কাঞ্চন মল্লিক জানিয়েছেন, কিশোর কুমার, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে এখন তিনি এক ক্লাবে! বিয়ের সংখ্যা সেটাই বলে। দুটো বিয়ে ভাঙার পর তিন নম্বর বিয়েটা সেরে ফেলেছেন অভিনেতা তথা তৃণমূলের উত্তরপাড়ার বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক। সেই বিয়ে নিয়ে কটাক্ষের শেষ নেই। তবে ডোন্ট-কেয়ার মনোভাব নবদম্পতির। ৬ই মার্চ সামাজিক বিয়ে সারবেন তাঁরা, আপতত সেই বিয়ের প্রস্তুতি চলছে পুরোদমে।
চলতি বছরের ১০ই জানুয়ারি দ্বিতীয় স্ত্রী পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে খাতায়-কলমে বিচ্ছেদ হয়েছে কাঞ্চনের। আর তার ৩৪ দিনের মাথায় শ্রীময়ীকে বিয়ে করেছেন অভিনেতা। ডিভোর্সের সময় খোরপোষ বাবদ পিঙ্কিকে মোট ৫৬ লক্ষ টাকা দিয়েছেন কাঞ্চন, নিজের মুখেই সে কথা জানান কাঞ্চনের সন্তান ওশের মা, পিঙ্কি। এখন প্রশ্ন হল ৫৬ লক্ষ টাকা খোরপোশ দেওয়া কাঞ্চন কত টাকার মালিক?
২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশনে হলফনামা জমা দিয়ে নিজের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির কথা জানিয়েছিলেন কাঞ্চন। সেই অনুসারে স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি মিলিয়ে ৯০ লক্ষ টাকার বেশি সম্পত্তির মালিক উত্তরপাড়ার বিধায়ক।
হলফনামা অনুসারে, কাঞ্চন মল্লিকের অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ৩৮,২১,৩২৩.৯২ টাকা। হলফনামা জমা দেওয়ার সময়, তাঁর হাতে নগদ অর্থ ছিল মাত্র ২৬,৬৪২ টাকা। দুটি ফিক্সড ডিপোজিট রয়েছে তাঁর। যার মোট অঙ্ক ৫,৩৬,৯৮৪ টাকা (পাঁচ লক্ষ ছত্রিশ হাজার ন’শো চুরাশি)। পাশাপাশি, সেভিংস ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে রয়েছে মোট ৭,৯০,১০৫.৯২ টাকা (সাত লক্ষ নব্বই হাজার একশো পাঁচ টাকা)। একটি লাইফ ইন্সোরেন্স পলিসিও রয়েছে কাঞ্চনের, যার মূল্য ৬,৬১,৩৪৮ টাকা।
দেনা-পাওনার হিসেবও কমিশনকে বিস্তারিত জানান তিনি। কাঞ্চন বলেছিলেন, ১,২৪,৮০০ টাকা পাওনা আছে তাঁর। কাঞ্চন মল্লিকের একটি টয়োটা ইনোভা গাড়ি রয়েছে। ২০১৫ সালে গাড়িটি কিনেছেন অভিনেতা। সেইসময় বাজারদর ছিল ১৬,৭১,১৭২ টাকা। অলঙ্কার বলতে একটি ১৬ গ্রাম ওজনের সোনার আংটি রয়েছে, যার দাম কমবেশি ৮০ হাজার টাকা। এছাড়াও টিডিএস বাবদ ২,৬৬,৩০০ টাকা রয়েছে শ্রীময়ীর বরের।
এ তো গেল অস্থাবর সম্পত্তির কথা! কাঞ্চনের স্থাবর সম্পত্তির মোট পরিমাণ ৫২,৫০,০০০ টাকা। কোনও জমিজমা নেই অভিনেতার। কোনরকম কমার্শিয়াল স্পেসের মালিক নন তিনি, শুধু একটা ফ্ল্যাট রয়েছে। উত্তরপাড়ার তৃণমূল বিধায়কের নাকতলার নেতাজিনগরে ৯১৩ বর্গফুটের ফ্ল্যাট রয়েঠে। ২০০৫ সালে ৯,৬০,৫৮৮ টাকা দিয়ে সেটি কিনেছিলেন কাঞ্চন। তখনও প্রথম বিয়েও সারেননি। ২০২১-এ ওই ফ্ল্যাটের বাজারমূল্য ছিল কমবেশি সাড়ে বাহান্ন লক্ষ টাকা। এই ফ্ল্যাটটিই কাঞ্চনের সবচেয়ে দামি অ্যাসেট।
তিন বছর আগে কাঞ্চন মল্লিকের মাথায় ১ লক্ষ ৮৬ হাজারের লোনের বোঝা ছিল, যার বেশিরভাগটাই গাড়ি কেনার সময় নেওয়া। ইলেকশন কমিশনের নথি থেকে জানা যায়, কাঞ্চনের গত পাঁচ বছের বার্ষিক আয়ের অঙ্কটাও। ২০১৯-২০ সালে অভিনেতার কামাই ছিল ১৫ লক্ষ ৩৪ হাজার টাকা। তার আগের অর্থবর্ষে মাত্র ৫ লক্ষ ৯৪ হাজার টাকা আয় করেন তিনি। ২০১৬-১৭-তে অভিনেতা পনেরো লক্ষাধিক (১৫,৩০,৩২০) টাকা আয় করেন। আর ২০১৫-১৬ অর্থবর্ষে কাঞ্চনের আয় ছিল ১৬,৭৭,০৬০ টাকা।
এই হিসাব থেকে স্পষ্ট নিজের সম্পত্তির প্রায় অর্ধেক ডিভোর্সের সময় প্রাক্তন স্ত্রী তথা ছেলেকে দিয়েছেন কাঞ্চন মল্লিক।
(Feed Source: hindustantimes.com)