তবে সাফল্য খুব একটা সহজে হাতে আসেনি।

গত ৪ বছর ধরে হানিফকে ধাওয়া করছে পুলিশ। তবে বারবারই সে ছিল অধরা। সারা দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে হানিফ সম্পর্কে তথ্য একত্রিত করতে থাকে পুলিশ। সিমির এই সদস্য কোথায় ডেরা তৈরি করতে পারে, তার সম্ভাব্য তালিকা তৈরি করে পুলিশ। কার্যত বিপুল এলাকার মধ্যে এই একজনকে খুঁজে বের করাটা দিল্লি পুলিশেক সাউদার্ন রেঞ্জ সুপার সেলের কাছে সহজ কাজ ছিল না।

ধীরে ধীরে হানিফকে ঘিরে যে সমস্ত তথ্য আসতে থাকে, তা নিজের ‘ইনফরমার’দের জানাতে থাকে পুলিশ। আর পুলিশকে তথ্য দেওয়া এই সদস্যরা সারা ভারতের বিভিন্ন কোণে ছেয়ে যান। এরপর হনিফের শাগরেদদের আবাস খুঁজতে থাকে পুলিশ। তাদের লোকেশনও এই মামলায় পুলিশকে সাহায্য করেছে। বিস্ফোরক তথ্যে পুলিশ জানতে পারে, হানিফের পুরো নাম হানিফ শেখ হানিফ হুদাই। পরে সেই হানিফ নিজের নাম পাল্টে ফেলে। নাম হয়ে যায় মহম্মদ হানিফ। মহারাষ্ট্রের ভুসাওয়ালে পরিবর্তিত পরিচিতি নিয়ে হানিফ একটি উর্দু স্কুলের শিক্ষক হিসাবে কাজ করতে থাকে।  এদিকে, পুলিশ খবর পেয়েই সেখানে একটি টিমকে পাঠায়। তারপর পাতা হয় ফাঁদ। এরপর ২২ ফেব্রুয়ারি পুলিশ হানিফকে ধরে ফেলে যখন সে পালানোর চেষ্টা করে।

(Feed Source: hindustantimes.com)