India
oi-Kousik Sinha
ভারতের একাধিক শহরে আত্মঘাতী হামলা চালানোর হুঁশিয়ারি আল-কায়েদার! বিজেপি নেত্রী নুপুর শর্মা’র একটি বক্তব্যকে ঘিরে গত কয়েকদিন ধরেই বিতর্ক শুরু হয়েছে। একাধিক ইসলামিক দেশ এহেন মন্তব্যের তীব্র বিরোধীতা জানিয়েছেন। যা নিয়ে চরম অস্বস্তিতে বিজেপি সরকার।
এই অবস্থায় আল-কায়েদার হুঁশিয়ারি নয়া চিন্তার ভাঁজ ধরিয়েছে ভারতের গোয়েন্দাদের। দিল্লি, মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ এবং গুজরাতে একের পর আত্মঘাতী হামলার হুঁশিয়ারি।
শুধু তাই নয়, এহেন হুঁশিয়ারি সামনে আসার পরেই একাধিক রাজ্যেকে সতর্কতা বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। শুধু তাই নয়, টার্গেটে রয়েছে চার রাজ্যকেই এই বিষয়ে অ্যালার্ট করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। বিভিন্ন স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে বিশেষ নজরদারি চালানোর কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি বাজার-ধর্মীয় স্থান, শপিং মলের মতো জায়গাগুলিতে তল্লাশি চালানোর কথাও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের তরফে জানানো হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
জানা যাচ্ছে, আল কায়েদার নাম করে একটি চিঠি সামনে এসেছে। যেখানে সরাসরি ভারতকে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। সংগঠনের দাবি, দিল্লি, মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ এবং গুজরাতে একের পর এক আত্মঘাতী হামলা ঘটবে। আর তা করতে তারা তৈরি বলেও দাবি করা হয়েছে।
কার্যত বদলা নিতেই এহেন আত্মঘাতী হামলা করা হবে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করেছে বিশ্বের অন্যতম খতরনাক জঙ্গি সংগঠনটি। মূলত পাকিস্তানে বসেই আল-কায়েদা বিভিন্ন ধরণের হামলার ঘটনা ঘটায়। ফলে এহেন হুঁশিয়ারি মোটেই হালকা ভাবে নিতে নারাজ গোয়েন্দা সংস্থাগুলি।
ফলে এহেন চিঠি ঘিরেই প্রশাসনিকমহলে শুরু হয়েছে উত্তেজনা। এমনকি রাজ্য-রাজনীতিতে চরম বিতর্ক। ইতিমধ্যে কিছু ঘটলে দায় বিজেপিকেই নিতে হবে বলে সুর চড়াতে শুরু করেছে বিরোধীরা।
বলে রাখা প্রয়োজন, বিজেপি নেত্রী নুপুর শর্মার নবী মহম্মদকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে আন্তর্জাতিক মহলে কোনঠাসা হয়ে পড়েছে বিজেপি। এমনকি চাপের মধ্যে ভারতও। আরব দেশগুলি ইতিমধ্যেই ভারতীয় পন্য বর্জন করতে শুরু করেছে। কাতার, সৌদি আরব থেকে শুরু করে একাধিক দেশ সরব হয়েছে ভারতের বিরুদ্ধে।
ভারতীয় দূতদের তলব করে কড়া নিন্দা করেছে তারা। আরবের দেশগুলির কাছে প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়েছে মোদী সরকারের ভূমিকা। এই অবস্থায় আল কায়েদার এহেন হুঁশিয়ারি আরও চিন্তার ভাঁজ বাড়চ্ছে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহালমহল।
যদিও ইতিমধ্যে নুপুর শর্মাকে পার্টির প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে বরখাস্ত করছে বিজেপি। শুধু বরখাস্ত নয়, কেন তাঁকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
(Source: oneindia.com)