জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আলোচনায় এখন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের বার্ষিক চুক্তি (BCCI Central Contracts)! সদ্য়ই বিসিসিআই সিনিয়র পুরুষ দলের বার্ষিক প্লেয়ার রিটেইনারশিপের (২০২৩-২৪) তালিকা ঘোষণা করেছে। সেখানে ৩০ জন ক্রিকেটারকে চারটি গ্রেডে ভাগ করা হয়েছে। তবে সেই তালিকায় নেই দুই তরুণ। দেখতে গেলে বাদ পড়া ঈশান কিশান (Ishan Kishan) ও শ্রেয়স আইয়ার (Shreyas Iyer) নিজেরাই গিলোটিনে গলা দিয়েছেন। দেশের হয়ে না খেলাকালীন, ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতেই হবে। বোর্ডের এই সাফ নির্দেশিকা না মানার পরিণামই হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছেন তাঁরা। ‘অবাধ্যতায়’ বোর্ডের বার্ষিক চুক্তি থেকে বাদ গিয়েছেন। শ্রেয়স ছিলেন গ্রেড বি-তে, ঈশান ছিলেন গ্রেড সি-তে। ঘরোয়া ক্রিকেটকে এভাবে প্রাধান্য় দেওয়ার জন্য় বোর্ডেকে সাধুবাদ দিচ্ছেন কিংবদন্তি কপিল দেব (Kapil Dev)।
তিরাশির বিশ্বকাপ জয়ী সংবাদসংস্থা পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘দেখুন কেউ ভুগবে, কারোর কষ্ট হবে, হোক…। কিন্তু দেশের চেয়ে বড় কিছু হতে পারে না। বিসিসিআই দারুণ কাজ করেছে। তাদের আমি শুভেচ্ছা জানাতে চাই। বিসিসিআই ঘরোয়া ক্রিকেটকে রক্ষা করতেই এই পদক্ষেপ নিয়েছে। দেখে খুব কষ্ট পেয়েছিলাম যে, কিছু ক্রিকেটার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ঘরোয়া ক্রিকেট এড়িয়ে গিয়েছে। ঠিক সময়ে বিসিসিআই বার্তা দিয়েছে। এই কড়া পদক্ষেপের জন্য়ই বিসিসিআই ঘরোয়া ক্রিকেটের সম্মান সংরক্ষণ করতে পারবে। নিজের রাজ্য়ের হয়ে খেলেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার হওয়া যায়। এভাবে তারা ঘরোয়া ক্রিকেটারদেরও পাশে থাকতে পারে। এভাবে রাজ্য় অ্যাসোসিয়েশনকে তারা ফেরত দিতে পারে।’
বর্তমানে ভারতীয় ক্রিকেটাররা টেস্ট ও ওয়ানডে খেলার জন্য় যথাক্রমে ১৫ লক্ষ ও ৬ লক্ষ টাকা করে পান। একটি টি২০আই ম্য়াচ খেলার জন্য় বোর্ড দেয় ৩ লক্ষ টাকা। জানা যাচ্ছে যে ক্রিকেটার সারা বছর টেস্ট খেলবেন, তাঁকে বিসিসিআই দেবে অতিরিক্ত নগদ বোনাস দেবে। মানে টেস্ট খেললেই উপরি! অন্য়দিকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ন্যূনতম ৩টি টেস্ট/ ৮টি ওডিআই/১০টি টি২০আই খেলা ক্রিকেটাররা প্রো-রাটা ভিত্তিতে গ্রেড সি-তে চলে আসবেন। উদাহরণস্বরূপ, ধ্রুব জুরেল এবং সরফরাজ খান, এখনও পর্যন্ত ২টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন, তাঁরা যদি ধরমশালায় ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে চলতি সিরিজের পঞ্চম তমা শেষ টেস্টে অংশ নেন, তাহলে তাঁদের গ্রেড সি-তে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
(Feed Source: zeenews.com)