জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আত্মহত্যা নিন্দনীয়। কিন্তু যখন আত্মহত্যা আর ব্যক্তিগত থাকে না, তখন বোধ হয় তার প্রতি নিন্দার স্রোতের অভিমুখও বদলে যায়। যেমন যাচ্ছে অ্যারন বুশনেলের ঘটনায়। গাজার উপর যে অন্যায় হচ্ছে তার প্রতিবাদে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তিনি মার্কিন সেনাবাহিনীর সদস্য। কিন্তু এই যুদ্ধের নৃশংসতা তাঁর যোদ্ধা-মনকেও আলোড়িত করেছে।
গাজায় যুদ্ধের প্রতিবাদে ওয়াশিংটনে অবস্থিত ইজরায়েলি দূতাবাসের বাইরে নিজের গায়ে আগুন দেন মার্কিন বিমানবাহিনীর সদস্য অ্যারন। মারা যান ঘটনার রাতেই। ওয়াশিংটন ডিসির ইজরায়েলি দূতাবাসের সামনে কয়েকশো মানুষ সমবেত হয়ে তাঁর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন।
টেক্সাসের সান আন্তোনিও শহরের বাসিন্দা অ্যারন বুশনেল অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় চলতে থাকা যুদ্ধ এবং ইজরায়েলি আক্রমণে মার্কিন সমর্থনের প্রতিবাদে ইজরায়েলের দূতাবাসের সামনে নিজের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন। ফায়ার ডিপার্টমেন্ট ইজরায়েলি দূতাবাসের বাইরে আগুন লাগার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তাঁকে সংকটাপন্ন অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু শেষরক্ষা হয় না। বিমানবাহিনীর এক মুখপাত্র পরদিন সকালেই জানান, রবিবার রাতেই মারা গিয়েছেন অ্যারন। সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা এক ফুটেজে দেখা গিয়েছে, বুশনেলের গায়ে যুদ্ধের পোশাক, গায়ে তরল ঢালতে-ঢালতে তিনি বলছেন, এই গণহত্যায় আর জড়িত থাকবেন না তিনি! শুধু তাই নয়, গায়ে আগুনে জ্বালাবার পরে যতক্ষণ পেরেছেন ততক্ষণ ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন’ বলে চিৎকার করেছেন!
জানা গিয়েছে, বুশনেলের মৃত্যুতে শোক জানাতে ৩০০-রও বেশি মানুষ জড়ো হয়েছিলেন। সবচেয়ে মর্মস্পর্শী ছবি এক প্রাক্তন সেনা গোয়েন্দা কর্মকর্তার। তিনি ওহিও থেকে উড়ে এসেছেন, শুধু এই বিশ্বাসে যে, বুশনেলের মৃত্যু বৃথা যেতে পারে না!
অনেকেই আশা করেছিলেন, আশা করেছেনও যে, অ্যারনের মৃত্যুর পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মনোভাবে কিছু বদল ঘটবে। যুদ্ধের প্রতি তাঁর অটল সমর্থনে আসবে পরিবর্তন। কিন্তু এখনও তেমন কিছু ঘটেনি।
(Feed Source: zeenews.com)